উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ দেশের নারী সমাজের কল্যাণে নারী উন্নয়ন নীতির গুরুত্ব অত্যধিক। নারী উন্নয়ন নীতিতে নারীদের কল্যাণ ও উন্নয়নের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নারীর বৈষম্য বিলোপ, নারীর মানবাধিকার, পারিবারিক সহিংসতা দূরীকরণ, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও নারী শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে, নারীর কর্মসংস্থান,
নারীর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, নারীর দারিদ্র্য বিমোচন প্রভৃতি সকল দিকের নির্দেশনা রয়েছে নারী উন্নয়ন নীতিতে।
→ নারীদের কল্যাণে নারী উন্নয়ন নীতির গুরুত্ব ঃ নিয়ে নারীদের কল্যাণে নারী উন্নয়ন নীতির গুরুত্ব আলোচনা হলো :
১. নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ঃ এ দেশের নারী সমাজের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা নারী উন্নয়ন নীতির গুরুত্ব অত্যধিক। আইনের আশ্রয়, সমানাধিকার নারীর প্রতিনিধিত্ব প্রভৃতি সকল ব্যাপারে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় নারীনীতি সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।
২. বৈষম্য দূরীকরণ ঃ নারীর প্রতি বৈষম্যবোধে কার্যকর ব্যবস্থা গৃহীত হয় নারী নীতিতে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ নারীর বৈষম্য দূর করতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। নারীর অধিকার সংরক্ষণে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৩. পারিবারিক সহিংসতা দূরীকরণ ঃ সংবিধানে প্রদত্ত নারী ও শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পারিবারিক সহিংসতা রোধে ও সুরক্ষা নিমিত্তে প্রণয়ন করা হয় পারিবারিক সহিংসতা আইন-২০১০। ফলে এ ক্ষেত্রেও নারীনীতি নারীর উন্নয়নে ভূমিকা পালন করছে।
৪. নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ঃ পারিবারিক ও সামাজিক পর্যায়। এবং কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি শারীরিক, মানসিক ও যৌন নিপীড়ন নারী ধর্ষণ, পতিতাবৃত্তিতে নিয়োগ, যৌতুক ও নারী। প্রতি সহিংসতা দূর করা হচ্ছে এ নীতির অন্যতম কাজ । এ জন্য প্রণীত হয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন। এ লক্ষ্যে সারাদেশে ৪৪টি ট্রাইব্যুনাল স্থাপিত হয়েছে।
৫. নারীর শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ৪ নারীর শিক্ষা বৃদ্ধি, নারী পুরুষের মধ্যে শিক্ষার হার ও সুযোগের বৈষম্য দূর করা এবং উন্নয়নের মূল স্রোত ধারায় নারীকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে সক্রিয় ও স্পষ্ট নীতি অনুসরণ করা হয়। নারী উন্নয়ন নীতিতে নারী শিক্ষা ও নারী প্রশিক্ষণের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এজন্য শিক্ষার হার বৃদ্ধি, উপবৃত্তি ও অবৈতনিক শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা প্রভৃতি বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
8
৬. নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন : নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে জরুরি বিষয়াদি যথা- স্বাস্থ্য, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, জীবনব্যাপী শিক্ষা, কারিগরী শিক্ষা, তথ্য, উপার্জনের সুযোগ, উত্তরাধিকার, সম্পদ, ঋণ প্রযুক্তি এবং বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অর্জিত সম্পদসমূহ ভূমির উপর অধিকার ইত্যাদির ক্ষেত্রে নারীর পূর্ণ ও সমান সুযোগ এবং নিয়ন্ত্রণের অধিকার দেয়া এবং সেই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নতুন আইন প্রণয়ন করা।
৭. নারীর দারিদ্র্য দূরীকরণ ঃ নারীকে দারিদ্রমুক্ত করতে হলে স্বাবলম্বী করতে হবে। নারী নীতিতে নারীর দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। দারিদ্র্য নারী শ্রমশক্তির দক্ষতা বৃদ্ধিকল্পে তাদের সংগঠিত করে ও প্রশিক্ষণ নিয়ে নতুন এবং বিকল্প অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুযোগ সৃষ্টি করা।
৮. জাতীয় অর্থনীতির সকল কর্মকাণ্ডে নারীর সক্রিয় ও সমঅধিকার নিশ্চিতকরণ ঃ অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানসমূহের সিন্ধান্ত গ্রহণ পর্যায়ে নারীর অংশগ্রহণ এবং নারী-পুরুষের মধ্যে বিরাজমান পার্থক্য দূর করা। নারীর ক্ষমতায়নের প্রতি লক্ষ্য রেখে সমষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি প্রণয়নে ও কর্মসূচিতে নারীর চাহিদা স্বার্থ বিবেচনার রাখা।
৯. নারীর কর্মসংস্থান ঃ নারী শ্রমশক্তির শিক্ষিত ও নিরক্ষর উভয় অংশের কর্মসংস্থানের জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ
গ্রহণ
করা, চাকরি ক্ষেত্রে নারীর বর্ধিত নিয়োগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রবেশ পর্যায়সহ সকল ক্ষেত্রে কোটা বৃদ্ধি এবং কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা এই নীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
১০. নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ঃ রাজনীতিতে অধিক হারে নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য প্রচার
মাধ্যমসহ রাজনৈতিক দলসমূহের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা নারী নীতির মূল লক্ষ্য।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলা যায় যে, এ দেশের নারীদের কল্যাণ ও উন্নয়ন নারী নীতির গুরুত্বকে অস্বীকার করা যায়। না। নারী নীতি যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে নারী সমাজের উন্নয়ন অনেকাংশেই নির্ভরশীল।
