উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি স্বেচ্ছামূলক সংস্থা হিসেবে ব্র্যাকের অগ্রযাত্রা। ব্র্যাকের বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দরিদ্র-অ-অসহায় জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নের সর্বোত্তম প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। ১৯৭১ সালে
যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের জনগণের জন্য নানাবিধ ত্রাণমূলক সহায়তা প্রদানে ব্র্যাকের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এটি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, সহজশর্তে ঋণদান সহ এর আওতাভুক্ত জনগোষ্ঠীর সার্বিক কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। তাই ব্র্যাকের অবদান জাতীয় উন্নয়নে অত্যধিক। আর এর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাও গর্ব করার মত।
→ জাতীয় উন্নয়নে ব্র্যাকের অবদান : জাতীয় উন্নয়নে ব্র্যাকের অবদান নিম্নে আলোচনা করা হলো :
১. পল্লী উন্নয়ন কার্যক্রম ঃ গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ব্র্যাক পল্লিউন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে। এ কার্যক্রম দেশে ৭টি অঞ্চলে বিভক্ত হয়েছে। ১৯৪৯ সাল থেকে ৫৬টি গ্রামীণ সংগঠনের মধ্যেও দু’লাখ সদস্যকে নিয়ে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন হতে থাকে। একজন এরিয়া ম্যানেজার এবং একজন কর্মসূচি সংগঠক কার্যক্রমের সার্বিক দায়িত্ব বাস্তবায়ন করে থাকে। এতে দরিদ্র শ্রেণিদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সহজশর্তে ঋণদানের মাধ্যমে
স্বকর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সহায়তা করা হয়। ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৮ সালের জুন পর্যন্ত ২২৩ মিলিয়ন টাকা ব্র্যাক সরবরাহ করে থাকে।
২. হাওর উন্নয়ন কার্যক্রম ঃ বাংলাদেশের হবিগঞ্জে ও সুনামগঞ্জে বহু হাওর এলাকা রয়েছে। উক্ত এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুন্নত হওয়াসহ অন্যান্য সুবিধার অভাবে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়ন বেশ ব্যাহত হচ্ছে। এ ব্যবস্থার উত্তরণে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি হাওর উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে নিশ্চিত করছে।
৩. শিক্ষাউন্নয়ন কার্যক্রম ঃ বাংলাদেশের শিক্ষার উন্নয়নে ব্র্যাকই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ১৯৮৫ সালে
মানিকগঞ্জের কয়েকটি গ্রামে রীক্ষামূলকভাবে ২২টি উপানুষ্ঠানিক স্কুল চালু করা হয়। পরবর্তীতে সারাদেশে প্রসারিত হচ্ছে। ফলে প্রাথমিক শিক্ষাগ্রহণের হার বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে ব্র্যাক ফি পাঠদানের সাথে সাথে বিনামূল্যে বই খাতাপত্র ও দান করে থাকে।
৪. আইনি সেবা কার্যক্রম ঃ বর্তমানে বাংলাদেশে ব্র্যাকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম হিসেবে আইনি সেবা চিহ্নিত হয়েছে। গ্রামীণ অজ্ঞ, দরিদ্র ও দুর্বল মানুষকে অধিকার আদায়ে সহায়তাদানে এ কর্মসূচির উদ্ভব। আর এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে জনসাধারণকে আইনগত অধিকার সম্পর্কে সজাগ করা।
৫. ব্র্যাক ব্যাংক প্রকল্প : প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় দরিদ্র, ভূমিহীন ও অসহায় ব্যক্তিদের মূলধন সরবরাহ করার লক্ষে এ্যাক গ্রামীণ ব্যাংকের অনুরূপ ব্যাংক প্রকল্প গ্রহণ করেছে। যা এদেশের ব্যবসায়-বাণিজ্যের প্রসারে বেশ সহায়তা করছে। ১৯৯০ সাল থেকে এই প্রকল্পের শুরু হলেও আজ এর কার্যক্রম বেশ বিস্তৃত হয়েছে।
