অথবা,নিরাপত্তার প্রতি মনোভাব বলতে কী বোঝ?উত্তর:
ভূমিকা: নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ২০০৩ সাল থেকে, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা ২৮ এপ্রিল শিল্প বা কর্মক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা দিবস পালন করে। আমাদের দেশে শিল্প নিরাপত্তা খুবই শোচনীয়। নানা কারণে দুর্ঘটনার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক শিল্পে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক কাজ করে। বেশির ভাগ কর্মক্ষেত্রে নেই কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
নিরাপত্তার প্রতি মনোভাব: কর্মচারী মনোভাবের সাথে। দুর্ঘটনার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এই মনোভাব মূলত নির্ভর করে কিভাবে কর্মচারী কাজ পছন্দ করে তার উপর। কর্মচারীদের আগ্রহ এবং কাজের সন্তুষ্টি বাড়াতে সাহায্য করে এমন যেকোনো কিছু দুর্ঘটনা কমাতেও সাহায্য করে।কর্মচারীর মনোভাব থেকে জ্ঞান, সাহস ও দক্ষতাকে দুর্ঘটনার উৎস হিসেবে দেখাতে হবে। কিছু কর্মচারী প্রায়ই মনে করেন যে তারা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং খুব দ্রুত কাজটি সম্পূর্ণ করতে চান, যা প্রায়ই দুর্ঘটনার দিকে পরিচালিত করে। তাদের নিজস্ব কর্মক্ষমতা নিয়ে সন্দেহের মধ্যে থাকা কর্মচারীরা সময়মতো প্রতিক্রিয়া দেখাতে ব্যর্থ হতে পারে এবং দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মচারীকে তার সহকর্মী ছাড়াও অনেক উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কাজ করতে হয়। কখনও কখনও কর্মকর্তাদের সন্তুষ্ট করতে অতিরিক্ত কাজও করে। এটি দুর্ঘটনার জন্য খুবই বিপজ্জনক।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, মানুষের বিভিন্ন অংশের মানসিক গঠনও ভিন্ন। এই কারণে, নিরাপত্তা সমস্যাগুলির প্রতি কর্মচারীদের মনোভাব অঞ্চলভেদে কিছুটা পরিবর্তিত হয়। তাই নিরাপত্তার দিকে নজর দেওয়া প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য।