নীতি বিশ্লেষণের পদ্ধতিসমূহ উল্লেখ কর।

উত্তর। ভূমিকা ঃ নীতি বিশ্লেষণ বলতে এমন কার্যক্রমকে বুঝায় যা সামাজিক নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের পর্যায়সমূহ বর্ণনা করে। নীতি বিশ্লেষণ একটি গবেষণালব্ধ বিষয়। নীতি বিশ্লেষণের মাধ্যমে সামাজিক নীতি প্রণয়নের প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়। নীতি বিশ্লেষণ করে মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়। এই নীতি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বিভিন্ন সমাজ বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
নীতি বিশ্লেষণ পদ্ধতিঃ যে সব পদ্ধতির মাধ্যমে সামাজিক নীতির বিশ্লেষণ করা যায়।
নিম্নে সেগুলো তুলে ধরা হলো ঃ
১. চাহিদা নিরূপণ ঃ জনগণের চাহিদা নিরূপণের লক্ষ্যে নীতি প্রণীত হয়ে থাকে। নীতি বিশ্লেষকরা সমস্যার প্রকৃতি, কারণ, চাহিদা, পরিধি, ব্যাপকতা যাচাই বাছাই করে থাকেন।
২. খরচ-সুবিধা বিশ্লেষণ ঃ এই বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে লাভ-ব্যয়ের হিসাবকে প্রাধান্য দেয়া হয়। যার মাধ্যমে সামাজিক নীতির মূল্যায়ন করা হয়। এখানে সামাজিক নীতি সংখ্যাতাত্ত্বিকভাবে পরিমাপ করা হয়ে থাকে। এই পদ্ধতির মূল লক্ষ্যই হলো ব্যয়ের চেয়ে আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি করা।
৩. খরচ-ফলাফল বিশ্লেষণ : এখানে ফলাফলের আলোকে সকল নীতির খরচ দেখানো হয়। অর্থের মাপকাঠিতে নীতির মূল্যায়ন করা হয় না। বরং কিছু সুবিধার আলোকে ব্যয় বিবেচিত হয়ে থাকে।
৪. ফলাফল সমীক্ষা ৪ এখানে ফলাফল বিবেচনা করতে ব্যয় বা আর্থিক সুবিধার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় না। এখানে বিভিন্ন নীতির ফলাফলের মধ্যে তুলনা করা হয়ে থাকে। তাই ফলাফল সমীক্ষা বলতে লাভের কথা বিবেচনা করে, ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে নীতি বিশ্লেষণ করাকে বুঝায়।
৫. ঘটনা অনুধ্যান ৪ ঘটনা অনুধ্যানের মাধ্যমে নীতি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব হয়। ঘটনা অনুধ্যানের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে নীতি প্রণয়নের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা পাওয়া যায়। তাই ঘটনা অনুধ্যান নীতি বিশ্লেষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি।
উপসংহার। পরিশেষে বলা যায় যে, আর্থিক সুবিধার হিসেবে ছাড়াও নীতির ফলাফল নিরূপন করা সম্ভব। এখানে ফলাফল বিবেচনা করতে ব্যয় বা আর্থিক সুবিধার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় না। এখানে বিভিন্ন নীতির ফলাফলের মধ্যে তুলনা করা হয়ে থাকে। তাই ফলাফল সমীক্ষা বলতে লাভের কথা বিবেচনা না করে। ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে নীতি
বিশ্লেষণ করাকে বুঝায়।