ক-বিভাগ/ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
১. বাংলা সাহিত্যে প্রথম কলাকৈল্যবাদী লেখক হলেন?
উত্তর : প্রমথ চৌধুরী।
২. প্রমথ চৌধুরীর কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : যশোর জেলায়।
৩. প্রমথ চৌধুরীর জন্ম ও মৃত্যু কত সালে?
উত্তর : জন্ম : ১৮৬১ সালে ৭ আগস্ট এবং মৃত্যু : ১৯৪৬ সালে।
৪. প্রমথ চৌধুরীর স্ত্রীর নাম কী?
উত্তর : শ্রীমতি ইন্দিরা দেবী।
৫. ইন্দিরাদেবী কে ছিলেন?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দ্বিতীয় অগ্রজ উত্তর উত্তর : সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কন্যা।
৬. প্রমথ চৌধুরীকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কোন সম্মানে ভূষিত কেরেন?
উত্তর : ‘জগত্তারিণী’ পদকে ভূষিত করেন।
৭. কত সালে প্রমথ চৌধুরী জগত্তারিণী পদক পান?
উত্তর : ১৯৩৮ সালে।
৮. প্রমথ চৌধুরী কোন হলে দেশবাসী কর্তৃক সংবর্ধিত হন?
উত্তর : কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুতোষ হলো কর্তৃক।
৯. প্রমথ চৌধুরীর ছদ্ম নাম কী?
উত্তর : বীরবল।
১০. প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত পত্রিকা হলো-
উত্তর : সবুজপত্র পত্রিকা।
১১. সবুজপত্র কত সালে প্রকাশ পায়?
উত্তর : ১৯১৪ সালে।
১২. সবুজপত্রকে কেন্দ্র করে লেখক কী করেছিলেন?
উত্তর : বাংলা গদ্যে নব রীতির প্রবর্তন করেন।
১৩. বাংলা গদ্যের চলিত রীতির প্রবর্তক কে?
উত্তর : প্রমথ চৌধুরী।
১৪. প্রমথ চৌধুরীর কয়েকটি প্রবন্ধের নাম কী?
উত্তর : তৈল-নুন-লাকড়ী’, (১৯০৬), ‘বীরবলের হালখাতা’, ‘নানাকথা’, ‘নানাচর্চা’, ‘রায়তের কথা’, ‘বীরবলের টিপ্পনী’ প্রভৃতি।
১৫. প্রমথ চৌধুরীর চলিত গদ্য রীতিতে লেখা গ্রন্থ কোনটি?
উত্তর : ‘হালখাতা’।
উত্তর :
১৬. ‘হালখাতা’ প্রবন্ধটি কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?
উত্তর : ভারতী পত্রিকায়।
১৭. প্রমথ চৌধুরী যে ভাষা ভঙ্গিতে সাহিত্য রচনা করেছেন তার নাম কী?
উত্তর : ‘বীরবলী ভাষাভঙ্গি’ ।
১৮. তাঁর রচনার বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর : বিশুদ্ধ-বুদ্ধি ও শাণিত ব্যঙ্গ তাঁর রচনার বৈশিষ্ট্য।
১৯. ‘বীরবলের হালখাতা’ গ্রন্থটি কোন ধরনের রচনা?
উত্তর : প্রবন্ধ গ্রন্থ
২০. প্রমথ চৌধুরী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কোন বিষয়ে প্রভাবিত করেছিলেন?
উত্তর : চলিত গদ্য ভাষার ব্যবহার।
২১. ‘সবুজপত্র’ পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
উত্তর : প্রমথ চৌধুরী।
২২. কোন সাহিত্য পত্রিকায় কোন বিজ্ঞাপন ছাপা হতো না?
উত্তর : ‘সবুজপত্র’ পত্রিকায়।
২৩. ‘সবুজপত্র’ পত্রিকার প্রচ্ছদে কী থাকত?
উত্তর : সবুজ রঙে আঁকা একটি তালপাতার ছবি।
২৪. “আমি বাঙালি জাতির বিদুষক মাত্র।”- উক্তিটি কার?
উত্তর : প্রমথ চৌধুরীর।
২৫. গতমাসের সবুজপত্রে শ্রীযুক্ত সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কি প্রস্তাব করেছেন?
