অথবা, চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর শ্রেণিবিভাগ দেখাও ৷
অথবা, চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী কত প্রকার উল্লেখ কর।
উত্তরঃ ভূমিকা : স্বার্থগোষ্ঠী বা চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর শ্রেণিবিভাগ করা খুব সহজসাধ্য বিষয় নয়। কারণ প্রতিটি – রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থার অসংখ্য চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর অস্তিত্ব বিদ্যমান থাকে।
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর প্রকারভেদ : অ্যালমন্ড ও পাওয়েল রাজনৈতিক ব্যবস্থায় চার প্রকার চাপসৃষ্টিকারী
গোষ্ঠীর কথা বলেছেন। এগুলো নিম্নে দেয়া হলো:
১. প্রাতিষ্ঠানিক স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী (Institutional interest group) : রাজনৈতিক দল, আমলাতন্ত্র, আইনসভা
ইত্যাদি আনুষ্ঠানিক সংগঠনকে প্রাতিষ্ঠানিক স্বার্থন্বেষী গোষ্ঠী বলা হয়।
২. অসংযমূলক স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী (Non-associational interest group) : জাতি ও রক্ত সম্পর্কগত গোষ্ঠী কূলগত, আঞ্চলিক, ধর্মীয় এবং মর্যাদা অনুসারী গোষ্ঠী হচ্ছে অসংযমূলক স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী।
৩. দাঙ্গাহাঙ্গামাকারী গোষ্ঠী (Anomic interest group): রাজনৈতিক ব্যবস্থাতে অনেকটা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ ধরনের গোষ্ঠীর আবির্ভাব ঘটে থাকে। যেমন- কোন দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ কোন জনসমষ্টির কথা বলা যায়।
৪. সংমমূলক স্বার্থাশ্বেষী গোষ্ঠী (Associational interest group) : শ্রমিক সংঘ ব্যবসায়ী বা শিল্পপতিদের সংগঠন, কুলগত সংঘ ইত্যাদি হচ্ছে সংঘমূলক স্বার্থাদ্বেষী গোষ্ঠী।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, উপরোল্লিখিত শ্রেণিবিভাগ ছাড়াও ডেভিড ম্যূর স্বার্থাম্বেষী গোষ্ঠী বা চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠাকে দু’ভাগে ভাগ করেছেন। যথা । রাজনৈতিক স্বার্থকামী গোষ্ঠী ও অরাজনৈতিক স্বার্থবাদী গোষ্ঠী।