ক-বিভাগ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
১. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর জন্ম ও মৃত্যু সাল কত?
উত্তর : ১৮৫৩-১৯৩১।
২. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর প্রকৃত নাম কী?
উত্তর : শরত্নাথ ভট্টাচার্য।
৩. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : নৈহাটি- উত্তর চব্বিশ পরগনা।
৪. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কত সালে ‘শাস্ত্রী’ উপাধি লাভ করেন?
১৮৭৭।
৫. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কর্মজীবনে কোথায় কোথায় কাজ করেন?
উত্তর :
কলকাতা হেয়ার স্কুল, লক্ষ্মৌ ক্যানিং কলেজ, কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা সংস্কৃত কলেজ।
৬. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কোন রচনার জন্য হোলকার পুরস্কার লাভ করেন?
উত্তর : ভারত মহিলা’।
৭. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর অধিকাংশ প্রবন্ধ কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল?
উত্তর : বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায়।
৮. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর শ্রেষ্ঠ কর্ম কী?
উত্তর : ১৯০৭ সালে নেপালের রাজদরবারের পুঁথিশালা থেকে চর্যাপদের পুঁথি আবিষ্কার করা।
৯. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী চর্যাপদ ১৯১৬ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে কী নামে প্রকাশ করেন?
উত্তর: ‘হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা’ নামে।
১০. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর নিবন্ধের সংখ্যা কত?
উত্তর : ৫২টি।
১১. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর অন্যতম রচনাগুলো কী কী?
উত্তর : ভারতবর্ষের ইতিহাস’ (পাঠ্যগ্রন্থ) ‘বাংলা প্রথম ব্যাকরণ’ (পাঠ্যগ্রন্থ), ‘বাল্মীকি জয়’ ‘মেঘদূত ব্যাখ্যা’, ‘কাঞ্চনমাল
(উপন্যাস), ‘বেনের মেয়ে’ (উপন্যাস), ‘সচিত্র রামায়ণ’, ‘প্রাচীন বাংলার গৌরব’, ‘বৌদ্ধধর্ম’।
১২. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধের নাম কী?
উত্তর : তৈল’।
১৩. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ‘তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে তৈল কী পদার্থ তা প্রথমে কারা বুঝেছিলেন?
উত্তর : সংস্কৃত কবিরা।
১৪. সংস্কৃত কবিদের মতে তৈলের অপর নাম কী?
উত্তর :স্নেহ।
১৫. বাস্তবিক কীসের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই?
উত্তর: তৈল এবং স্নেহ।
১৬. ‘আমি তোমায় স্নেহ কর এবং আমি তোমায় স্নেহ করি’ এর অর্থ করি?
উত্তর : আমরা পরস্পরকে তৈল দিয়া থাকি ।
১৭. ‘যাহা স্নিগ্ধ এবং ঠাণ্ডা করে’ তার অপর নাম কী?
উত্তর : স্নেহ।
১৮. কোন বস্তু সবচেয়ে বেশি মানুষকে ঠাণ্ডা করতে পারে?
উত্তর : তৈল।
১৯. সংস্কৃত কবির মানুষকে কোন উপদেশ দিয়া গেছেন?
উত্তর : মনুষ্যকে সমানরূপে সেন্ত করতে বা তৈল দিতে।
২০. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী তৈল’ প্রবন্ধের ভাষ্যানুসারে কী সর্বশক্তিমান কে?
উত্তর : যে সর্বশক্তিময় তৈল ব্যবহার করতে জানে।
২১. কার কাছে জগতের সর্ব কাজই সোজা?
উত্তর : যে সর্বশক্তিময় তৈল ব্যবহার করতে জানে।
২২. কার চাকরির জন্য ভাবতে হয় না?
উত্তর: যে সর্বশক্তিময় তৈল ব্যবহার করতে জানে।
২৩. কার উকালতিতে পসার করবার জন্য সময় নষ্ট করতে হয় না?
উত্তর: যে সর্বশক্তিময় তৈল ব্যবহার করতে জানে।
২৪. কার বিনা কাজে বসে থাকতে হয় না?
উত্তর: যে সর্বশক্তিময় তৈল ব্যবহার করতে জানে।
২৫. কাকে কোনো কাজে শিক্ষানবীশ থাকতে হয় না?
উত্তর: যে সর্বশক্তিময় তৈল ব্যবহার করতে জানে।
২৬. কে বিদ্যা না থাকলেও প্রফেসর হতে পারে?
উত্তর: যে তৈল দিতে পারে।
২৭. কে আহাম্মুক হলেও ম্যাজিস্ট্রেট হতে পারে?
উত্তর:যে তৈল দিতে পারে।
২৮. কার সাহসা না থাকলেও সেনাপতি হতে পারে?
উত্তর: যে তৈল দিতে পারে।
২৯.কে দুর্লভরাম হয়েও উড়িষ্যার গভর্নর হতে পারে?
উত্তর: যে তৈল দিতে পারে।
৩০. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে কার মহিমা অতি অপরূপ?
উত্তর : তৈলের।
৩১. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ‘তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে কী না হলে জগতে কোনো কাজই হয় না?
উত্তর: তৈল।
৩২. কী না হলে কল চলে না, প্রদীপ জ্বলে না, ব্যঞ্জন সুস্বাদু হয় না, চেহেরা খোলে না, হাজার গুণ থাকুক তার পরিচয় মেলে না?
উত্তর : তৈল।
৩৩. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ‘তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে কী থাকলে মানুষের কিছুর অভাব হয় না?