উত্তর : যৌবনকে রাজটিকা দেবার।
২৬. এই প্রস্তাবের বক্ষ্যমাণ রূপ ব্যাখ্যা করেছেন কে?
উত্তর : লেখকের টিকাকার বন্ধু।
২৭. যৌবনকে টিকা দেওয়া অবশ্য কর্তব্য কেন?
উত্তর : তাকে বসন্তের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য।
২৮. এখানে রাজটিকা অর্থ কী?
উত্তর : রাজা অর্থাৎ যৌবনের শাসনকর্তা কর্তৃক তার উপকারার্থে প্রদত্ত যে টিকা।
২৯. যৌবনে দাও রাজটিকা কোন সমাসে সিদ্ধ?
উত্তর : তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাসে।
৩০. এ উভয়কে জুড়িয়ে জুতলে আর কী করা যায় না?
উত্তর : বাগ মানানো যায় না।
৩১. এদের কীভাবে পরাজিত করতে হয়?
উত্তর : প্রথম পৃথক করে পরে পরাজিত করতে হয়।
৩২. বসন্তের স্পর্শে ধরণীর সর্বাঙ্গ কেমন করে উঠে?
উত্তর : শিউরে উঠে।
৩৩. শীতকে অতিক্রম করে বসন্তের কাছে আত্মসমর্পণ করায় প্রকৃতির কী অবস্থা হয়?
উত্তর : প্রকৃতি যে অর্বাচীনতার পরিচয় দেয় না তার পরিচয় ফলে।
৩৪. প্রকৃতির যৌবন শাসনযোগ্য হলেও তাকে শাসন করবার ক্ষমতা কার হাতে নেই?
উত্তর : মানুষের হাতে।
৩৫. মানবধর্ম শাস্ত্রবহির্ভূত কোন ধর্ম?
উত্তর : প্রকৃতির ধর্ম।
৩৬. সে কারণে জ্ঞানী ব্যক্তিরা আমাদের কী পরামর্শ দেন?
উত্তর : প্রকৃতির উলটো টান টানতে।
৩৭. মানুষের যৌবনকে কিসের প্রভাব থেকে দূরে রাখা আবশ্যক?
উত্তর : বসন্তের প্রভাব।
৩৮. লেখকের মতে আমাদের মনে কোন বিশ্বাসটি স্থানলাভ করতে পারে?
উত্তর : যৌবন ও বসন্ত এ দুয়ের আবির্ভাব যে একই দৈবশক্তির লীলা এ বিশ্বাস।
৩৯. এদেশে লোকে যৌবনের কপালে রাজটিকার পরিবর্তে কোথায় রাজটিকা প্রয়োগ করতে সদাই প্রস্তুত?
উত্তর : তার পৃষ্ঠে রাজদণ্ড প্রয়োগ করতে সদাই প্রস্তুত।
৪০. আমাদের বিশ্বাস মানবজীবনে যৌবন কী?
উত্তর : যৌবন একটা মস্ত ফাঁড়া
৪১. এ অবস্থায় কী জ্ঞানী কী অজ্ঞানী সকলেই কী হতে চায়?
উত্তর : একসময় বাল্য হতে বার্ধক্যে উত্তীর্ণ হন।
৪২. যৌবনের নামে আমরা ভয় পাই কেন?
উত্তর : কারণ তার অন্তরে শক্তি আছে।
৪৩. কার মনে শক্তি নেই?
উত্তর : বালকের মনে শক্তি নেই।
৪৪. কার দেহে শক্তি নেই?
উত্তর : বৃদ্ধের দেহে।
৪৫.কার জ্ঞান নেই?
উত্তর : বালকের।
৪৬. কার প্রাণ নেই?
উত্তর : বৃদ্ধের।
৪৭. আমরা নিয়ত কী চেষ্টা করে যাচ্ছি?
উত্তর : জড়তার সঙ্গে মনের জড়তার মিলন কারা অজ্ঞতার সঙ্গে বিজ্ঞতার সন্ধিস্থাপন করা।
৪৮. আমাদের সমাজ নীতির উদ্দেশ্য কী?
