উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বেশ কিছু কাজ করে যাচ্ছে। স্বাধীনতার পর
এ দেশে দারিদ্র্য নেমে আসে। কিন্তু দারিদ্র্য মোকাবিলা করার মত প্রয়োজনীয় সম্পদ মানুষের হাতে ছিল না। তাই দারিদ্র্যের অবস্থা আরও দরিদ্র হতে থাকে। ১৯৭৬ সালে প্রশিকার অগ্রযাত্রার মধ্য দিয়ে উক্ত অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে থাকে। সুতরাং, অর্থনৈতিক ও পরিবেশ উন্নয়নসহ নানা ক্ষেত্রে উন্নয়নকে অব্যাহত রাখতেই প্রশিকা কিছু লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করে থাকে।
→ প্রশিকার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলো ঃ প্রশিকার সমস্ত কার্যক্রম সুনির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়ে থাকে । লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের গুরুত্ব অনেক। এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো :
১. দারিদ্র্য বিমোচন ঃ দারিদ্র বিমোচনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধনই প্রশিকার মূল লক্ষ্য। আর এ লক্ষ্য বাস্ত বায়নের জন্য প্রশিকা দরিদ্রদের নিয়ে সংগঠন গড়ে তোলার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। ফলশ্রুতিতে এটি ক্ষুদ্র ঋণদান ও শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে। যা এদেশের দারিদ্র্য বিমোচনে অত্যন্ত সহায়ক বলে বিবেচিত হয়।
২. নারী উন্নয়ন ঃ নারীরা এ সমাজেরই অংশ। সমাজ যাত্রায় তাদের অবদানকে তুচ্ছ করার অবকাশ নেই । প্রশিকার অন্যতম লক্ষ্য নারী উন্নয়ন সাধন এজন্য এটি গ্রামীণ নারীদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দানের মাধ্যমে ক্ষুদ্রঋণ ও সার্বিক পরামর্শ দিয়ে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলছে। তাই নারীরা সহজেই উদ্যোক্তার ভূমিকা রাখতে সক্ষম হচ্ছে।
৩. পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন ঃ এ দেশের পরিবেশের উন্নয়ন ও তা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করাও প্রশিকার একটি উদ্দেশ্য। এ জন্যই বিভিন্ন কার্যক্রম প্রশিকা পরিচালনা করে থাকে।
৪. সরকারি কাজে জনঅংশগ্রহণ : সরকারি কাজে স্বতঃস্ফূর্তভাবে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাও প্রশিকার লক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।
৫. মানবিক অধিকার অর্জন ও দায়িত্ব গ্রহণে জনগণের সামর্থ্য বৃদ্ধিকরণ : দেশের প্রতিটি জনগণের সামর্থ্য মানবিক অধিকার অর্জন ও দায়িত্ব গ্রহণের ব্যাপারে বৃদ্ধিও এই প্রশিকার লক্ষ্য। তাই এটি বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিতকল্পে প্রশিকার ভূমিকা অপরিহার্য। এটি এর
কার্যক্রমের বাস্তবায়নে কতগুলো লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে পরিচালিত হয়।