জাপানের ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের কারণসমূহকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়:
- সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কারণসমূহ:
- জাপানের ঐতিহ্যবাহী সামাজিক কাঠামো: জাপানে দীর্ঘদিন ধরে একটি দৃঢ় সামাজিক কাঠামো বিদ্যমান রয়েছে। এই কাঠামোতে ব্যক্তির পারিবারিক ও পেশাগত পরিচয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এটি জাপানিদের মধ্যে দলবদ্ধতা, সহযোগিতা ও আত্মত্যাগের মানসিকতা গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে।
- জাপানিদের শ্রম-নৈতিকতা: জাপানিরা সাধারণত পরিশ্রমী ও নিষ্ঠাবান। তারা কাজের প্রতি আন্তরিকতার সাথে নিবেদিত থাকে। এটি জাপানি ব্যবস্থাপনায় উৎপাদনশীলতা ও গুণগত মান উন্নত করতে সাহায্য করেছে।
- জাপানিদের মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা: জাপানের শিক্ষাব্যবস্থা বিশ্বের অন্যতম সেরা। এই শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদেরকে মূল্যবোধ, দক্ষতা ও জ্ঞানের সমন্বিত বিকাশের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এটি জাপানি ব্যবস্থাপনায় দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে সহায়তা করেছে।
- অর্থনৈতিক কারণসমূহ:
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানের অর্থনৈতিক উন্নয়ন: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপান একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল। তবে, জাপানিরা ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে দাঁড়িয়ে একটি শক্তিশালী অর্থনীতি গড়ে তোলে। এই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য জাপানি ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- জাপানের শিল্পনীতি: জাপান সরকার শিল্পনীতির মাধ্যমে দেশীয় শিল্পের উন্নয়নে সহায়তা করেছে। এই শিল্পনীতির মধ্যে ছিল উচ্চ প্রযুক্তি ও গবেষণা ও উন্নয়নের উপর গুরুত্ব দেওয়া। এটি জাপানি ব্যবস্থাপনায় উদ্ভাবন ও দক্ষতা উন্নত করতে সাহায্য করেছে।
জাপানের ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে উপরোক্ত কারণসমূহের পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগ, সরকারি সহায়তা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।