উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ বাংলাদেশে অপরাধ ও কিশোর অপরাধের মাত্রা বেড়েই চলেছে। শত শত যুবক দারিদ্র্যের কষাঘাতে, মাদকাসক্তির প্রভাবে অপরাধপ্রবণ হয়ে উঠছে। এদেরকে শাস্তি প্রদানের আওতায় আনলে আরো অপরাধপ্রবণ হয়ে উঠার সুযোগ রয়ে যাবে। তাই পৃথিবীর অন্যান্য রাষ্ট্রের মত বাংলাদেশ ও সংশোধনমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে
অপরাধীর চারিত্রিক সংশোধনের লক্ষ্যে। আর সংশোধনমূলক কার্যক্রমের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুটি পন্থা হলো প্রবেশন ও প্যারোল। এই প্রবেশন ও প্যারোলের উদ্দেশ্যে এক আর তা হলো অপরাধীর সংশোধন সাধন তবুও কিছু পার্থক্য উভয়ের মাঝে রয়েছে।
→ প্রবেশন ও প্যারোলের মধ্যকার পার্থক্য ঃ বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ। এখানে অভাব-অনটন নিত্য দিনের সঙ্গী। বেকারত্ব, দারিদ্র্য ও অসীম চাহিদা শত শত যুবক তরুণকে অপরাধকর্মে প্রলুব্ধ করেই চলেছে।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলাদেশে সংশোধনমূলক কার্যক্রমের অন্যতম দুটি অঙ্গ হলো প্রবেশন ও প্যারোল। যাদের গুরুত্ব ও কার্যকারিতা অপরাধ নির্মূলের ক্ষেত্রে বেশ সহায়ক হয়েছে। প্রবেশন ও প্যারোলের পার্থক্যসমূহ ও এদের স্বতন্ত্রতা দানে কাজ করে থাকে। সুতরাং, প্রবেশন ও প্যারোলের মধ্যকার পার্থক্যসমূহ সুষ্ঠভাবে
দুটি ব্যবস্থার তুলনামূলক গুরুত্ব ও স্বাতন্ত্র্যতা তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে।