প্রশাসন কি?

উত্তর : ভূমিকা ঃ আধুনিক বিশ্বে সামগ্রিক জীবন ব্যবস্থ। আধুনিকতা ও আনুষ্ঠানিক রীতি-নীতির বেড়াজালে আবদ্ধ
এবং আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক বিস্তৃতি ও মানব জীবনে এর ব্যাপক প্রভাবের প্রেক্ষিতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে প্রশাসনিক
কাঠামোর উপর অত্যধিক গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
→ প্রশাসন ঃ ইরেজি Administration শব্দটি ল্যাটিন শব্দ Ad এবং ministration নামক শব্দ দুটি হতে গৃহীত । শব্দ দুটির অর্থ যথাক্রমে সেবা করা এবং ব্যবস্থা করা। সুতরাং প্রশাসনের অভিধানিক অর্থ হচ্ছে কোনো বিষয়ের ব্যবস্থাপনা। বর্তমানে প্রশাসন বলতে সরকারের কতগুলো দায়িত্বপূর্ণ নীতি এবং অনুষ্ঠানকে বোঝায়। বিশেষ করে পরিকল্পনা, সংগঠন পরিকল্পনা, সমন্বয় সাধন এবং সরকারের কার্যগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা।
“Admistration is the management of man & materials of goods.” অর্থাৎ মানুষ এবং বস্তুগত দ্রব্যের ব্যবস্থাপনাই হলো প্রশাসন। প্রশাসনের স্বচ্ছ ধারণা পেতে হলে সবিস্তারে এভাবে বলা যায় প্রশাসন হলো একটি বিশেষ প্রক্রিয়া যেখানে কতকগুলো পদক্ষেপ বা ধাপ জড়িত থাকে-
→ প্রতিষ্ঠান বা এজেন্সির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য স্থিরকরণ
→ রীতি ও নীতি সংগঠিতকরণ
→ কার্যক্রম সংগঠন তৈরি ও বজায় রাখা
→ পরিকল্পনা বাস্তবায়িতকরণ কর্মসূচি
→ দায়িত্ব কর্তব্য হস্তান্তর এবং কর্তৃত্ব অর্পণ
→ সেবা কর্মসূচির মাধ্যমে সমন্বয় সাধন
→ কার্যক্রম পরিচালনায় সুস্থ কর্ম পরিবেশ বজায় রাখা
→ প্রতিষ্ঠানের সার্বিক প্রচেষ্টা মূল্যায়ন করা প্রশাসন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি যা কোনো ব্যক্তি, দল বা এজেন্সির উদ্দেশ্য অনুযায়ী কাজ করতে এবং নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌছাতে সহায়তা করে। এইচ. বি. ট্রেকারের মতে, “প্রশাসন হলো এমন একটি সৃজনশীল প্রক্রিয়া যা চিন্তন, পরিকল্পনা এবং কার্যক্রম
অবলম্বন করে সমগ্র প্রতিষ্ঠানের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সংশ্লিষ্ট। এ প্রক্রিয়ায় জনগণের সাথে কাজ করার লক্ষ্যে নির্ধারণ করা হয়, দায়িত্ব বণ্টনের জন্য সাংগঠনিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা হয়, কর্মসূচী পরিচালনা এবং সম্পাদিত কার্যাবলি মূল্যায়ন করা হয়।”
উপরোক্ত সংজ্ঞার প্রেক্ষিতে প্রশাসনের যে সকল বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা যেতে পারে-
১. প্রশাসন চিন্তার একটি সৃজনশীল প্রক্রিয়া ।
২. এটা প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক একটি পরিকল্পনা ও কার্যক্রম। ক্রিম ব্যারিক্রের ব্যাতিক্রম বাড়িতে বিক্রি বা ক্রিম ি
৩. এটা লক্ষ্য এবং সাধারণ উদ্দেশ্য ঠিক করে মানুষের সাথে কাজ করার একটি প্রক্রিয়া।
৪. এটি দ্বারা সদস্যদের সাথে প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবস্থাপনার মধ্যে একটি সম্পর্ক স্থাপন করা যায়।
৫. এর মাধ্যমে কর্তৃত্ব বণ্টন এবং দায়িত্ব ঠিক করা হয়।
৬. এটা কর্মসূচি গ্রহণ, পরিচালনা এবং নতুন কর্মসূচি গ্রহণের নির্দেশনা দেয়।
৭. এটি করণীয় কার্যাবলি মূল্যায়নের নির্দেশ দেয়।
উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে প্রশাসনকে মূলত ৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. লোক প্রশাসন (Public administration);
২. সামাজিক প্রশাসন (Social administration);
৩. ব্যবসায় প্রশাসন (Business administration)।
উপসংহার ঃ আলোচনার পরিশেষে বলা যায় প্রশাসন বলতে বুঝায়, জনসেৰা তথা সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা, জনগণের মানসম্মান ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধান এবং মানুষের কাজের পথ সুগম করে দেয়া। যেখানে আইনের শাসন তথা ভাল প্রশাসন ব্যবস্থাপনা আছে সেখানে কেউ আইন ভঙ্গ করতে সাহসী হবে না এবং আইন ভঙ্গকারীর শাস্তি দেয়ার বিধান আছে ।