পঞ্চম অধ্যায়, ইবনে রুশদ

ক-বিভাগ

পাশ্চাত্য জগতে মুসলিম মনীষীদের মধ্যে সর্বাধিক প্রভাব ছিল কার?
উত্তর : পাশ্চাত্য জগতে মুসলিম মনীষীদের মধ্যে সর্বাধিক প্রাধান্য ছিল ইবনে রুশদের ।
ইবনে রুশদ কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : ইবনে রুশদ ১১২৬ খ্রিস্টাব্দে ৫২০ হিজরিতে জন্মগ্রহণ করেন।
ইবনে রুশদ কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : ইবনে রুশদ স্পেনের কর্ডোভা নগরে জন্মগ্রহণ করেন।
ইবনে রুশদের পূর্ণনাম কী?
উত্তর : আবুল ওলিদ মোহাম্মদ ইবনে আহমদ ইবনে মোহাম্মদ ইবনে রুশদ।
ইবনে রুশদের পিতার নাম কী?
উত্তর : আহমেদ ইবনে মোহাম্মদ।
ইবনে রুশদের পিতা পেশায় কী ছিলেন?
উত্তর : ইবনে রুশদের পিতা পেশায় কর্ডোভার বিচারক (কাজি) ছিলেন।
ইবনে রুশদের শৈশব পড়ালেখা কোথায় শুরু হয়?
উত্তর : ইবনে রুশদের শৈশব পড়ালেখা স্পেনের কর্ডোভায় শুরু হয়।
ইবনে রুশদ কোন ভাষায় পারদর্শী ছিলেন?
উত্তর : ইবনে রুশদ আরবি, গ্রিক এবং হিব্রু ভাষায় পারদর্শী ছিলেন।
ইবনে রুশদ কোন কোন বিষয়ে পাণ্ডিত্য অর্জন করেছিলেন?
উত্তর : ইবনে রুশদ কুরআন, হাদিস, ফিকাহ, ইতিহাস, জ্যোতির্বিদ্যা, যুক্তিবিদ্যা, দর্শন ও চিকিৎসাবিদ্যায় পাণ্ডিত্য অর্জন করেছিলেন।
ইবনে রুশদ সবচেয়ে বেশি সুনাম অর্জন করেন কিসে?
উত্তর : ইবনে রুশদ সবচেয়ে সুনাম অর্জন করেন চিকিৎসাবিদ্যায়।
সত্তর বছর বয়সে তিনি কত ঘণ্টা পড়ালেখা করতেন?
উত্তর : সত্তর বছর বয়সে তিনি ষোল ঘণ্টা পড়ালেখা করতেন।
কর্মজীবনের শুরুতে ইবনে রুশদ কী হন?
উত্তর : কর্মজীবনের শুরুতেই ইবনে রুশদ কর্ডোভার বিচারপতি হন।
ইবনে রুশদ প্রথম কী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন?
উত্তর : ইবনে রুশদ প্রথম চিকিৎসাবিদ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।
‘কুল্লিয়াত ফিল-তিব্ব’- গ্রন্থের রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘কুল্লিয়াত ফিল-তিব্ব’-গ্রন্থের রচয়িতা ইবনে রুশদ।
ইবনে রুশদ ‘কুল্লিয়াত ফিল তিব্ব’- গ্রন্থে কী বিষয়ে আলোচনা করেছেন?
উত্তর : ইবনে রুশদ ‘কুল্লিয়াত ফিল তিব্ব’- গ্রন্থে রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
‘বসন্ত রোগ কারো দুইবার হয় না’- এ অভিমতটি কার?
উত্তর : এ অভিমতটি ইবনে রুশদের।
‘বসন্ত রোগ কারো দুইবার হয় না’- এ অভিমতটি ইবনে রুশদ কোন গ্রন্থে প্রকাশ করেছেন?
উত্তর : এ অভিমতটি ইবনে রুশদ তাঁর ‘কুল্লিয়াত ফিল-তিব্ব’- গ্রন্থে প্রকাশ করেছেন।
ইবনে রুশদ কোন খলিফার রাজচিকিৎসক দলের প্রধান ছিলেন?
উত্তর : ইবনে রুশদ মারাকেশের খলিফা আবু ইয়াকুব ইউসুফ-এর রাজচিকিৎসক দলের প্রধান ছিলেন।
ইবনে রুশদ কিসের মধ্যে সমন্বয়সাধন করেন?
