উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ প্রতিবন্ধীরা শারীরিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে বেশ দুর্বল প্রকৃতির। ফলশ্রুতিতে তারা স্বাভাবিক
জীবন পরিচালনায় সফল হয় না। প্রতিবন্ধীদের কল্যাণের নিমিত্তে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমের সমষ্টিকে
প্রতিবন্ধী কল্যাণ বলা হয়। বাংলাদেশে হাজার হাজার প্রতিবন্ধী মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের মৌল মানবিক চাহিদা পূরণে প্রতিবন্ধী কল্যাণ কার্যক্রমের গুরুত্ব অত্যধিক। তাই প্রতিবন্ধী কল্যাণ কার্যক্রমের পূর্ণ বিকাশ
সাধন ঘটাতে হবে।
→ প্রতিবন্ধী কল্যাণ কার্যক্রমের গুরুত্ব ঃ জন্মগত, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দুর্ঘটনা, অপুষ্টি সুচিকিৎসার অভাব, পরিবেশ দূষণ প্রভৃতি কারণে প্রতিবন্ধীত্বের। আমাদের সমাজে প্রতিবন্ধীরা প্রায়ই অবহেলোাার শিকার। এ পরিস্থিতিতে দেশের সমস্ত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সার্বিক জনগোষ্ঠীর মূল স্রোতধারার সাথে একীভূত করা একন্ত প্রয়োজন। প্রতিবন্ধীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগ্রত করে স্বাবলম্বী করে তোলা যায়। উপযুক্ত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের মাধ্যমে তাদেরকে পুনর্বাসন করা সম্ভব হবে। এসব প্রতিন্ধীদের জন্য কল্যাণ ও সেবামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে তাদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ সাধন করা সম্ভব। বিশ্বের বিভিন্ন জ্ঞানী-গুণী যেমন : জন মিল্টন, হেলেন কেলার হোমার। প্রতিবন্ধীদের উপযুক্ত চিকিৎসা, সেবাযত্ন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তদেরকে দেশের উন্নয়নের অংশীদার করা যায়। তাদের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিকে ও সচল করা সম্ভব। সুতরাং সুষ্ঠু প্রতিবন্ধী কল্যাণ কার্যক্রম গ্রহণের ফলে জাতীয় উন্নয়নে তারা অর্থবহ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলা যায় যে, প্রতিবন্ধী কল্যাণ কার্যক্রমের গুরুত্ব অত্যধিক। দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে সরকারকে এই কার্যক্রম গতিশীল করতে হবে।