পাকিস্তানের শাসনব্যবস্থায় সামরিক আমলাদের তিনটি ভূমিকা উল্লেখ কর ।

অথবা, পাকিস্তানের শাসনব্যবস্থায় সামরিক আমলাদের অবদানগুলো তুলে ধর।
উত্তর৷ ভূমিকা :
পাকিস্তানি শাসনব্যবস্থায় অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো সামরিক শাসন। দেশটি দীর্ঘদিন ধরে সামরিক শাসনাধীনে ছিল। ১৯৫৮ সাল থেকে বাংলাদেশের উদ্ভব পর্যন্ত সময় ছিল সামরিক শাসন যার ফলে পাকিস্তানে সামরিক আমলার উদ্ভব ঘটে এবং সামরিক আমলরা শাসনব্যবস্থায় ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে।
পাকিস্তানের শাসনব্যবস্থায় সামরিক আমলাদের তিনটি প্রভাব : ১৯৫৮ সাল থেকে পাকিস্তান সামরিক আমলাগণ রাষ্ট্রীয় নির্দেশকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়।
১. বিচারিক কার্যক্রমে প্রভাব : সামরিক আমলাদের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষমতা প্রদান করা হয়। প্রদেশের বিভিন্ন জেলায় প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটদের সরাসরি বিচারের জন্য সামরিক আদালত গঠনের ক্ষমতা অর্পণ করা হয়।
২. নীতিনির্ধারণে প্রভাব : পাকিস্তানে সামরিক আমলাগণ নীতিনির্ধারণী ভূমিকা পালন করে থাকে। সামরিক কর্মকর্তাদের অনেকেরই ছিল প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা। আইয়ুব খানের আমলে সামরিক কর্মকর্তারা বেসামরিক কর্মকর্তাদের বিশ্বাস করতেন না। নীতিনির্ধারণে সামরিক আমলাদের একচেটিয়া প্রভাব ছিল ।
৩. আইন প্রশাসক : সামরিক আমলা ছিলেন আইন প্রশাসক। সেনাপ্রধান আইয়ুব খান নিজেই একাধারে দেশের প্রেসিডেন্ট, সেনাপ্রধান ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক। যা পাকিস্তানের শাসনব্যবস্থায় সামরিক আমলাদের প্রভাব সুদৃঢ় করে।
উপসংহার : পরিশেষ বলা যায় যে, পাকিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিরতা, পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে পূর্ব পাকিস্তানের দ্বন্দ্ব। অযোগ্য নেতৃত্ব প্রভৃতির কারণে পাকিস্তানে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে এবং সামরিক আমলাদের প্রভাব সুদৃঢ় হয়।