উত্তর : ইবনে রুশদ ধর্ম ও দর্শনের মধ্যে সমন্বয়সাধন করেন।
খ্রিস্টান পাদ্রীরা কাকে ‘পাপের প্রতিশব্দ’ হিসেবে চিহ্নিত করে?
উত্তর : খ্রিস্টান পাদ্রীরা ইবনে রুশদকে ‘পাপের প্রতিশব্দ’ হিসেবে চিহ্নিত করে
ইবনে রুশদ কত সালে কোথায় নির্বাসিত হন?
উত্তর : ইবনে রুশদ ১১৯৫ সালে ‘ইলসাস’ নামক স্থানে নির্বাসিত হন।
ইবনে রুশদকে নির্বাসিত করে কে?
উত্তর : কর্ডোভার খলিফা ইবনে রুশদকে নির্বাসিত করে।
ইবনে রুশদকে কেন নির্বাসনে দেয়া হয়?
উত্তর : ইবনে রুশদের দর্শনকে ইসলাম বিরোধী তত্ত্ব হিসেবে চিহ্নিত করে তাকে নির্বাসনে দেয়া হয়।
ইবনে রুশদের দর্শন গ্রন্থগুলো কী করা হয়?
উত্তর : ইবনে রুশদের দর্শন গ্রন্থগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়।
Tahafut al-Tahafut (তাহাফুত আল-তাহাফুত) গ্রন্থের রচয়িতা কে?
উত্তর : Tahafut al-Tahafut গ্রন্থের রচয়িতা ইবনে রুশদ।
কোন গ্রন্থের জন্য ইবনে রুশদ সবচেয়ে বেশি দুর্নাম কুড়িয়েছেন?
উত্তর : ‘তাহাফুত ‘আল-তাহাফুত’ গ্রন্থের জন্য ইবনে রুশদ সবচেয়ে বেশি দুর্নাম কুড়িয়েছেন।
Tahafut al-Tahafut-গ্রন্থের শেষ বাক্যের একটি অংশ উল্লেখ কর।
উত্তর : এ গ্রন্থের শেষ বাক্যের একটি অংশ হচ্ছে- “God knows every single letter”- (খোদা প্রত্যেক
ছিন্নপত্র সম্পর্কে জানেন)।
ইবনে রুশদ কত সালে ইন্তেকাল করেন?
উত্তর : ইবনে রুশদ ১১৯৮ সালের ১০ ডিসেম্বর ইন্তেকাল করেন।
God knows every single letter, and perhaps God will accept my excuse and forgive my
stumbling in His bounty, generosity, munificence and excellence-there is no God but
He!- এটি কার কথা?
উত্তর : এটি ‘তাহাহুত আল-তাহাফুত’ গ্রন্থের শেষ বাক্য ইবনে রুশদের কথা।
ধর্মের সারসত্তা কী?
উত্তর : ধর্মের সারসত্তা হলো বিশ্বাস।
দর্শনের সারসত্তা কী?
উত্তর : দর্শনের সারসত্তা হলো যুক্তি।
“ইসলাম ধর্ম এবং দর্শন পরস্পর প্রতিদ্বন্দ্বী নয়- উভয়ের সমন্বয় সম্ভব”- এটি কাদের মতবাদ?
উত্তর : এটি ফালাসিফা সম্প্রদায়ের দার্শনিকদের মতবাদ।
পাশ্চাত্য জগতে ইবনে রুশদ কী নামে পরিচিত ছিলেন?
উত্তর : পাশ্চাত্য জগতে ইবনে রুশদ Averroes (এ্যাভেরোজ) নামে পরিচিত ছিলেন।
কোন বিষয়ে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই?
উত্তর : ইবনে রুশদের মতে, প্রত্যাদিষ্ট বিষয়ের ক্ষেত্রে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই।
দর্শন কী ধরনের জ্ঞান?
উত্তর : দর্শন মানুষের প্রজ্ঞা নিসৃত জ্ঞান।
কে মানুষকে প্রজ্ঞাদান করেছেন?
উত্তর : মহান আল্লাহ মানুষকে প্রজ্ঞাদান করেছেন।
দর্শন অবাঞ্চিত হতে পারে না কেন?
