[ad_1]
প্রশ্নঃ বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রেরণে উৎসাহিত করতে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে আলোচনা কর ।
উত্তর ভূমিকা : বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ । কিন্তু এদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা তেমন ভালো নয় । কর্মসংস্থানের অভাবে এদেশের বেকারত্বের হার খুবই বেশি । বেকারত্বের হার হ্রাস করে সরকার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনশক্তি রপ্তানি করে থাকে । কিন্তু প্রবাসী জনগণ নানাবিধ কারণে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণ করতে চায় না । আর প্রেরণ করলেও তা বৈধ চ্যানেলে প্রেরিত হয় না । তাই সরকার বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রেরণে প্রবাসীদের উৎসাহিত করতে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে এবং করছে ।
গৃহীত পদক্ষেপ : নিম্নে কিছু কর্মকাণ্ডের বিবরণ দেয়া হলো :
১. রেমিট্যান্স আহরণ এবং বিতরণের নেটওয়ার্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিদেশই এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর সাথে বাংলাদেশস্থ ব্যাংকগুলোর ড্রায়িং ব্যবস্থা স্থাপনের অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে । ইতোমধ্যে ৩০০ টি বিদেশস্থ এক্সচেঞ্জ হাউসের সাথে বাংলাদেশের ৪২ টি ব্যাংকের প্রায় ৮৫০ টি ড্রায়িং ব্যবস্থা স্থাপনের অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে ।
২. বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোর বিদেশে এক্সচেঞ্জ হাউস প্রতিষ্ঠার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন এবং এক্সচেঞ্জ হাউজ স্থাপনের অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে । ইতোমধ্যে বাংলাদেশস্থ ১৬ টি ব্যাংকের বিদেশে ৪৪ টি নিজস্ব হাউস স্থাপনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে ।
৩. রেমিট্যান্স বিতরণ নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি এবং রেমিট্যান্স বিতরণ প্রক্রিয়াসহজ ও দ্রুত করার প্রয়োজনে এ পর্যন্ত ১৬ টি Microfinance institution কে রেমিট্যাগ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে ।
৪. রেমিট্যান্স বিতরণ নেটওয়ার্ক আরো সম্প্রসারণের উদ্যোগ হিসেবে সম্প্রতি দেশের ৪ টি ব্যাংক ( ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড , ট্রাস্ট ব্যাংক লিঃ , মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিঃ এবং সিটি ব্যাংক এন এ ) কে রেমিট্যান্স এর অর্থ Mobile Operator গুলোর Outlets এর মাধ্যমে বিতরণের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে ।
৫. ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রেরণকারিগণকে এককভাবে বা এদেশীয় উদ্যোক্তাদের সাথে যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে শিল্প স্থাপনের অনুমতি প্রদানের পাশাপাশি Foreign Direct Investment ( FDI ) আকারে এদেশে বিনিয়োগের সুবিধা প্রদান করা হয়েছে ।
৬. প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য দেশে বিবিধ বিনিয়োগ সুবিধা যেমন- ক . Wage Earners Development Bond , US Dollar Investment Bond ও গ . US Dollar Premium Bond এ বিনিয়োগের সুবিধা প্রদান ইত্যাদি ।
৭. রেমিট্যান্স বিতরণ দ্রুততর ও ব্যয় সাশ্রয়ীকরণের লক্ষ্যে Remillance and payment partnership project ( RPP ) এর আওতায় Challenger Fund এর মাধ্যমে Remittance Delivery Infrastructure উন্নয়নের কাজ প্রক্রিয়াধীন ।
৮. বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার অন্তর্মুখী প্রবাহ বৃদ্ধি তথা অধিক রেমিট্যান্স প্রেরণকে উৎসাহিত করতে অধিক রেমিট্যান্স প্রেরণকারীকে সরকার কর্তৃক CIP মর্যাদা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে ।
উপসংহার : সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে , সরকার বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করার ফলে যেখানে ২০০১-২০০২ বছরে ২৫০১.১৩ US $ রেমিট্যান্স এদেশে এসেছিল সেখানে ২০০৯-১০ অর্থ বছরে ডাহা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১০৯৮৭.৪০ USS । তাই দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে হলে সরকারকে আরো অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে ।
[ad_2]