প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ গণতন্ত্রের পার্থক্য উল্লেখ কর।

রকেট সাজেশন
রকেট সাজেশন


অথবা, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ গণতন্ত্রের ৫টি পার্থক্য লেখ।

উত্তর: ভূমিকা : গণতন্ত্র অর্থ জনগণের সরকার। গণতান্ত্রিক সরকার জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করে। তবে জনগণ সরাসরি অথবা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে শাসনকার্য পরিচালনা করে থাকে। এর উপর ভিত্তি করে গণতন্ত্রকে দু’ভাগে বিভক্ত করা হয়। যথা: প্রত্যক্ষ বা
বিশুদ্ধ গণতন্ত্র এবং পরোক্ষ বা প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র।

‘প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ গণতন্ত্রের পার্থক্য : নিম্নে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ গণতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য উল্লেখ করা হলো :

১. যে সরকার ব্যবস্থায় জনগণ প্রত্যক্ষভাবে বা সরাসরি নিজেরাই দেশের শাসনকার্যে অংশগ্রহণ করে শাসনকার্য
পরিচালনা করে তাকে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র বলে। অপরদিকে, যে সরকার ব্যবস্থায় জনগণ তাদের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে থাকে তাকে পরোক্ষ গণতন্ত্র বলে।

২. আধুনিক কালে কোন রাষ্ট্রেই প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র প্রচলিত নেই। কিন্তু বর্তমান বিশ্বের অধিকাংশ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেই পরোক্ষ গণতন্ত্র চালু রয়েছে।

৩. ‘প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র শুধুমাত্র ক্ষুদ্রায়তন ও সংখ্যালঘু রাষ্ট্রেই সম্ভব। অপরদিকে, বৃহদায়তন ও জনবহুল রাষ্ট্রে পরোক্ষ গণতন্ত্র বিশেষ উপযোগী এবং কামা।

৪. প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রে সরাসরি জনগণের মতামত যাচাই করার সুযোগ না থাকায় সঠিকভাবে জনমত প্রতিফলিত হয়। না। অন্যদিকে, পরোক্ষ গণতন্ত্রে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তাদের কর্তব্য বা কাজকর্মের জন্য জনগণের কাছে দায়িত্বশীল থাকে। অর্থাৎ এ ব্যবস্থায় সরকারের আইন ও শাসন বিভাগ সবসময় জনমতের পক্ষে কাজ করে থাকে।

৫. প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রে সকল নাগরিকই সরাসরি রাষ্ট্রীয় কার্যে অংশগ্রহণ করে থাকে। তাই এ শাসনব্যবস্থাকে
অংশগ্রহণকারী গণতন্ত্র বলা হয়। অপরদিকে, পরোক্ষ গণতন্ত্রে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিনের দ্বারা শাসন বা সরকার পরিচালিত হয় বলে তা প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র বলা হয়য়।

উপসংহার : পরিশেষে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ গণতন্ত্রের মধ্যে নানাবিধ
পার্থক্য বিদ্যমান। প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র আজ অচল। আর কালের গতির সাথে তাল মিলিয়ে পরোক্ষ গণতন্ত্র আজকাল সর্বত্র
প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।