উত্তর : দর্শন হচ্ছে আল্লাহ প্রদত্ত মানুষের প্রজ্ঞা নিঃসৃত জ্ঞান, বিধায় তা অবাঞ্চিত হতে পারে না।
ইবনে রুশদ দর্শন বলতে কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর : ইবনে রুশদের মতে, দর্শন হচ্ছে মানুষের প্রজ্ঞা নিঃসৃত সেই জ্ঞান যা তাকে আংশিক জ্ঞাত সত্য থেকে যুক্তিনিষ্ঠ অনুমানের মাধ্যমে অজানা অনেক রহস্য উন্মোচনে সাহায্য করে।
দর্শন ধর্মের কী?
উত্তর : দর্শন ধর্মের পরিপূরক।
ইবনে রুশদ জ্ঞানকে কয় ভাগে ভাগ করেছেন?
উত্তর : ইবনে রুশদ জ্ঞানকে তিনভাগে ভাগ করেছেন।
ইবনে রুশদের মতে, জ্ঞানের প্রকারত্রয় কী কী?
উত্তর : ১. অলংকারিক জ্ঞান, ২. যৌক্তিক জ্ঞান বা দ্বন্দ্বমূলক জ্ঞান, ৩. প্রতিপাদক জ্ঞান ।
অলংকারিক জ্ঞান বলতে কী বুঝ?
উত্তর : যে জ্ঞান রূপক বা প্রতীকের মাধ্যমে সহজেই লাভ করা যায়, তাকে অলংকারিক জ্ঞান বলে।
যৌক্তিক বা দ্বন্দ্বমূলক জ্ঞান কী?
উত্তর : যে জ্ঞান কার্যকারণ সম্পর্কের উপর নির্ভর করে দুই বা ততোধিক ধারণা অলংকরণের মাধ্যমে পাওয়া যায়
তাকে যৌক্তিক বা দ্বন্দ্বমূলক জ্ঞান বলে।
প্রতিপাদক জ্ঞান কাকে বলে?
উত্তর : যে জ্ঞান শুদ্ধবুদ্ধি বা ধীশক্তির মাধ্যমে লাভ করা যায়, তাকে প্রতিপাদক জ্ঞান বলে ।
তিন প্রকারের জ্ঞানের ভিত্তিতে ইবনে রুশদ মানুষকে কয় শ্রেণিতে বিভক্ত করেছেন?
উত্তর : তিন প্রকারের জ্ঞানের ভিত্তিতে রুশদ মানুষকে তিন শ্রেণিতে বিভক্ত করেছেন।
ইবনে রুশদ কর্তৃক বিভাজিত মানুষের শ্রেণিগুলো উল্লেখ কর।
উত্তর : ১. সাধারণ মানুষ, ২. ধর্মতাত্ত্বিক মানুষ, ৩. দার্শনিক মানুষ ।
ধর্মীয় বিষয়কে বুঝতে কারা অলংকারিক পদ্ধতি ব্যবহার করে?
উত্তর : ধর্মীয় বিষয়কে বুঝতে সাধারণ মানুষ অলংকারিক পদ্ধতি ব্যবহার করে।
ধর্মতাত্ত্বিকেরা কিসের মাধ্যমে ধর্মকে উপলব্ধি করেন?
উত্তর : ধর্মতাত্ত্বিকেরা যৌক্তিক জ্ঞানের মাধ্যমে ধর্মকে উপলব্ধি করেন।

খ-বিভাগ

প্রশ্ন।১।মুসলিম দর্শনে ইবনে রুশদের অবদান সংক্ষেপে লিখ।
প্রশ্ন।২।ইবনে রুশদের যুক্তিবিদ্যা সম্পর্কে লিখ।
প্রশ্ন।৩।ইবনে রুশদের জ্ঞানতত্ত্ব সংক্ষেপে লিখ।
প্রশ্ন।৪।ইবনে রুশদ এর সৃষ্টিতত্ত্ব সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখ।
প্রশ্ন।৫।আল্লাহ্র অস্তিত্ব সম্পর্কে দার্শনিক ও আল-গাজালির মতবাদ ইবনে রুশদ কিভাবে আলোচনা করেন?
