উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ সামাজিক নীতি প্রণয়ন করা হয়, সামাজিক উদ্দেশ্যে নির্দিষ্টকরণ এবং সেই উদ্দেশ্য অর্জনের পর্যাপ্ত সম্পদ সংগ্রহ ও তার বিনিয়োগের প্রকৃতি বা ধরন নির্ধারণের জন্য ।
→ নীতি অনুশীলনবিদদের কার্যাবলি ঃ নীতি অনুশীলনবিদরা নিম্নোক্ত কার্যাবলি মাধ্যমে সামাজিক নীতি অনুশীল করে থাকে। আমরা সেগুলো উল্লেখ করব :
১. নীতি বিষয়ক কার্যপ্রণালি নির্ধারণ ঃ নীতি অনুশীলনবিদদের নীতি বিষয়ক কার্যপ্রণালি নির্ধারণ করতে হয়। অনুশীলনবিদদের নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানে জন্য কার্যপ্রণাতির দায়িত্ব পালন করে থাকেন। নীতি প্রণয়নের কার্যপ্রণালি যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করা হয়ে থাকে। নীতি বিষয়ক কার্যপ্রণালি অনুশীলনবিদদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
২. সমস্যার সংজ্ঞা নির্ধারণ ঃ অনুশীলনবিদগণ নীতির উপস্থাপন বিশ্লেষণ করতে গিয়ে সমস্যা সংজ্ঞায়িত করার কাজ
করে থাকেন । নীতি প্রণয়নের সাথে জড়িত সমস্যার সংজ্ঞা, প্রভাব, পরিধি, কারণ প্রভৃতি দিক সম্পর্কে বিশ্লেষণ করা হয়।
৩. প্রস্তাব তৈরিকরণ ঃ নীতি অনুশীলনবিদদের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো প্রস্তাব তৈরি করা। এ পর্যায়ে বিকল্প
নীতির বিকল্পসমূহ চিহ্নিত করা হয় এবং বিকল্পনীতিগুলোর সুবিধা-অসুবিধা যাচাই করে প্রস্তাব আকারে পেশ করা হয়।
৪. নীতি বিধিবদ্ধকরণ ঃ অনুশীলনবিদগণ নীতি বিধিবদ্ধকরণ কাজ করে থাকেন। প্রস্তাবিত নীতি অনুমোদনের পর্যায়ে নীতি বিধিবদ্ধকরণ কাজ সম্পাদিত হয়ে থাকে।
৫. নীতি বাস্তবায়ন ঃ নীতি অনুশীলনবিদদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো নীতি বাস্তবায়ন করা। নীতি বাস্ত বায়নের ক্ষেত্রে অনুশীলনবিদগণ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে থাকেন। নীতি বাস্তবায়নের জন্য অনুশীলনবিদদের প্রশাসনিক ও সাংগঠনিক জ্ঞান অর্জন করতে হয়।
৬. প্রশাসনিক ও সাংগঠনিক জ্ঞান ঃ নীতি অনুশীলনবিদদের সকলের কাজ হলো নীতি মূল্যায়ন করা। নীতি মূল্যায়ন বা যাচাইকরণ অনুশীলনবিদদের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। অনুশীলনবিদরা নীতি বিশ্লেষণ দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমেই কর্মসূচি মূল্যায়ন করেন। কর্মসূচি নীতি বাস্তবায়নের বাহন হিসেবে কাজ করে থাকে ।
উপসংহার। পরিশেষে বলা যায় যে, সামাজিক নীতি হচ্ছে যেসব সুশৃঙ্খল নিয়ম-কানুন বা নির্দেশ যা সমাজ কল্যাণমূলক কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আদর্শ হিসেবে করা হয়।