অথবা, প্রজনন ও প্রজনন ক্ষমতার মধ্যকার বৈসাদৃশ্যসমূহ তুলে ধর।
অথবা,প্রজনন ও প্রজনন ক্ষমতার মধ্যকার বৈপরিত্য তুলে ধর।
অথবা, প্রজনন ও প্রজনন ক্ষমতার মধ্যকার কী কী পার্থক্য রয়েছে বর্ণনা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : জনবিজ্ঞানে প্রজনন সম্পর্কিত পঠনপাঠন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রজনন সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করে যেখানে সন্তানসন্ততির জন্মদান সম্পর্কিত বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হয়। নারী ও পুরুষের প্রজননের সাথে ভবিষ্যৎ বংশধারা নির্ধারণ ও জনসংখ্যা নির্ধারণের বিষয় সম্পর্কিত।
প্রজনন ও প্রজনন ক্ষমতার মধ্যে পার্থক্য : প্রজনন এবং প্রজনন ক্ষমতা শব্দ দুটি প্রায় একই অর্থে ব্যবহার করা হয়। উভয়ই সন্তানসন্ততি জন্মদানের বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত। কোনো কোনো জনবিজ্ঞানী ও সমাজবিজ্ঞানী এ দুটি শব্দের মধ্যে কোনো পার্থক্য টানেননি। অনেকে এ দুটি শব্দের মধ্যে সূক্ষ্ম পার্থক্য সৃষ্টি করেছেন। প্রজনন বলতে বুঝানো হয় নারী ও পুরুষের যৌন মিলনকে। যার মধ্যদিয়ে সন্তান জন্মলাভ করে। নারী-পুরুষের যৌন কর্মে অংশগ্রহণকে বলা হয় প্রজনন ক্রিয়া, যা কতকগুলো সম্পর্ক, ক্ষমতা, মানসিক ইচ্ছা প্রভৃতি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল । অন্যদিকে, প্রজনন ক্ষমতা বলতে বুঝানো হয় প্রজননের মাধ্যমে সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা বা সামর্থ্য। প্রজনন যেমন প্রজনন ক্ষমতার উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল, তেমনি প্রজনন ক্ষমতা হলো প্রজননকে কার্যকরী করার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপায় বা পন্থা। জাতিসংঘ প্রকাশিত Multilingual Demographic Dictionary -তে একইভাবে প্রজনন ও প্রজনন ক্ষমতার মধ্যে পার্থক্য রচনা করা হয়েছে। মূলত প্রজনন বলতে সন্তান জন্মদানের উদ্দেশ্যে নারী-পুরুষের যৌন মিলনে অংশগ্রহণ
করাকে বুঝায় এবং প্রজনন ক্ষমতা হলো প্রজননের মাধ্যমে সন্তান জন্মদানে সামর্থ্য।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, সন্তান জন্মদান, বংশধারা রক্ষার জন্য নারী-পুরুষ প্রজননে অংশগ্রহণ করে। প্রজননের মধ্যদিয়ে পরবর্তী বংশধারা নির্ধারিত হয়। জনসংখ্যা কাঠামোতে প্রজনন প্রত্যক্ষ প্রভাব বিস্তারকারী বিষয়। প্রজননকে প্রভাবিত করার বিভিন্ন উপাদান রয়েছে। কতকগুলো বিষয় প্রজননকে স্বাভাবিক, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও অধিক প্রজননে ভূমিকা রাখে ।