উত্তর : দেহ মনের অবিচ্ছেদ্য সম্বন্ধের উপর মানবজীবন প্রতিষ্ঠিত হলেও দেহমনের পার্থক্যের স্বতন্ত্র পরেই আমাদের চিন্তারাজ্য প্রতিষ্ঠিত। দেহের যৌবনের সাথে মনের যৌবনের যোগাযোগ থাকলেও দৈহিক যৌবন এবং মানসিক যৌবন স্বতন্ত্র। শারীরিক যৌবন সময়ের ব্যবধানে নিঃশেষ হয়ে যায়। কিন্তু মানসিক যৌবন শেষ হয় না। মানসিক যৌবন অমর অবিনাশ। মানসিক যৌবন এক সমাজ থেকে অন্য সমাজে, এক সাহিত্য থেকে অন্য সাহিত্যে স্থানান্তর করা সম্ভব। প্রাবন্ধিক এই মানসিক যৌবনকেই সাহিত্যে প্রতিষ্ঠা করতে চান। প্রাবন্ধিক মনে করেন মানসিক যৌবনকে প্রতিষ্ঠা করে তা সাহিত্যের মাধ্যমে যৌবনাদর্শের কথা মানুষের সম্মুখে তুলে ধরা সম্ভব। “মানবজীবনের পূর্ণ অভিব্যক্তি যৌবন। যৌবনে মানুষের বাহ্যেন্দ্রিয় কর্মেন্দ্রিয় ও অন্তরিন্দ্রিয় সব সজাগ ও সবল হয়ে উঠে এবং সৃষ্টির মূলে যে প্রেরণা আছে, মানুষের সেই প্রেরণা তার সকল অঙ্গে, সকল মনে অনুভব করে।” সুতরাং এই যৌবনের কপালেই আমাদের সাহিত্যিকদের রাজটিকা দিয়ে ব্যক্তি জীবনে তা প্রতিষ্ঠা করতে প্রয়াস চালাতে হবে। তাহলে আমরা সাহিত্যসহ সবক্ষেত্রে সার্থকতা লাভ করতে পারবো।