উত্তর : জাগ দিয়ে পাকানো।
৪৯. আমাদের উপরোক্ত চেষ্টা যে ব্যর্থ হয়নি তার প্রমাণ কী?
উত্তর : আমাদের সামাজিক জীবন ।
৫০. আজকের দিনে এ দেশে রাজনীতির ক্ষেত্রে একদিকে কারা?
উত্তর : বালক।
৫১. রাজনীতির অপর ক্ষেত্রে কারা?
উত্তর : বৃদ্ধ।
৫২. সাহিত্যক্ষেত্রে একদিকে কারা?
উত্তর : স্কুলবয়।
৫৩. সাহিত্যক্ষেত্রে অপরদিকে কারা?
উত্তর : স্কুলমাস্টার।
৫৪. সমাজে একদিকে কী?
উত্তর : বাল্যবিবাহ।
৫৫. সমাজের অপরদিকে কী?
উত্তর : অকালমৃত্যু।
৫৬. ধর্মক্ষেত্রে একদিকে কী?
উত্তর : শুধু ইতি ইতি
৫৭. ধর্মক্ষেত্রে অপরদিকে কী?
উত্তর : শুধু নেতি নেতি।
৫৮. আমাদের জীবনগ্রন্থ কেমন?
উত্তর : প্রথমে ভূমিকা আছে শেষে উপসংহার আছে ভিতরে কিছু নেই।
৬০. এ বিশ্বের জীবনের কী নেই?
উত্তর : আদি নেই অন্ত নেই।
৬১. শুধু মধ্য আছে কিসের?
উত্তর : এ বিশ্বের জীবনের ।
জীবনের আদি আছে, অন্ত আছে, শুধু মধ্য নেই কোন কারণে?
উত্তর : বিশ্বের জীবনের সাথে অংশীভূত হওয়ার কারণে।
৬২. বার্ধক্যকে বাল্যের পাশে এনে ফেললেও আমরা তার কী করতে পারিনি?
উত্তর : মিলনসাধন।
৬৩. ক্রিয়া বাদ দিয়ে কী করা যায় না?
উত্তর : দুটি পদকে জুড়ে এক করা যায় না।
৬৪. যা আছে অ নেই বললেও কী হয় না?
উত্তর : তার অস্তিত্ব লোপ পেয়ে যায় না।
৬৫. এ বিশ্বকে মায়া বললেও তা কী হয়ে যায় না?
উত্তর : অস্পৃশ্য।
৬৬. অত্মাকে ছায়া বললেও তা কী হয় না?
উত্তর : অদৃশ্য হয়ে যায় না।
৬৭. কোনো কোনো সত্যের দিকে পিঠ ফেরালে কী হয়?
উত্তর: তা আমাদের ঘাড়ে চলে আসে।
৬৮. যে যৌবনকে আমরা সমাজে স্থান দিইনি তা এখন কোথায়?
নানা বিকৃতরূপে নানা ব্যক্তির দেহ অবলম্বন করে রয়েছে।
৬৯. যাঁরা সমাজের সুমুখে জীবনের শুধু নান্দী ও ভরতবচন পাঠ করেন তাদের জীবনের অভিনয়টা কোথায় হয়ে থাকে?
উত্তর: যবনিকার অন্তরালেই হয়ে থাকে।
৭০. রুদ্ধ ও বদ্ধ করে রাখলে প্রথামত এই কী ঘটে?
উত্তর: আলোর ও বায়ুর সম্পর্ক হারায়।
৭১. দুষ্ট হওয়া স্বাভাবিক কোন জিনিসের পক্ষে?
উত্তর: গুপ্ত জিনিসের পক্ষে।
৭২. আমরা যে যৌবনকে গোপন করে রাখতে চাই তার জন্য দায়ী কী?
উত্তর : আমাদের প্রাচীন সাহিত্য।
৭৩. কোনো বিখ্যাত ইংরেজ লেখক Literature সম্পর্কে কি বলেছেন?
উত্তর : Literature হচ্ছে criticism of life.
৭৮. ইংরেজি সাহিত্য কীসের সমালোচনা হতে পারে?
উত্তর : জীবনের।
৭৫. সংস্কৃত সাহিত্য হচ্ছে-
উত্তর : যৌবনের আলোচনা।
৭৬. যুবক যুবতী ব্যতীত আর কারো স্থান নেই কোন সাহিত্যে?