৬. সমন্বিত পল্লি উন্নয়ন কার্যক্রম : দেশের উন্নয়নের ধারাকে আরো বেগবান করার লক্ষ্যে ব্র্যাক সমন্বিত পল্লি উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এ জাতীয় কার্যক্রমের মাধ্যমে গ্রামীণ ভূমিহীন মহিলা এবং পুরুষের সংগঠিত সমবায়ের মাধ্যমে তাদের আর্থ-সামাজিক কল্যাণ সাধনের প্রচেষ্টা চালানোই এই কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য, তাই বাংলাদেশে এ
কার্যক্রমের গুরুত্ব বেড়েই চলেছে।
৭. প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা ঃ বাংলাদেশে পল্লি উন্নয়ন কার্যক্রমে নিয়োজিত হাজার হাজার কর্মীদের প্রশিক্ষণদানের মাধ্যমে পেশাগত দক্ষতা ও মানবসম্পদের উন্নয়নের লক্ষ্যেই মূলত সারাদেশে ব্র্যাক ৬টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা করছে। যা এদেশের উন্নয়নকে আরো দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করতে সাহা
য্য করছে।
৮. পল্লি উদ্যোগ কার্যক্রম ঃ গ্রামীণ ভূমিহীনদের উপযোগী উন্নত কাজের সন্ধানে, ব্যবস্থাপনার দক্ষতা উন্নয়ন প্রভৃতি ক্ষেত্রে পরীক্ষা- নিরীক্ষা পরিচালনার লক্ষ্যে এই কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
৯. জাতীয় উন্নয়নে ব্র্যাকের সম্ভাবনা : জাতীয় উন্নয়নে ব্র্যাকের সম্ভাবনা নিম্নরূপ : ১৯৭২ সালে ত্রাণ সংস্থা হিসেবে ব্র্যাকের যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য দূরীকরণে ব্র্যাক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সময়ের আবর্তে এটি বহুমুখী পদক্ষেপ, কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিক্ষা উন্নয়ন, স্বাস্থ্য উন্নয়ন, চিকিৎসাসেবা উন্নত, নারী উদ্যোক্তাদের জন্মদান ও নারী উন্নয়নসহ শিশুকল্যাণকে করছে আরো স্বচ্ছ ও আধুনিক। তাই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক
পর্যায়ে এর গুরুত্ব বেড়েই চলেছে। যা বিশ্বদরবারে দেশের জন্য সুনাম কুড়াতেও সক্ষম হয়েছে। ব্র্যাকের কর্মসূচির অন্যতম হাতিয়ার হলো ক্ষুদ্র ঋণ দারিদ্র্য নিরসনের লক্ষ্যে আয় ও কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা পারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে। ব্র্যাক এ দিকটির প্রতি নজর রেখে গ্রামীণ ও শহুরে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বিভিন্ন পেশা ও কর্মে বৃত্তিমূলক ও কারিগরি প্রশিক্ষণদানের ব্যবস্থা করেছে। গ্রামীণ জনগণের অদক্ষতা, বেকারত্ব, স্বাস্থ্য ও অনুন্নত কৃষি পেশাকে আধুনিকায়নে ও ব্র্যাক প্রক্রিয়া পরিচালনা করছে। এ দেশের উৎপাদিত শাক সবজি বহির্বিশ্বে রপ্তানীরও ব্যবস্থা করছে। এটি মানবসম্পদ উন্নয়নে ব্র্যাক বিদেশি সাহায্য গ্রহণ করে ঋণদান ব্যবস্থাকে আরো সহজতর করতে ব্র্যাক পদক্ষেপ
নিচ্ছে। তাই সুন্দর সমাজ নির্মাণে ও সমাজের সকলের আর্থিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে ব্র্যাকের ভূমিকা অনস্বীকার্য হয়ে পড়েছে। সুতরাং সরকারকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক কল্যাণ নিশ্চিতকরণে ব্র্যাকের কার্যক্রমকে প্রসারিত করতে হবে।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলা যায় যে, ব্র্যাকের অবদান বাংলাদেশে কখনও ভুলবার নয়। স্বাধীন দেশের উন্নয়নে ব্র্যাক = যে ভূমিকা রেখেছে তা সত্যিই অনন্য। এর সম্ভাবনাও অপরিসীম। তাই ব্র্যাক আজ বাংলাদেশের আশীর্বাদস্বরূপ।
জাতীয় উন্নয়নে ব্র্যাকের অবদান ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা আলোচনা কর।
উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি স্বেচ্ছামূলক সংস্থা হিসেবে ব্র্যাকের অগ্রযাত্রা। ব্র্যাকের বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দরিদ্র-অ-অসহায় জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নের সর্বোত্তম প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। ১৯৭১ সালে
যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের জনগণের জন্য নানাবিধ ত্রাণমূলক সহায়তা প্রদানে ব্র্যাকের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এটি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, সহজশর্তে ঋণদান সহ এর আওতাভুক্ত জনগোষ্ঠীর সার্বিক কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। তাই ব্র্যাকের অবদান জাতীয় উন্নয়নে অত্যধিক। আর এর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাও গর্ব করার মত।
→ জাতীয় উন্নয়নে ব্র্যাকের অবদান : জাতীয় উন্নয়নে ব্র্যাকের অবদান নিম্নে আলোচনা করা হলো :
১. পল্লী উন্নয়ন কার্যক্রম ঃ গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ব্র্যাক পল্লিউন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে। এ কার্যক্রম দেশে ৭টি অঞ্চলে বিভক্ত হয়েছে। ১৯৪৯ সাল থেকে ৫৬টি গ্রামীণ সংগঠনের মধ্যেও দু’লাখ সদস্যকে নিয়ে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন হতে থাকে। একজন এরিয়া ম্যানেজার এবং একজন কর্মসূচি সংগঠক কার্যক্রমের সার্বিক দায়িত্ব বাস্তবায়ন করে থাকে। এতে দরিদ্র শ্রেণিদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সহজশর্তে ঋণদানের মাধ্যমে
স্বকর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সহায়তা করা হয়। ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৮ সালের জুন পর্যন্ত ২২৩ মিলিয়ন টাকা ব্র্যাক সরবরাহ করে থাকে।
২. হাওর উন্নয়ন কার্যক্রম ঃ বাংলাদেশের হবিগঞ্জে ও সুনামগঞ্জে বহু হাওর এলাকা রয়েছে। উক্ত এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুন্নত হওয়াসহ অন্যান্য সুবিধার অভাবে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়ন বেশ ব্যাহত হচ্ছে। এ ব্যবস্থার উত্তরণে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি হাওর উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে নিশ্চিত করছে।
৩. শিক্ষাউন্নয়ন কার্যক্রম ঃ বাংলাদেশের শিক্ষার উন্নয়নে ব্র্যাকই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ১৯৮৫ সালে
মানিকগঞ্জের কয়েকটি গ্রামে রীক্ষামূলকভাবে ২২টি উপানুষ্ঠানিক স্কুল চালু করা হয়। পরবর্তীতে সারাদেশে প্রসারিত হচ্ছে। ফলে প্রাথমিক শিক্ষাগ্রহণের হার বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে ব্র্যাক ফি পাঠদানের সাথে সাথে বিনামূল্যে বই খাতাপত্র ও দান করে থাকে।
৪. আইনি সেবা কার্যক্রম ঃ বর্তমানে বাংলাদেশে ব্র্যাকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম হিসেবে আইনি সেবা চিহ্নিত হয়েছে। গ্রামীণ অজ্ঞ, দরিদ্র ও দুর্বল মানুষকে অধিকার আদায়ে সহায়তাদানে এ কর্মসূচির উদ্ভব। আর এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে জনসাধারণকে আইনগত অধিকার সম্পর্কে সজাগ করা।
৫. ব্র্যাক ব্যাংক প্রকল্প : প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় দরিদ্র, ভূমিহীন ও অসহায় ব্যক্তিদের মূলধন সরবরাহ করার লক্ষে এ্যাক গ্রামীণ ব্যাংকের অনুরূপ ব্যাংক প্রকল্প গ্রহণ করেছে। যা এদেশের ব্যবসায়-বাণিজ্যের প্রসারে বেশ সহায়তা করছে। ১৯৯০ সাল থেকে এই প্রকল্পের শুরু হলেও আজ এর কার্যক্রম বেশ বিস্তৃত হয়েছে।
৬. সমন্বিত পল্লি উন্নয়ন কার্যক্রম : দেশের উন্নয়নের ধারাকে আরো বেগবান করার লক্ষ্যে ব্র্যাক সমন্বিত পল্লি উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এ জাতীয় কার্যক্রমের মাধ্যমে গ্রামীণ ভূমিহীন মহিলা এবং পুরুষের সংগঠিত সমবায়ের মাধ্যমে তাদের আর্থ-সামাজিক কল্যাণ সাধনের প্রচেষ্টা চালানোই এই কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য, তাই বাংলাদেশে এ
কার্যক্রমের গুরুত্ব বেড়েই চলেছে।
৭. প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা ঃ বাংলাদেশে পল্লি উন্নয়ন কার্যক্রমে নিয়োজিত হাজার হাজার কর্মীদের প্রশিক্ষণদানের মাধ্যমে পেশাগত দক্ষতা ও মানবসম্পদের উন্নয়নের লক্ষ্যেই মূলত সারাদেশে ব্র্যাক ৬টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা করছে। যা এদেশের উন্নয়নকে আরো দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করতে সাহা
য্য করছে।
৮. পল্লি উদ্যোগ কার্যক্রম ঃ গ্রামীণ ভূমিহীনদের উপযোগী উন্নত কাজের সন্ধানে, ব্যবস্থাপনার দক্ষতা উন্নয়ন প্রভৃতি ক্ষেত্রে পরীক্ষা- নিরীক্ষা পরিচালনার লক্ষ্যে এই কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
৯. জাতীয় উন্নয়নে ব্র্যাকের সম্ভাবনা : জাতীয় উন্নয়নে ব্র্যাকের সম্ভাবনা নিম্নরূপ : ১৯৭২ সালে ত্রাণ সংস্থা হিসেবে ব্র্যাকের যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য দূরীকরণে ব্র্যাক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সময়ের আবর্তে এটি বহুমুখী পদক্ষেপ, কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিক্ষা উন্নয়ন, স্বাস্থ্য উন্নয়ন, চিকিৎসাসেবা উন্নত, নারী উদ্যোক্তাদের জন্মদান ও নারী উন্নয়নসহ শিশুকল্যাণকে করছে আরো স্বচ্ছ ও আধুনিক। তাই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক
পর্যায়ে এর গুরুত্ব বেড়েই চলেছে। যা বিশ্বদরবারে দেশের জন্য সুনাম কুড়াতেও সক্ষম হয়েছে। ব্র্যাকের কর্মসূচির অন্যতম হাতিয়ার হলো ক্ষুদ্র ঋণ দারিদ্র্য নিরসনের লক্ষ্যে আয় ও কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা পারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে। ব্র্যাক এ দিকটির প্রতি নজর রেখে গ্রামীণ ও শহুরে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বিভিন্ন পেশা ও কর্মে বৃত্তিমূলক ও কারিগরি প্রশিক্ষণদানের ব্যবস্থা করেছে। গ্রামীণ জনগণের অদক্ষতা, বেকারত্ব, স্বাস্থ্য ও অনুন্নত কৃষি পেশাকে আধুনিকায়নে ও ব্র্যাক প্রক্রিয়া পরিচালনা করছে। এ দেশের উৎপাদিত শাক সবজি বহির্বিশ্বে রপ্তানীরও ব্যবস্থা করছে। এটি মানবসম্পদ উন্নয়নে ব্র্যাক বিদেশি সাহায্য গ্রহণ করে ঋণদান ব্যবস্থাকে আরো সহজতর করতে ব্র্যাক পদক্ষেপ
নিচ্ছে। তাই সুন্দর সমাজ নির্মাণে ও সমাজের সকলের আর্থিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে ব্র্যাকের ভূমিকা অনস্বীকার্য হয়ে পড়েছে। সুতরাং সরকারকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক কল্যাণ নিশ্চিতকরণে ব্র্যাকের কার্যক্রমকে প্রসারিত করতে হবে।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলা যায় যে, ব্র্যাকের অবদান বাংলাদেশে কখনও ভুলবার নয়। স্বাধীন দেশের উন্নয়নে ব্র্যাক = যে ভূমিকা রেখেছে তা সত্যিই অনন্য। এর সম্ভাবনাও অপরিসীম। তাই ব্র্যাক আজ বাংলাদেশের আশীর্বাদস্বরূপ।