উত্তর ঃ ভূমিকা : স্বাধীনতার পর এ দেশে দারিদ্র্যের হার বাড়তে থাকে। কিন্তু দারিদ্র্য নিরসনের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদের অভাব ছিল। এ ক্ষেত্রে কিছু NGO দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে অগ্রসর হয়। ঠিক একই উদ্দেশ্যে ১৯৭৬ সালে এ দেশে প্রশিকার অভিযাত্রা ঘটে। এটি নির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এর সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে। তাই প্রশিকার গুরুত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে।
→ প্রশিকার পরিচিতি ঃ বাংলাদেশে যেসব NGO দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখছে তার মধ্যে প্রশিকা অন্যতম। প্রশিকার পূর্ণরূপ হলো প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র। এটি প্রশিক্ষণ, শিক্ষা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে দরিদ্রদের অবস্থার উন্নয়ন ঘটাচ্ছে। ১৯৭৬ সালে এটি যাত্রা শুরু করে।
প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় প্রশিকা কার্যক্রম পরিচালনা করে। পরবর্তীতে ১৯৮১ সালে প্রশিকা ঢাকা প্রশিকা ও কুমিল্লা প্রশিকা নামে বিভক্ত হয়। এটি ১৯৮০ সালের সোসাইটিজ রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট ও এনজিও বিষয়ক বুর্যোতে নিবন্ধিত। বর্তমানে সারা বাংলাদেশের ৫৭টি জেলার ২৫২টি উপজেলায় প্রশিকার কার্যক্রম বিস্তৃত হয়েছে।
২০০২ সাল পর্যন্ত ২২,৯১৭টি গ্রাম ও ২,০২৮টি শহরে বস্তিতে প্রশিকার কার্যক্রম বিস্তৃত ছিল। এতে তখন মোট সদস্য সংখ্যা ছিল প্রায় ২৮,২০,২০ জন। আর এতে ৮৫ ভাগই ছিল মহিলা।
→ প্রশিকার মিশন ঃ প্রশিকার মিশন হলো দরিদ্রদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে ব্যাপক ও নিবিড় অংশগ্রহণমূলক স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন প্রক্রিয়া গড়ে তোলা। সেজন্য এর কার্যক্রমকে অত্যন্ত জোরদার করা হচ্ছে।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলাদেশের NGO গুলোর মধ্যমণি প্রশিকা, বরাবরই এ দেশের দারিদ্র্য দূরীকরণ, অর্থনৈতিক সামাজিক উন্নয়ন, পরিবেশ উন্নয়ন ও শিক্ষাবিস্তারে নানামুখী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তাই বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে প্রশিকার ভূমিকা অনন্য হিসেবে প্রতিভাত হয়ে উঠেছে আজ