উত্তর : সংস্কৃত সাহিত্যে
৭৭আমাদের কাব্যরাজ্য কী?
উত্তর : সূর্যবংশের শেষ নৃপতি অগ্নিবর্ণের রাজ্য।
৭৮. যৌবনের যে ছবি সংস্কৃত কাব্যে ফুটে উঠছে তা কেমন?
উত্তর : ভোগবিলাসের চিত্র।
৭৯. সংস্কৃত কাব্যজগত কি দিয়ে গর্বিত?
উত্তর : মাল্যচন্দনবনিতা দিয়ে গর্বিত।
৮০. সংস্কৃত কাব্যজগতের স্বর্গ কী?
উত্তর : বনিতা।
৮১. সংস্কৃত কাব্যজগতে মাল্যচন্দন কী?
উত্তর : উপসর্গ।
৮২. কবিদের মতে প্রকৃতির কাজ কী?
উত্তর : রমণীদের উপমা জোগানো।
৮৩. শুধু রমণীর মন জোগানো কার কাজ?
উত্তর : পুরুষের কাজ ।
৮৪. হিন্দুযুগের শেষকবি কে?
উত্তর : জয়দেব।
৮৫. কৌশ্বাম্বির যুবরাজ কে?
উত্তর : উদয়ান।
৮৬. কপিলাবস্তুর যুবরাজ কে?
উত্তর : সিদ্ধার্থ।
৮৭. এই দুজনের মধ্যে প্রভেদ কী ছিল?
উত্তর: একজন হচ্ছেন ভোগের আর একজন হচ্ছে ত্যাগের পূর্ণ অবতার।
৮৮. ভগবান গৌতম বুদ্ধের জীবনের ব্রত কী ছিল?
উত্তর : মানবের মোহনাশ করে তাকে সংসারের সকল শৃঙ্খলা হতে মুক্ত করা।
৮৯. বৎসরাজ উদয়নের জীবনের ব্রত কী ছিল?
উত্তর : ঘোষবতী বীণার সাহায্যে অরণ্যের গজকামিনী এবং পুরের গজগামিনীদের প্রথমে মুগ্ধ করে পরে নিজের ভোগের জন্য
তাদের অবরুদ্ধ করা।
৯০. সংস্কৃত কাব্যে কিসের স্থান নেই?
উত্তর : বুদ্ধচরিতের।
৯১. উদয়নকথায় পরিপূর্ণ কী?
উত্তর : সংস্কৃত কাব্য।
৯২. সংস্কৃত ভাষায় বুদ্ধের জীবনচরিত লিখেছেন কে?
উত্তর : অশ্বঘোষ ।
৯৩. উদয়ন বাসবদত্তার কথা অবলম্বন করে কারা কাব্য রচনা করেছেন?
উত্তর : ভাস, গুনগ্য ও শ্রীহর্ষ এদের বাদ দিলে।
৯৪. উদয়নকথা সম্পর্কে কালিদাস কী বলেছেন?
উত্তর : কৌশাম্বির গ্রামবৃদ্ধেরা উদয়নকথা শুনতে ও বলতে ভালোবাসতেন ।
৯৫. বৌদ্ধধর্মের অনুশীলনের ফলে রাজা অশোক কী লাভ করেছিলেন?
উত্তর : সাম্রাজ্য।
৯৬. উদয়নধর্মের অনুশীলন করে রাজা অগ্নিবর্ণ কী লাভ করেছিলেন?
উত্তর : রাজরক্ষা ।
৯৭. সংস্কৃত কবিরা কোন সত্যটি উপেক্ষা করেছিলেন?
উত্তর : ভোগের ন্যায় ত্যাগও যৌবনেরই ধর্ম।
৯৮. বার্ধক্য কিছু অর্জন করতে পারে না হলে কী হয়?
উত্তর : কিছু বর্জনও করতে পারে না।
৯৯. বার্ধক্য কিছু কাড়তে পারে না বলে-
উত্তর : কিছু ছাড়তেও পারে না।
১০০. “আমার মতে যা সত্য তা গোপন করা সুনীতি নয় এবং তা প্রকাশ করাও দুর্নীতি নয় কার উক্তি?
