উত্তর ৪ ভূমিকা : সামাজিক নীতি প্রণয়ন করা হয়, সামাজিক উদ্দেশ্য নির্দিষ্টকরণ এবং সেই উদ্দেশ্য অর্জনের পর্যাপ্ত সম্পদ সংগ্রহ ও তার বিনিয়োগের প্রকৃতি বা ধরন নির্ধারণের জন্য।
→ নীতি বাস্তবায়ন কর্মকাঠামো ঃ নীতি বাস্তবায়ন কর্মকাঠামো সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো :
১. নতুন নীতি উদ্ভাবন ও চিহ্নিতকরণ ঃ নীতি বাস্তবায়ন কর্মকাঠামোর প্রথম উপাদান হলো নীতি উদ্ভাবন ও চিহ্নিতকরণ। এটি মূলত লিখিত হয়ে থাকে। নীতি নির্বাচন কঠিন বা সহজ হয়। নীতি চিহ্নিত করতে হলে ব্যাপক জন বলের প্রয়োজন দেখা দেয়। নীতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে সফলতা ব্যর্থতা বিবেচনায় আনতে হয়।
২. অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ঃ নীতি বাস্তবায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। যে-কোনো নীতি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে অর্থের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। আর এই অর্থ রাজনীতি ও অর্থনীতির ভিত্তিতে বরাদ্দ দেয়া সম্ভব হয়। এই অর্থ বরাদ্দ সংস্থার কর্মকর্তাদের মনোভাবের ওপর প্রভাব বিস্তার করে থাকে।
৩. নীতি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ঃ নীতি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়ে থাকে। এই প্রক্রিয়া একটি দীর্ঘকালীন সময়ব্যাপী। নীতি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, কর্মচারী সাংগাঠনিক কাঠামো, তত্ত্বাবধান, পারিপার্শ্বিক পরিবেশের ওপর প্রভাব বিস্তার করে থাকে।
৪. নীতি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ঃ নীতি বাস্তবায়ন যেহেতু একটি দীর্ঘসময়ব্যাপী, তাই এটি সংস্কারের প্রয়োজন দেখা দেয় । নীতি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় সংস্কার না হলে, সুফল লাভ করা সম্ভব হয় না নীতি বাস্তবায়নে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলে সংস্কার সাধনের ব্যবস্থা নেয়া হয়ে থাকে।
৫. চূড়ান্ত ঃ নীতি বাস্তবায়ন কর্মকাঠামোর সর্বশেষ উপাদান হলো চূড়ান্ত ফলাফল। এপর্যায়ে নীতিকে যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত ফলাফল প্রদর্শন করা হয়। এসব নীতির সবল ও দুর্বল দিক চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে ফলাফল প্রদান করা হয়।
উপসংহার। পরিশেষে বলা যায় যে, সামাজিক নীতি প্রণয়ন করা হয় সামাজিক উদ্দেশ্য নির্দিষ্টকরণ এবং সেই উদ্দেশ্য অর্জনের পর্যাপ্ত সম্পদ সংগ্রহ ও তার বিনিয়োগের প্রকৃতি বা ধরন নির্ধারণের জন্য। সামাজিক নীতি মূলত
জনকল্যাণের পথকে নির্দেশ করে। তাই আধুনিক সমাজে এর গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি।