অথবা, ডক্যুমেন্টারি স্টাডির সুবিধাসমূহ উল্লেখ কর।
অথবা, ডক্যুমেন্টারি স্টাডির কী কী সুবিধা রয়েছে তুলে ধর।
অথবা, ডক্যুমেন্টারি স্টাডির সবল দিকসমূহ লিখ।
উত্তর৷ ভূমিকা : সামাজিক গবেষণার তথ্যসংগ্রহে যেসব পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে ডক্যুমেন্ট স্টাডি ব্যবহার করে গবেষণা কর্ম পরিচালনা করে তাকে ডক্যুমেন্ট স্টাডি বলা হয়। এ পদ্ধতির যেমন কতকগুলো সুবিধা রয়েছে। অন্যতম । সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক গবেষকগণ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি নথিপত্র ও দলিল এমন তথ্য হিসেবে
ডক্যুমেন্ট স্টাডির সুবিধা : নিম্নে ডক্যুমেন্ট স্টাডির সুবিধা আলোচনা করা হলো :
১. অসাম্য ও দুষ্প্রাপ্য বিষয়াদি : যেসব অবস্থা বা বিষয় সম্পর্কে অনুসন্ধান কাজে গবেষকের দৈহিক প্রবেশাধিকার সম্ভব নয়, সে সব বিষয়ের উপর অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে ডক্যুমেন্ট উপযোগী তথ্য সংগ্রহ মাধ্যম ।
২. প্রতিক্রিয়াহীনতা : অনুসন্ধানটি একমুখী হওয়ার কারণে উত্তরদাতার প্রতিক্রিয়া বা অন্য কোনো প্রভাব পড়ে না ।
৩. অনুকল্প গঠন ও তুলনা : উপস্থিতি ডক্যুমেন্ট সামাজিক গবেষণার অনুকল্প গঠনে তাত্ত্বিক ভিত্তি হিসেবে কাজ করে আবার বিভিন্ন সামাজিক অবস্থার তুলনামূলক সমীক্ষার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সরবরাহ করে ।
৪. নমুনা আকার : এ পদ্ধতিতে বিস্তৃত এলাকায় নমুনা নিয়ে জরিপের কাজ করা যায় ।
৫. উন্নতমান : কিছু কিছু ডক্যুমেন্ট অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য (যেমন- লোক গণনা রিপোর্ট), ফলে প্রাপ্ত তথ্যও উন্নতমানের হয়।
৬. ঐতিহাসিক পদ্ধতি : এটি ঐতিহাসিক বিষয় গবেষণার একমাত্র পদ্ধতি ।
৭. স্বতঃস্ফূর্ততা : প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণের মতো এখানেও স্বতঃস্ফূর্ততা, প্রাথমিক তৎপরতা বা অনুভূতি ধারণ করা যায়। যথা : আত্মচরিত, রোজনামচা, চিঠিপত্র ইত্যাদি ।
৮. স্বীকারোক্তি : প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে ব্যক্তির অনেক সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না। কিন্তু রোজনামচা, আত্মচরিত, আত্মহত্যাপত্র ইত্যাদিতে সত্য ঘটনা নিহিত থাকে ।
৯. সাশ্রয় : এখানে তুলনামূলক খরচ ও সময় কম লাগে।
১০. গোপনীয়তা রক্ষা : উত্তরদাতার কাছ থেকে প্রত্যক্ষ তথ্য সংগ্রহ করার চেয়ে ডক্যুমেন্ট ব্যবহারে যাবতীয় গোপনীয়তা রক্ষা করা সুবিধাজনক ।
১১. দীর্ঘস্থায়ী : প্রয়োজন হলে দীর্ঘসময় ধরে গবেষণা কাজ চালনা করা হয় তবুও কারো বিরক্তি হয় না ।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, ডক্যুমেন্ট স্টাডি সাম্প্রতিকালে কিছু গবেষণার একমাত্র পদ্ধতি হিসেবে কাজ করে। এ পদ্ধতি ডক্যুমেন্টের কার্যকারিতার উপর নির্ভরশীল বলে সংশ্লিষ্ট সবারই উচিত গবেষণার প্রয়োজনে বিভিন্ন ডক্যুমেন্ট মানসম্মত ও বৈজ্ঞানিক উপায়ে সংরক্ষণ করা এবং তার ব্যবহার নিশ্চিত করা । সবশেষে বলা যায় যে, এ পদ্ধতি বর্তমানে বেশি উপযোগী ভূমিকা পালন করে থাকে ।