অথবা, তত্ত্বাবধানের ৬টি বৈশিষ্ট্য লিখ।
অথবা, তত্ত্বাবধানের বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ কর।
অথবা, তত্ত্বাবধানের প্রকৃতিসমূহ কী কী?
উত্তর।৷ ভূমিকা : M. W. Jonson বলেছেন, মূলত বিভিন্ন সেবাগ্রহীতার জন্যে প্রদত্ত সেবাকে কার্যকর ও ফলপ্রসু
করার লক্ষ্যে তত্ত্বাবধানের প্রয়োজন পড়ে। তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটি এককের উপর অর্পিত দায়িত্বের সুষ্ঠু সম্পাদনের প্রচেষ্টা সম্পন্ন হয় এবং সংস্থার বিভিন্ন পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত অংশের মধ্যে সমন্বয়সাধন করা হয় :
তত্ত্বাবধানের বৈশিষ্ট্য
তত্ত্বাবধানের বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো :
১. তত্ত্বাবধান প্রশাসনের একটি প্রক্রিয়া বা কর্ম ।
২. তত্ত্বাবধান যিনি করেন তিনি তত্ত্বাবধায়ক ।
৩. তত্ত্বাবধান তত্ত্বাবধায়কের কার্যাবলি পরিচালনার একটি প্রক্রিয়া।
৪. এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সকল স্তরের মধ্যেই ইতিবাচক কর্মধারা বজায় থাকে ।
৫. এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মচারীদের সাথে যোগাযোগের একটা মাধ্যম রচিত হয় ।
৬. তত্ত্বাবধান প্রশাসনে নিয়োজিত সকল কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির অন্যতম মাধ্যম।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় যে, তত্ত্বাবধায়কের অধীনে মাঠকর্ম সম্পাদিত হয়।শুধু মাঠকর্ম অনুশীলনই নয় বরং যে কোন গবেষণার ক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়ক গাইডলাইন হিসেবে কাজ করেন। এজন্য তত্ত্বাবধায়ক একজন দক্ষ ও মানবীয় গুণসম্পন্ন ব্যক্তিত্বের অধিকারী হতে হয় ।