প্রশ্ন।৬।জগতের সৃষ্টিকর্তা ও কারণ সম্পর্কিত ইবনে রুশদের মতবাদ সংক্ষেপে লিখ।
প্রশ্ন।৭।আল্লাহর গুণাবলি সম্পর্কে ইবনে রুশদের মতবাদ সংক্ষেপে লিখ।
প্রশ্ন।৮।ইবনে রুশদের দৃষ্টিতে গাজালির মতবাদ সংক্ষেপে লিখ।।
প্রশ্ন।৯।দৈহিক পুনরুত্থান সম্পর্কে ইবনে রুশদের মতবাদ সংক্ষেপে লিখ।
প্রশ্ন।১০।কার্যকারণ সম্পর্কে ইবনে রুশদের মতবাদ সংক্ষেপে লিখ।
প্রশ্ন।১১।আত্মার অবিনশ্বরতা সম্পর্কে ইবনে রুশদের দৃষ্টিভঙ্গি সংক্ষেপে লিখ ।
প্রশ্ন।১২।ধর্ম ও দর্শনের সমন্বয় প্রসঙ্গে ইবনে রুশদের মতবাদ সংক্ষেপে লিখ।
প্রশ্ন।১৩।জগতের অনাদিত্ব সম্পর্কে রুশদের বক্তব্য সংক্ষেপে লেখ ।

গ-বিভাগ

প্রশ্ন।১।মুসলিম দর্শনে ইবনে রুশদের অবদান আলোচনা কর।
প্রশ্ন।২।যুক্তিবিদ্যা সম্পর্কে ইবনে রুশদের ধারণা ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।৩।জগতের সৃষ্টিকর্তার (আল্লাহর) অস্তিত্ব প্রমাণ প্রসঙ্গে ইবনে রুশদের অভিমত আলোচনা কর ।
প্রশ্ন॥৪॥আল্লাহর একত্ব সম্পর্কে ইবনে রুশদ কিভাবে দার্শনিকদের যুক্তি মূল্যায়ন করেছেন তা আলোচনা কর।
প্রশ্ন।৫।আল্লাহর জ্ঞান নিয়ে দার্শনিক ও ইমাম আল গাজালির মধ্যে যে বিবাদ তা ইবনে রুশদ কিভাবে মূল্যায়ন করেছেন?
প্রশ্ন।৬।ইবনে রুশদ কিভাবে আল্লাহর গুণাবলি সম্পর্কে দার্শনিকদের যুক্তি ও ইমাম আল গাজালির যক্তির সমন্বয় সাধন করেছেন?
প্রশ্ন॥৭॥গাজালির মতবাদসমূহ ইবনে রুশদ কিভাবে মূলায়ন করেছেন?
প্রশ্ন৷৮।দৈহিক পুনরুত্থান সম্পর্কে ইমাম আল গাজালি ও দার্শনিকদের যুক্তিগুলো ইবনে রুশদ কিভাবে আলোচনা করেন?
প্রশ্ন।৯।আত্মা একটি আধ্যাত্মিক পদার্থ এ সম্পর্কে ইবনে রুশদ কিভাবে গাজালির যুক্তিগুলো পর্যালোচনা করেন?
প্রশ্ন।১০৷ইবনে রুশদ কিভাবে আত্মার অবিনশ্বরতা বা অমরত্বের পক্ষে দার্শনিকদের যুক্তিসমূহ ও গাজালির যুক্তিসমূহকে মূল্যায়ন করেছেন?
প্রশ্ন।১১।কার্যকারণ নিয়ম সম্পর্কে ইবনে রুশদ কিভাবে দার্শনিকদের যুক্তি মূল্যায়ন করেছেন?
প্রশ্ন৷১২।ইবনে রুশদ কিভাবে আত্মার অবিনশ্বরতা বা অমরত্বের পক্ষে দার্শনিকদের যুক্তিসমূহ ও গাজালির যুক্তিসমূহকে মূল্যায়ন করেছেন?
প্রশ্ন।১৩।ইবনে রুশদের জ্ঞানতত্ত্ব আলোচনা কর।
প্রশ্ন৷১৪৷ সৃষ্টিতত্ত্ব সম্পর্কে ইবনে রুশদ কিভাবে তার পূর্ববর্তী ফালাসিফা দার্শনিকদের থেকে স্বতন্ত্র মত প্রদান করেছেন?
প্রশ্ন।১৫।ইবনে রুশদ কিভাবে ধর্ম ও দর্শনের মধ্যে সমন্বয়সাধন করেন? ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন।১৬।জগতের অনাদিত্ব সম্পর্কে ইবনে রুশদের মতবাদ ব্যাখ্যা কর।