উত্তর : ভূমিকা : সুপ্রাচীন কাল থেকেই বাংলার রূপ-ঐশ্বর্যে মুগ্ধ হয়ে বহু ব্যক্তির আগমন ঘটেছে এদেশে। সুলতানি আমলে
তার ব্যতিক্রম হয়নি। এদেশে কেউ এসেছেন যুদ্ধ করতে, কেউ ধর্ম প্রচার, আবার কেউ এসেছেন শুধুই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে। যারা সৌন্দর্যের টানে এদেশে এসেছিলেন বিভিন্ন দেশ থেকে, তারাই মূলত পর্যটক হিসেবে পরিচিত। নিম্নে পর্যটক বা ভ্রমণকারীদের সম্পর্কে লিখা হলো :
→ পর্যটক বা ভ্রমণকারী কারা : সুলতানি আমলে বাংলায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটক বা ভ্রমণকারীদের আগমন ঘটেছিল। কেউ এসেছেন রাজদূত হয়ে, কেউ এসেছেন ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্যও। এসব পর্যটকদের মধ্যে গ্রিক, রোমান, চৈনিক ও মুসলমান জাতির লোক ছিল। এসব পর্যটকদের মধ্যে ইবনে বতুতা, মাহুয়ান উল্লেখযোগ্য। এছাড়া ফ্রান্সিস ফ্রেয়ার, মন্টে কার্ভিনো, মার্কোপলো, ফ্রেয়ার অডোরিক, ফ্রেয়ার জর্ডানাস, নিকোলো কন্টি, ভাস্কো-দা-গামা, দুয়ার্তে বারবারোসা প্রমুখ
পর্যটক গুরুত্বপূর্ণ। এদের বিবরণীর মাধ্যমে মধ্যযুগীয় বাংলার সুস্পষ্ট চিত্র দেখতে পাই। বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাক্ষী এসব পর্যটক বা ভ্রমণকারীগণ। একারণে এদের রেখে যাওয়া তথ্য মধ্যযুগীয় ইতিহাসের অন্যতম উৎস।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, বিদেশি পর্যটক বা ভ্রমণকারীরা মধ্যযুগের বাংলার এক অতুলনীয় বর্ণনা দিয়ে গেছেন তাদের লেখনীর মাধ্যমে, যা আমাদের ইতিহাস রচনার এক মূল্যবান সম্পদ।