অথবা, বাংলাদেশে ২০০৮ সালের নারী উন্নয়ন নীতিমালার প্রধান দিকসমূহ বর্ণনা কর।
অথবা, নারী উন্নয়ন নীতিমালা ২০০৮ এর প্রধান প্রধান দিকগুলো উল্লেখ কর।
অথবা, নারী উন্নয়ন নীতিমালা ২০০৮ এর প্রধান প্রধান দিকগুলো তুলে ধর।
উত্তর৷ ভূমিকা : বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ ও জাতীয় নারীর যথাযথ মর্যাদ ও স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে আসছে। বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে গৃহীত জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি এ ধারাবাহিকতার অংশ। বাংলাদেশে সর্বশেষ ২০০৮ সালের ৮ মার্চ জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ঘোষণা করা হয়।
নারী উন্নয়ন নীতি মালা ২০০৮ : ৮ মার্চ ২০০৮ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। বৈষম্য নয়, নারীর জন্য চাই সমতার পৃথিবী। এ বিষয়কে প্রতিপাদ্য করে সমগ্র বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও এ দিবসটি পালন করা হয়। এ দিবসকে সামনে রেখে ৮ মার্চ ২০০৮ তারিখে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা ২০০৮ ঘোষিত হয়েছে। জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার অনুমোদন করেছে “জাতীয় নারী উন্নয়ন নীত ৩৮”। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত বৈঠকে এ নীতিমালা অনুমোদন করে। নারী উন্নয়ন নীতিমাল ২০০৮ এর প্রধান দিকসমূহ হলো :
১. জাতীয় সংসদের এক-তৃতীয়াংশ সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের কথা উল্লেখ করা হয়।
২. মাতৃত্বজনিত ছুটি ৪ মাসের বদলে ৫ মাস করার বিধানের কথা বলা হয়
৩. রাষ্ট্রদূত, বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশন, পরিকল্পনা কমিশন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বিচার বিভাগের শীর্ষপদে নারীদের নিয়োগের উদ্যোগ নেয়া।
৪. অর্থনৈতিক সমতায়নের ক্ষেত্রে জরুরি বিষয় হিসেবে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, তথ্য কারিগরি শিক্ষা, সম্পদ, ঋণ প্রযুক্তি এবং বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অর্জিত সম্পত্তির ক্ষেত্রে সকল সুযোগ এবং নিয়ন্ত্রণের অধিকার দেয়ার কথা বলা হয়।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে বলা যায় যে, নারী ক্ষমতায়ন, নারী উন্নয়ন সভ্যতার অগ্রগতি ও মানব সমাজের বিকাশের জন্য অবশ্যই অপরিহার্য। কাজেই এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত যা সমাজে বিদ্যমান নারী পুরুষ সকলের জন্য প্রগতির সহায়ক হিসেবে কাজ করে।