উত্তর : তৈল প্রদানের ক্ষমতা।
৩৪.হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ‘তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে কী নানারূপে পৃথিবীতে ব্যপ্ত হয়ে আছে?
উত্তর : তৈল।
৩৫. কীসের নানা মূর্তি দেখা যায়?
উত্তর : তৈলের।
৩৬. আমরা যে গুরুজনকে ভক্তি করি তার অপর নাম কী?
উত্তর: ভক্তি?
৩৭. ‘যাহাতে গৃহিণীকে স্নিগ্ধ করি’তার অপর নাম কী ?
উত্তর: প্রণয়।
৩৮. ‘যাহাতে প্রতিবেশীকে স্নিগ্ধ করি’ তার অপর নাম কী?
উত্তর :মৈত্রী।
৩৯. যা দ্বারা সমস্ত জগতকে স্নিগ্ধ করি তার অপর নাম কী?
উত্তর : শিষ্টাচার ও সৌজন্য ‘ফিলনথপি’ ।
৪০. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ‘তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে যা দ্বারা আমরা সাহেবকে স্নিগ্ধ করি তার অপর নাম কী?
উত্তর : লয়েলটি।
৪১. যা দ্বারা বড়লোককে স্নিগ্ধ করি তার অপর নাম কী?
উত্তর : নম্রতা বা মডেস্টটি।
৪২. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ‘তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে আমরা অনেককে তৈল দিই কেন?
উত্তর : তৈল বের করার জন্য।
৪৩. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে অগ্ন্যুগম নিবারণের উপায় কী?
উত্তর : তৈল প্রদান ।
৪৪. রেলচাকায় কী দেওয়া হয়?
উত্তর: তৈলের অনুকল্প চর্বি জাতীয় পদার্থ ।
৪৫. যখন দুজন মানুষের ঘোরতর বিবাদ উপস্থিত হয় – তখন কী এসে উভয়কে ঠাণ্ডা করে দেয়?
উত্তর : রফা নামক তৈল ।
৪৬.. কীসের আলাদা পাত্র আছে এবং কৌশল আছে?
উত্তর : তৈল দেওয়ার।
৪৭. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ‘তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে কী দিলে কিছু না কিছু উপকার হবেই?
উত্তর: তৈল।
৪৮. অধিক কাজ হয় কিসে?
উত্তর : উপযুক্ত সময়ে তৈল দিলে।
৪৯. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ‘তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে কী দিলে কিছু না কিছু উপকার হবেই?
উত্তর : তৈল।
৫০. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ‘তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে তৈলের গুণতারতম্য আছে কোথায়?
উত্তর: ব্যক্তিবিশেষে।
উত্তর : তৈল।
উত্তর :
৫১. কোন জিনিস পাওয়া দুর্লভ?
উত্তর: নিষ্কৃত্রিম তৈল ।
৫২. কী সকল পদার্থের গুণই আত্মসাৎ করতে পারে?
উত্তর : তৈল।
৫৩. বিদ্যাকে আরো মূল্যবান করে তোলে কী?
উত্তর: তৈল।
৫৪. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ‘তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে বিদ্যা-বুদ্ধিকে আরো সার্থক করে তোলে কীসে?
উত্তর : তৈলে।
৫৫. ধনকে আরো মুল্যবান করে তোলে কী?
উত্তর: তৈল।
৫৬. কোন প্রবৃত্তি মানুষের স্বাভাবিক?
উত্তর: তৈল দিবার প্রবৃত্তি।
৫৭. কাজ লোকের হতে হলে কোন বিষয় আগে দরকার?
উত্তর: তৈলদান।
৫৮. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ‘তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী স্কুল প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন কেন?
উত্তর: তৈলদান শেখানোর জন্য।
৫৯. তৈলদান স্কুলে শাস্ত্রী মহাশয় কাকে প্রিন্সিপাল করতে বলেছেন?
উত্তর: রায় বাহাদুর কিংবা খাঁ বাহাদুরকে।
৬০. উকীলি শিক্ষার নিমিত্ত ল’কালজে কাকে নিয়োগদানের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: একজন তৈল অধ্যাপক।
৬১. কী করতে গেলে গোলোযোগ উপস্থিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে?
উত্তর : তৈল প্রদানের স্কুল খুলতে গেলে।
৬২. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ‘তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে কোন কথা কেউ স্বীকার করেন না?
উত্তর: তৈল প্রদানের কথা।
৬৩. কোন বিদ্যার অধ্যাপক জোটা ভার?
উত্তর: তৈল প্রদানের স্কুলের অধ্যাপক।
৬৪. কোন বিদ্যা দেখে শিখতে হয়?
উত্তর : তৈল প্রদান।
৬৫. কার কাছে গেলে তৈল প্রদান শেখা যায়?
উত্তর : যার কাছে গেলে চাকরি বা প্রমোশনের সুপারিশ মেলে।
৬৬. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে বাঙালির একমাত্র ভরসা কী?
উত্তর: তৈল প্রদান।
৬৭. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ‘তৈল’ প্রবন্ধ অনুসারে যে শিক্ষা এদেশে কঠিন সে শিক্ষার জন্য কোথায় যাওয়া উচিত?
উত্তর: বিলাত।
৬৮. রমণীরা কোন বিষয়ে প্রধান অধ্যাপক?
উত্তর: বিলাত যাওয়ার বিষয়ে।
৬৯. “এক তৈলে চাকাও ঘোরে আর তৈলে মনও ঘোরে।”- কে, কোথায় বলেছেন?
উত্তর: হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ‘তৈল’ প্রবন্ধে।