প্রকল্পের উৎস হিসেবে অতীত গবেষণা ও ক্ষেত্র পর্যবেক্ষণ বলতে কী বুঝ?

অথবা, অতীত অভিজ্ঞতা ও ক্ষেত্র পর্যবেক্ষণ কী?
অথবা, প্রকল্পের যে কোন দুটি উৎস সংক্ষেপে লিখ।
অথবা, অতীত অভিজ্ঞতা ও ক্ষেত্র পর্যবেক্ষণ বলতে কী বুঝ?
অথবা, অতীত অভিজ্ঞতা ও ক্ষেত্র পর্যবেক্ষণের ধারণা দাও।
উত্তর৷ ভূমিকা : কোন একটা ঘটনার কারণ কি হতে পারে তার একটা সম্ভাব্য উত্তরই হলো প্রকল্প সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে একটি আপাত সমাধানযোগ্য ও প্রমাণিত উক্তি হলো প্রকল্প। অর্থাৎ প্রকল্প বলতে তাই বুঝায় যা পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করা হয়।
প্রকল্পের উৎস হিসেবে অতীত গবেষণা : বিজ্ঞান প্রগতিশীল, অন্যান্য বিজ্ঞানের মতো মনোবিজ্ঞানও গবেষণার উপর প্রতিষ্ঠিত। কোন একটা গবেষণার ফলাফল বহু সমস্যার উন্মোচন করে এবং পরীক্ষণের জন্য বহুবিধ প্রকল্পের নির্দেশ দেয়।হাজার হাজার গবেষণালব্ধ তথ্য বা জ্ঞান থেকে আমরা আচরণ সম্পর্কে তথ্য পাই। বর্তমান গবেষণাসমূহ অতীত গবেষণার দ্বারা প্রণোদিত হয় এবং মাঝে মাঝে জ্ঞানের ক্ষেত্রেও অতীতের আবিষ্কারসমূহের অবদানের পরিপ্রেক্ষিতে তা সম্ভব হয়েছে।যদি গবেষক তার নিজের ক্ষেত্রের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত থাকেন, তবে গবেষণা সম্পর্কিত সমস্যাবলির প্রাপ্তিতে কখনই অভাবের সম্মুখীন হতে হয় না। ফলে প্রকল্প পেতে কখনো অসুবিধা হয় না। তাই বলা যায়, একটি গবেষণা অন্য একটি গবেষণার জন্ম দিয়ে থাকে।
প্রকল্পের উৎস হিসেবে ক্ষেত্র পর্যবেক্ষণ : আমরা দৈনন্দিন জীবনে যা কিছু পর্যবেক্ষণ করে থাকি, সেগুলো থেকেও আমরা প্রকল্প পেতে পারি। যেমন- কেউ যদি রাস্তায় রিকশা চলাচলের প্রভাব লক্ষ্য করেন, তাহলে দেখা যাবে যে, কিছু
কিছু রিকশাওয়ালার দুর্ঘটনার প্রবণতা রয়েছে। যেমন : জনবহুল জায়গার তুলনায় জনহীন জায়গায় দুর্ঘটনা কম হয় তাই।মনোবিজ্ঞানের একটি বিখ্যাত উক্তি “প্রকল্প হতাশা বিফলতার জন্ম দেয়।” পথচারীদের আচার আচরণ পর্যবেক্ষণ করেই প্রকল্পের জন্ম হয়। হতাশা তাই আমাদের আক্রমণাত্মক করে তোলে। দৈনন্দিন জীবনে পরীক্ষানিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে যাচাই করতে হবে প্রকল্পটি সত্য কি না।
উপসংহার : মনোবিজ্ঞানের গবেষণা ক্ষেত্রে প্রকল্প অত্যন্ত জরুরি। তাই মনোবিজ্ঞানের গবেষণাকে সঠিক এবং তথ্যবহুল করার জন্য প্রকল্প গ্রহণ এবং কার্যকরীকরণে যত্নবান হওয়া উচিত। সুতরাং প্রকল্পের উৎস হিসেবে অতীত অভিজ্ঞতা ও ক্ষেত্র পর্যবেক্ষণের গুরুত্ব অনস্বীকার্য।