নারীদের কল্যাণে নারী উন্নয়ন নীতির গুরুত্ব আলোচনা কর ।
উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ দেশের নারী সমাজের কল্যাণে নারী উন্নয়ন নীতির গুরুত্ব অত্যধিক। নারী উন্নয়ন নীতিতে নারীদের কল্যাণ ও উন্নয়নের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নারীর বৈষম্য বিলোপ, নারীর মানবাধিকার, পারিবারিক সহিংসতা দূরীকরণ, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও নারী শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে, নারীর কর্মসংস্থান,
নারীর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, নারীর দারিদ্র্য বিমোচন প্রভৃতি সকল দিকের নির্দেশনা রয়েছে নারী উন্নয়ন নীতিতে।
→ নারীদের কল্যাণে নারী উন্নয়ন নীতির গুরুত্ব ঃ নিয়ে নারীদের কল্যাণে নারী উন্নয়ন নীতির গুরুত্ব আলোচনা হলো :
১. নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ঃ এ দেশের নারী সমাজের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা নারী উন্নয়ন নীতির গুরুত্ব অত্যধিক। আইনের আশ্রয়, সমানাধিকার নারীর প্রতিনিধিত্ব প্রভৃতি সকল ব্যাপারে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় নারীনীতি সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।
২. বৈষম্য দূরীকরণ ঃ নারীর প্রতি বৈষম্যবোধে কার্যকর ব্যবস্থা গৃহীত হয় নারী নীতিতে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ নারীর বৈষম্য দূর করতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। নারীর অধিকার সংরক্ষণে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৩. পারিবারিক সহিংসতা দূরীকরণ ঃ সংবিধানে প্রদত্ত নারী ও শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পারিবারিক সহিংসতা রোধে ও সুরক্ষা নিমিত্তে প্রণয়ন করা হয় পারিবারিক সহিংসতা আইন-২০১০। ফলে এ ক্ষেত্রেও নারীনীতি নারীর উন্নয়নে ভূমিকা পালন করছে।
৪. নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ঃ পারিবারিক ও সামাজিক পর্যায়। এবং কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি শারীরিক, মানসিক ও যৌন নিপীড়ন নারী ধর্ষণ, পতিতাবৃত্তিতে নিয়োগ, যৌতুক ও নারী। প্রতি সহিংসতা দূর করা হচ্ছে এ নীতির অন্যতম কাজ । এ জন্য প্রণীত হয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন। এ লক্ষ্যে সারাদেশে ৪৪টি ট্রাইব্যুনাল স্থাপিত হয়েছে।
৫. নারীর শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ৪ নারীর শিক্ষা বৃদ্ধি, নারী পুরুষের মধ্যে শিক্ষার হার ও সুযোগের বৈষম্য দূর করা এবং উন্নয়নের মূল স্রোত ধারায় নারীকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে সক্রিয় ও স্পষ্ট নীতি অনুসরণ করা হয়। নারী উন্নয়ন নীতিতে নারী শিক্ষা ও নারী প্রশিক্ষণের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এজন্য শিক্ষার হার বৃদ্ধি, উপবৃত্তি ও অবৈতনিক শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা প্রভৃতি বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
8
৬. নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন : নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে জরুরি বিষয়াদি যথা- স্বাস্থ্য, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, জীবনব্যাপী শিক্ষা, কারিগরী শিক্ষা, তথ্য, উপার্জনের সুযোগ, উত্তরাধিকার, সম্পদ, ঋণ প্রযুক্তি এবং বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অর্জিত সম্পদসমূহ ভূমির উপর অধিকার ইত্যাদির ক্ষেত্রে নারীর পূর্ণ ও সমান সুযোগ এবং নিয়ন্ত্রণের অধিকার দেয়া এবং সেই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নতুন আইন প্রণয়ন করা।
৭. নারীর দারিদ্র্য দূরীকরণ ঃ নারীকে দারিদ্রমুক্ত করতে হলে স্বাবলম্বী করতে হবে। নারী নীতিতে নারীর দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। দারিদ্র্য নারী শ্রমশক্তির দক্ষতা বৃদ্ধিকল্পে তাদের সংগঠিত করে ও প্রশিক্ষণ নিয়ে নতুন এবং বিকল্প অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুযোগ সৃষ্টি করা।
৮. জাতীয় অর্থনীতির সকল কর্মকাণ্ডে নারীর সক্রিয় ও সমঅধিকার নিশ্চিতকরণ ঃ অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানসমূহের সিন্ধান্ত গ্রহণ পর্যায়ে নারীর অংশগ্রহণ এবং নারী-পুরুষের মধ্যে বিরাজমান পার্থক্য দূর করা। নারীর ক্ষমতায়নের প্রতি লক্ষ্য রেখে সমষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি প্রণয়নে ও কর্মসূচিতে নারীর চাহিদা স্বার্থ বিবেচনার রাখা।
৯. নারীর কর্মসংস্থান ঃ নারী শ্রমশক্তির শিক্ষিত ও নিরক্ষর উভয় অংশের কর্মসংস্থানের জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ
গ্রহণ
করা, চাকরি ক্ষেত্রে নারীর বর্ধিত নিয়োগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রবেশ পর্যায়সহ সকল ক্ষেত্রে কোটা বৃদ্ধি এবং কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা এই নীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
১০. নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ঃ রাজনীতিতে অধিক হারে নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য প্রচার
মাধ্যমসহ রাজনৈতিক দলসমূহের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা নারী নীতির মূল লক্ষ্য।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলা যায় যে, এ দেশের নারীদের কল্যাণ ও উন্নয়ন নারী নীতির গুরুত্বকে অস্বীকার করা যায়। না। নারী নীতি যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে নারী সমাজের উন্নয়ন অনেকাংশেই নির্ভরশীল।