উত্তর : এ দেশের লোকেরা যৌবনের কপালে রাজটিকার পরিবর্তে তার পৃষ্ঠে রাজদ- প্রয়োগ করতে বেশি ব্যস্ত থাকে। কিন্তু এদেশের মানুষেরা সবাই ভুলে যায় যে, একমাত্র ব্যক্তি এবং জাতীয় জীবনে যৌবনকে প্রতিষ্ঠা করার মধ্য দিয়ে সমাজে পরিবর্তন সূচিত হতে পারে। প্রাবন্ধিকের মতে- “প্রাণিজগতের রক্ষার জন্য নিত্য নতুন প্রাণের সৃষ্টি আবশ্যক এবং সে সৃষ্টির জন্য দেহের যৌবন চাই, তেমনি মনোজগতের এবং তদাধীন কর্মজগতের রক্ষার জন্য সেখানেও নিত্য নব সৃষ্টির আবশ্যক এবং সে সৃষ্টির জন্য মনের যৌবন চাই। পুরাতনকে আঁকড়ে থাকাই বার্ধক্য এবং জড়তা। মানসিক যৌবন লাভের জন্য প্রথম আবশ্যক প্রাণশক্তি, যে দৈব শক্তি এই বিশ্বাস। এই মানসিক যৌবনই সমাজে প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে আমাদের উদ্দেশ্য।”