অথবা, পরীক্ষণের গবেষণায় ব্যবহৃত কার্যকরী নক্শা তৈরি কর।
অথবা, গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপনে যে গবেষণা ছক অনুসরণ করা হয়েছে তার একটি কার্যকরী নক্শা উপস্থাপন কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : গবেষণা কাজের সর্বশেষ অথচ সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল গবেষণার প্রতিবেদন লিখন। কোন গবেষণার প্রতিবেদন না লেখা পর্যন্ত গবেষণা প্রক্রিয়াটি অসম্পূর্ণ থাকে। যে কোন বিষয়ে গবেষণার মৌল উদ্দেশ্য হল নতুন জ্ঞানের উদ্ভাবন ও আদান-প্রদান। জ্ঞানের আদান-প্রদানের জন্য প্রয়োজন গবেষণার প্রতিবেদন লিখন। একটি গবেষণার কৃতিত্ব অথবা ব্যর্থতা গবেষণা প্রতিবেদন কতটা সুচারুরূপে প্রণয়ন করা হল তার উপরই বহুলাংশে নির্ভর করে। গবেষণা কাজে গবেষক হয়তো পরিচালিত কোন তাত্ত্বিক গবেষণার কাঠামো প্রণয়ন, বাস্তবধর্মী ও যৌক্তিক অনুকল্প যাচাই, সতক নমুনা কাঠামো প্রস্তুত অথবা অসাধারণ কোন তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। কিন্তু এগুলোকে যথাযথ প্রতিবেদন আকারে উপস্থাপন করতে না পারলে এদের তেমন কোন গুরুত্বই থাকে না।
গবেষণায় ব্যবহৃত কার্যকরী নকশা : গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপনে নিম্নের গবেষণা ছক অনুসরণ করা হয়েছে। যথা :
২. বিস্তারিত প্রতিবেদন, জার্নালের প্রবন্ধ ও উপস্থাপিত পেপারের বিষয়বস্তুকে তুলনামূলকভাবে নিম্নে দেখানো হল।
এখানে X = ‘অন্ত’, B = ‘সংক্ষিপ্ত’, D= ‘বিস্তারিত’ এবং O = ‘মাঝে মাঝে অন্তর্ভুক্ত’।
উপসংহার : অবশেষে বলা যায়, কোন গবেষণার বিষয়বস্তু, পদ্ধতি, প্রক্রিয়া, ফলাফল ও এর তাৎপর্য অন্যরা জানতে এবং বুঝতে পারেন প্রতিবেদনের মাধ্যমে। গবেষণার অতএব, জ্ঞান বিতরণের ক্ষেত্রে একটি ভাল প্রতিবেদনের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই উত্তমরূপে প্রতিবেদন লেখার জন্য প্রয়োজনীয় রীতিনীতি ও কলাকৌশলগুলো শিক্ষার্থীদের জানা উচিত।