উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ সংগঠন হলো সাধারণ কাজ সম্পাদনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও ব্যক্তিসমূহের সুব্যবস্থিতভাবে বিন্যাস করা, যাতে সাধ্যমতো ন্যূনতম দ্বন্দ্ব বিরোধের উদ্ভব ঘটিয়ে এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সর্বাধিক সন্তুষ্টি বিধানপূর্বক, অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন করা যায়। কর্মরত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনই হলো সংগঠন কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যার্জনের জন্য অবশ্যই
জনসমষ্টিকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সংগঠিত হতে হবে। আর এ জন্য সংগঠন আবশ্যক অন্যথায় নানা প্রকার বিশৃঙ্খলা
ও বিভ্রান্তি দেখা দিবে এবং সমগ্র কর্ম প্রচেষ্টাই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।
→ প্রশাসনিক সংগঠন ঃ সংগঠন কথাটির অর্থ আত্মনির্ভরশীল অঙ্গগুলোর কাজের মধ্যে সংযোগ বিধান করা যাতে প্রতিটি অংশ যেন সমগ্র সত্তার কাঠামোধীনে বিশেষ কার্যক্রম দায়িত্ব ও ক্রিয়াসম্পাদন করতে পারে। তারই উদ্দেশ্যে এ সমন্বয়ের আয়োজন করা হয়। সংগঠন মূলত একটি যুক্তিসংগত সুপরিকল্পিত কাঠামো।
→ প্রামাণ্য সংজ্ঞা ঃ হেনরী ফয়েল এর মতে, “সংগঠন মানব ও সাজ-সরঞ্জামের দ্বৈত কাঠামোকে বুঝায় ।” হার্বার্ট সাইমন এবং তাঁর সহযোগীদের মতে, “সংগঠন হলো সহযোগিতাপূর্ণ প্রচেষ্টা এক সুপরিকল্পিত ব্যবস্থা, যেখানে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীরই এক স্বীকৃত ভূমিকা ও কর্তব্য কাজ রযেছে।
L.D Whited এর মতে, “কার্যাবলি ও দায়িত্ব বণ্টনের মাধ্যমে সর্বসম্মত উদ্দেশ্য সাধনে সহায়তাকল্পে কর্মচারীদের সুবিন্যস্ত করাই সংগঠন। সংগঠনের সামাজিক দিকটার প্রতি লক্ষ্য রেখে গল্যার্ডেন বলেছেন- “কোনো প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের পারস্পরিক সম্পর্কের রীতিনীতিই সংগঠনের মূলকথা।
F.M. Marx সংগঠনকে একটু ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর মতে, “প্রধান নির্বাহী এবং তার প্রশাসনিক অধস্তন কর্মকর্তাদের উপর ন্যস্ত কার্যাবলি সম্পাদনের উদ্দেশ্যে সুষ্ঠু কাঠামোই হলো সংগঠন।
উপসংহার. পরিশেষে বলা যায় কোনো প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য প্রশাসনিক সংগঠন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় । প্রশাসনিক সংগঠন নিশ্চিত করতে হলে প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের সমন্বয় সাধন করতে হবে। সমন্বয় সাধন ছাড়া বর্তমান যুগে কোনো প্রতিষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে চলতে পারে না এবং তার উদ্দেশ্য সার্বিকভাবে বাস্তবায়িত হয় না। তাই
সমন্বয়
যে কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