[ad_1]
প্রশ্নঃ বাংলাদেশ কী বৈদেশিক ঋণ ছাড়াও চলতে পারে ?
উত্তর ৷ ভূমিকা : বাংলাদেশে বৈদেশিক ঋণের প্রয়োজনীয়তা বহুবিধ কারণে অনুভব করা হয় । যা নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো :
১. সঞ্চয় বিনিয়োগ ব্যবধান : বাংলাদেশ সঞ্চয় বিনিয়োগ ব্যবধান পূরণের জন্য বৈদেশিক ঋণ ছাড়া চলা সম্ভব নয় । কারণ ২০০৭ সালে জাতীয় আয়ের শতকরা হারে বিনিয়োগ হার ২৪.৩ ভাগ এবং সঞ্চয় ছিল ২০.৫ ভাগ । যে কারণে সঞ্চয় বিনিয়োগের ব্যবধান সৃষ্টি হয় ৩.৮ ভাগ । এ ঘাটতি পূরণের জন্য বৈদেশিক সাহায্য একান্ত আবশ্যক ।
২. Trade Gap পুরণের জন্য : বাংলাদেশে আমদানি রপ্তানি ব্যবধান অনেক বড় । যেমন- ২০০৬-০৭ সালে রপ্তানি আয় ছিল প্রায় ৫৫০৯ বিলিয়ন টাকা এবং আমদানি ব্যয় ছিল ৬৯৫.৮ বিলিয়ন টাকা । এ বিরাট অঙ্কের ঘাটতি , পূরণের কোন বিকল্প নেই বলেই বৈদেশিক ঋণ ছাড়া আবশ্যক ।
৩. উন্নয়ন পরিকল্পনার ব্যয় ভার মিটানো : বাংলাদেশ প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ৬০ ভাগ সম্পদ দেশীয় উৎস থেকে আহরণের ইচ্ছা থাকলেও সরকার মাত্র ২২ ভাগ সম্পদ সংগ্রহ করতে পেরেছে । ২০০৭ সালে এসেও মোট বাজেটের ২০ % এবং উন্নয়ন বাজেটের ৪০ % বৈদেশিক সাহায্য দ্বারা মিটানো হয় । যা খুব হতাশাব্যঞ্জক যে জন্য বৈদেশিক ঋণ ছাড়া বাংলাদেশের পক্ষে চলা কঠিন ।
৪. লেনদেন উদ্বৃত্ত প্রতিকূলতা দূরীকরণে : বাংলাদেশে লেনদেন উদ্বৃত্তে বিরাট অঙ্কের ঘাটতি বিদ্যমান । যেমন ২০০৬-০৭ সালে ঘাটতি ছিল ২,০৯৮ মিলিয়ন ডলার । রপ্তানি থেকে আয় আসে ৭,৯৭৭ মিলিয়ন ডলার । আমদানি ১০,০৭৫ মিলিয়ন ডলার এবং ঋণ পরিশোধ করা হয় ৮৫০ মিলিয়ন ডলার । এরূপ ঘাটতি পূরণের জন্য বৈদেশিক ঋণ ছাড়া আবশ্যক ।
উপসংহার : বাস্তবে বাংলাদেশকে এখনো বৈদেশিক ঋণ ছাড়া চলা সম্ভব নয় ।
[ad_2]