উত্তর : ভূমিকা : ইতিহাস রচনার জন্য উৎস বা উপাদানের বিকল্প কিছু নাই। তাম্রশাসন বা শিলালিপি এধারার ব্যতিক্রম
নয়। শিলালিপির মাধ্যমে কোনো সময়ের নির্দিষ্ট ইতিহাস জানতে পারি। ইতিহাসের অন্যান্য উৎস-এর মত শিলালিপির
গুরুত্বও কম নয়। তাম্রলিপি হতে তৎকালীন শাসকের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ড জানা যায় ।
→ শিলালিপি বা তাম্রশাসন : তাম্রশাসন থেকে যে ঐতিহাসিক তথ্য সংগ্রহ করা যায় তার মূল্য অনেক বেশী। লোহা, সোনা, রুপা, তামা, পিতল, ব্রোঞ্জ, মাটি, মাটির জিনিস, ইট, পাথর, মণি-মাণিক্য প্রভৃতি তাম্র শাসনের বাহন তাম্রফলক। তবে এর মধ্যে তামার ফলকই বিশেষ উল্লেখযোগ্য। দামপত্র,
অভিষেক, রাজত্বকাল, রাজাদের প্রশাস্তি, বিজয়গাথাঁ, রাজাদের আদেশ, নিষেধ, কর্মকাণ্ড, শ্লোকগাঁথা তাম্রফলকে লিপিবদ্ধ
থাকে। ফলে এগুলো দিয়ে কোন নির্দিষ্ট রাজবংশের কালের অতি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি ইতিহাস পুনর্গঠনে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন
করে থাকে। অধিকাংশ তাম্রশাসন সংস্কৃত, প্রাকৃত ও পালি প্রভৃতি ভাষায় লেখা ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, তাম্রশাসনের মাধ্যমে ঐতিহাসিক বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। এগুলোর মাধ্যমে কিছুটা হলেও সুস্পষ্ট ইতিহাস জানা যায়। আমরা বলতে পারি যে, শিলালিপি বা তাম্রশাসন সুস্পষ্ট ইতিহাস জানার জন্য অত্যন্ত ফলপ্রসূ একটি ইতিহাসের উপাদান ।