অথবা, দুর্ঘটনার ধরন লিখুন।
অথবা, শিল্প দুর্ঘটনার ধরন লিখ।উত্তর:
ভূমিকা: দুর্ঘটনা একটি গুরুতর সমস্যা। এটি এমন একটি সমস্যা যা কখনও কখনও মৃত্যু বা কখনও পূর্ণ বা আংশিক অক্ষমতা সৃষ্টি করে। সব ঘটনাই কমবেশি দুর্ঘটনা ক্ষতিগ্রস্তদের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি করে এবং সম্পদ ও সময় নষ্ট করে।
দুর্ঘটনার শ্রেণীবিভাগ: 1962 সালে (ILO 1978) দুর্ঘটনা শ্রম পরিসংখ্যানবিদদের দশম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা কর্তৃক একটি আদর্শ পেশাগত শ্রেণীবিভাগ গৃহীত হয়েছিল। এই ব্যবস্থা অনুযায়ী দুর্ঘটনাকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা:
ক. দুর্ঘটনার ধরন: ব্যক্তি পড়ে যাওয়া, পড়ে যাওয়া বস্তুর দ্বারা আঘাত করা, কোনো বস্তুর দ্বারা ধরা পড়া, অতিরিক্ত পরিশ্রম বা প্রচণ্ড নড়াচড়া, অতিরিক্ত তাপমাত্রার সংস্পর্শে আসা, বৈদ্যুতিক প্রবাহের সংস্পর্শে আসা, ক্ষতিকারক পদার্থ বা বিকিরণ এবং অন্যান্য দুর্ঘটনার সংস্পর্শে আসা। যা শ্রেণীবদ্ধ করা হয় না।
খ. এজেন্সি: যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম, পরিবহন এবং উত্তোলন সামগ্রী, পণ্য এবং বিকিরণ, কাজের পরিবেশ এবং অন্যান্য মিডিয়া অন্য কোথাও শ্রেণীবদ্ধ নয়।
গ. আঘাতের প্রকৃতি মোচ, মোচ এবং স্ট্রেন, ভোঁতা বল আঘাত এবং: হাড় ভাঙা, অন্যান্য অভ্যন্তরীণ আঘাত, অঙ্গচ্ছেদ, অন্যান্য আঘাত, ছোটখাটো আঘাত, ক্ষত, পোড়া, শ্বাসরোধ, বৈদ্যুতিক আঘাত, বিবিধ আঘাত বা বিভিন্ন প্রকৃতির ক্ষতি এবং অন্য কোথাও এই ধরনের আঘাত বা ক্ষতি শ্রেণীবদ্ধ করা হয় না।
ঘ.আঘাতের শারীরিক অবস্থান: মাথা, ঘাড়, ধড়, উপরের অঙ্গ, নীচের অঙ্গ, একাধিক অবস্থান, সাধারণ আঘাত, অপ্রকাশিত অবস্থান।
উপসংহার: যদিও দুর্ঘটনাগুলি অপ্রত্যাশিত, তবে সেগুলি ঐশ্বরিক ঘটনা নয়। কারণ ঐশ্বরিক ঘটনার ওপর মানুষের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তাই দুর্ঘটনা যদি ঐশ্বরিক হতো তাহলে তা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা মানুষের থাকতো না। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, দুর্ঘটনার কারণগুলো দূর করা গেলে এড়ানো যায়। তাই, কোনো মানবিক প্রক্রিয়া সম্পূর্ণরূপে ত্রুটিপূর্ণ নয় দুর্ঘটনা সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধ করা যায় না।