উত্তর : জীবনের সঙ্গে জীবনের সংযোগ ঘটাতে না পারলে শিল্পীর সৃষ্টি কৃত্রিম পণ্যে পরিণত হয়। ব্রাত্য তথা প্রান্তিক মানুষকে শিল্প-সাহিত্যের অঙ্গনে যোগ্য স্থান দিলেই তবে শিল্প সাধনা পূর্ণতা পায় । জীবন সায়াহ্নে কবি তাঁর সাহিত্যের অপূর্ণতার কথা ব্যক্ত করেছেন। জীবন সংক্ষিপ্ত ও সীমিত। এ সীমিত বাতাবরণে সকল শ্রেণির মানুষের হৃদয় জয় করা কঠিন। তারপরও হৃদয়ে হৃদয় মিশালে তার সন্ধান মেলে। কিন্তু সীমাবদ্ধ জ্ঞানে সকল মানুষকে জানা যেমন সম্ভব নয় তেমনি ভৌগোলিকতার কারণে সর্বত্র প্রবেশ করাও কঠিন। কবি সর্বত্র প্রবেশের দ্বার খুঁজে পাননি। কারণ চাষি হাল চাষ করে, জেলে জাল ফেলে ও তাঁতী বোনে তাঁত। এদের বিচিত্র কর্মক্ষেত্রের উপর নির্ভর করে চলছে এ মানব সংসার। কিন্তু কবি তাঁর নিজের অবস্থান জানেন। কবি নিজেকে বিশ্বায়ত পৃথিবীর এক কোণে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। সমাজের উচ্চমার্গে অবস্থানের কারণে, নিম্নবিত্ত মানুষের জীবন কথা তাঁর সাহিত্যে উপজীব্য করেননি। এটা কবির দৃষ্টিতে তাঁর সাহিত্য ও সংগীত কলার বড় ধরনের সীমাবদ্ধতা।