অথবা, দুর্ঘটনা থেকে নিরাপদ থাকবেন কীভাবে?উত্তর:
ভূমিকা: নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ২০০৩ সাল থেকে, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা ২৮ এপ্রিল শিল্প বা কর্মক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা দিবস পালন করে। আমাদের দেশে শিল্প নিরাপত্তা খুবই শোচনীয়। নানা কারণে দুর্ঘটনার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক শিল্পে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক কাজ করে। বেশির ভাগ কর্মক্ষেত্রে নেই কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
নিরাপত্তা: দুর্ঘটনা থেকে শিল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। সেগুলি নীচে আলোচনা করা হল:
১. প্রবিধান: দুর্ঘটনার আশেপাশের নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় বিধি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। যেমন- অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র স্থাপন, লিফট পরিদর্শন এবং অন্যান্য চলন্ত যন্ত্রপাতি শৈল্পিক নিরাপত্তা প্রদানের মাধ্যমে করা যেতে পারে।
২. পরিদর্শন: এটি শুধুমাত্র নিয়ম তৈরি করার বিষয়ে নয়। সেগুলো বাস্তবে বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য যথাযথ মনিটরিং ব্যবস্থা থাকতে হবে।
৩. গবেষণা: দুর্ঘটনা সংগঠনে সহায়ক উপাদানের উপর নিয়মিত গবেষণা পরিচালনা করা। গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
৪. শিক্ষা: দুর্ঘটনার নিরাপত্তা বিধানের উপর কর্মচারী শিক্ষা নিরাপত্তা সমস্যা অবহিত করার উদ্দেশ্যে সাহায্য করে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বা কমার্স কলেজে নিরাপত্তা শিক্ষা দেওয়া যেতে পারে।
৫. পদোন্নতি এবং পদোন্নতি: পদোন্নতি এবং পদোন্নতির মাধ্যমে কর্মচারীদের নিরাপত্তা সম্পর্কে অবহিত করা হয়, নিরাপদ আচরণ শেখানো হয়। ক্যাম্পেইনের কৌশলগুলো হলো- প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন দেয়ালে আকর্ষণীয় পোস্টার লাগানো, প্ল্যাকার্ড ব্যবহার করা, গ্রাফ ও চার্ট দেখানো, কর্মীদের নিরাপত্তা পুস্তিকা বিতরণ করা। পোস্টার এবং প্ল্যাকার্ডের বার্তা সংক্ষিপ্ত, সুনির্দিষ্ট, সহজ এবং আকর্ষণীয়. বার্তাটি এমন হবে যেন এটি মানুষের নিরাপদ কর্মের প্রম্পট আচরণ, তাকে সতর্ক করে।
৬. নিরাপত্তা কর্মসূচী: ব্যবস্থাপনাকে কর্মীদের নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। একটি নিরাপদ কাজের পরিবেশ কর্মীদের মানসিক শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তবে নিরাপত্তার দায়িত্ব শুধু কর্তৃপক্ষের ওপর ছেড়ে দিলে চলবে না, সচেতন হতে হবে কর্মচারীদের।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, মানুষের বিভিন্ন অংশের মানসিক গঠনও ভিন্ন। এই কারণে, নিরাপত্তা সমস্যাগুলির প্রতি কর্মচারীদের মনোভাব অঞ্চলভেদে কিছুটা পরিবর্তিত হয়। তাই নিরাপত্তার দিকে নজর দেওয়া প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব।