“জবাবদিহিতা” শব্দটি বাঙালি ভাষায় ব্যবহৃত হয় এবং এটির ইংরেজি অনুবাদ “responsibility” অথবা “accountability”। এটি একটি ব্যক্তি বা সংগঠনের একটি বিশেষ কাজ বা কর্তব্য দানের জন্য অবমুক্ত বা দায়িত্বশীল থাকার অবস্থান বোঝায়। এটি আপনার কাজের জন্য নির্ধারিত বা আপনি কাউকে বা কোনও কাজে দায়িত্বশীল হওয়ার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে।
জবাবদিহিতার অভিধানিক অর্থ হচ্ছে “কৈফিয়ত”।
এক বাক্যে বলতে গেলে জবাবদিহিতা হচ্ছে কোনো কিছু বর্ণনা করা।অর্থাৎ কোনো কাজ, যেটির উপর আপনাকে জিজ্ঞেস করা করা হয়েছে সেটি আপনি কীভাবে করেছেন তার বর্ণনা দেয়া।
অন্য কথায় জবাবদিহিতা হচ্ছে আপনি কর্তৃক বা আপনি দ্বারা সম্পাদিত কর্ম সম্পর্কে আপনার ব্যাখ্যাদানের বাধ্যবাধকতা।
আপনার দ্বারা সম্পাদিত কোনো কাজ সম্পর্কে যখন আপনার কাছে জিজ্ঞেস করা হবে তখন তার যথাযথ বর্ণনা করাটাকেই জবাবদিহিতা বলা হয়ে থাকে।
তবে জিজ্ঞেস করাটা দুরকম হতে পারে, প্রথমত আপনার দ্বারা সম্পাদিত কাজের উপড় আপনাকে দোষারোপ করে কোনো কিছু জানতে চাওয়া হচ্ছে।দ্বিতীয়ত এমনও হতে পারে শুধুমাত্র কাজটি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ভাবে কিছুটা বিস্তারিত জানার জন্য আপনাকে জিজ্ঞেস করা হচ্ছে।তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সবাই এমনটাই ধারণা করে থাকে যে যখন কোনো কাজের উপড় আপনাকে দোষারোপ করে কোনো কিছু জানতে চাওয়া হয় তখন আপনার নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য যেই বর্ণনাটুকু আপনি করে থাকেন তাকেই জবাবদিহিতা বলে।না,বিষয়টি মোটেও তা নয়।দোষারোপ করে জানতে চাওয়া হোক বা সাধারণ ভাবেই জানতে চাওয়া হোক আপনার বর্ণনা করাটাকেই জবাবদিহিতা বলা হয়ে থাকবে।
জবাবদিহিতা সুশাসনের অন্যতম বৈশি। জবাবদিহিতা ছাড়া সুশাসন নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। যেকোন রাষ্ট্রের সবক্ষেত্রে জবাবদিহিতা সুশাসন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুশাসন জবাবদিহিতা বলতে সরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহের পাশাপাশি নাগরিক সেবাদানকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের জবাবদিহিতাকেও অন্তর্ভুক্ত করে।