উত্তর : প্রমথ চৌধুরীর।
১০১. সংস্কৃত কাব্যের প্রধান দোষ কী?
উত্তর : একদেশদর্শিতা ও অত্যুক্তি।
১০২. যৌবনের স্থূল শরীরকে অত আশকারা দিলে তা কী হয়?
উত্তর : উত্তরোত্তর স্থূল হতে স্থূলতর হয়ে উঠে।
১০৩. তার সূক্ষ্ম শরীরটি কেমন হয়?
উত্তর : সূক্ষ্ম হতে এত সূক্ষ্মতম হয়ে উঠে যে তা খুঁজে পাওয়াই ভার হয়।
১০৪. দেহকে প্রাধান্য দিলে কী হয়?
উত্তর : মন পদার্থটি বিগড়ে যায়।
১০৫. এর ফলে দেহ ও মনের কী অবস্থা হয়?
উত্তর : পৃথক হয়ে যায়।
১০৬. উভয়ের মধ্যে আত্মীয়তার পরিবর্তে কী ঘটে?
উত্তর : জ্ঞাতিশত্রুতা জন্মায়।
১০৭. প্রাচীন ভারতবর্ষের চিন্তার রাজ্যে দেহ মনের যে পরস্পর বিচ্ছেদ ঘটেছিল তার প্রমাণ কী?
উত্তর : প্রাচীন সমাজের একদিকে বিলাসি অপরদিকে সন্ন্যাসী একদিকে পতন অপরদিকে বন একদিকে রঙলয় অপরদিকে
হিমালয়,এককথায় একদিকে কামশাস্ত্র অপরদিকে মোহশাস্ত্ৰ ।
১০৮. অভ্যাসবশত কথায় ও কাজে বেশি অসংযত কারা?
উত্তর : ত্যাগীর অপেক্ষা ভোগীরা।
১০৯. যাঁরা স্ত্রী জাতিকে কেবলমাত্র ভোগের সামগ্রী মনে করেন তাঁরাই কী?
উত্তর : স্ত্রী নিন্দার ওস্তাদ।
১১০. এ কথার প্রমাণ কোথায় পাওয়া যায়?
উত্তর : জীবনে ও সাহিত্যে নিত্য পাওয়া যায়।
১১১. স্ত্রী নিন্দুকের রাজা কারা?
উত্তর : রাজকবি ভর্তৃহরি ও রাজকবি সোলেমান ।
১১২. চরম ভোগবিলাসে পরম চরিতার্থতা লাভ করতে না পেরে এঁরা শেষ বয়সে কী করেছেন?
উত্তর : স্ত্রী জাতির উপর গায়ের ঝাল ঝেড়েছেন।
১১৩. যাঁরা বনিতাকে মালা চন্দন হিসাবে
উত্তর : মাল্যচন্দনের মতোই ভূতলে নিক্ষেপ করেন।
১১৪. প্রথম বয়সে মধুর রস অতিমাত্রায় চর্চা করলে শেষ বয়সে জীবন কী হবে?
উত্তর : তিতো হয়ে উঠবে।
১১৫. এ শ্রেণির লোকের হাতে শৃঙ্গার শতকের পরেই কী রচিত হয়?
উত্তর : বৈরাগ্য শতক।
১১৬. যাঁরা যৌবনকে ভোগের উপকরণ বলে মনে করেন তাদের মুখে কী লেগে থাকে?
উত্তর : যৌবন নিন্দা লেগে থাকারই কথা।
১১৭. যাঁরা যৌবন জোয়ারে গা ভাসিয়ে দেন তাঁরা ভাটার সময় কী করে?
উত্তর : পাঁকে পড়ে গত জোয়ারের প্রতি কটুকাব্য প্রয়োগ করেন।
১১৮. যৌবনের উপর তাঁদের রাগ কী কারণে?
উত্তর : পালিয়ে যায় এবং একবার চলে গেলে
আর ফেরে না।
১১৯. যযাতি কার কাছে ভিক্ষা করে যৌবন ফিরে পেয়েছিলেন?
উত্তর : গুরুর কাছে।
১২০. যযাতি কাঙ্ক্ষিত যৌবনের প্রধান অভিযোগ কী?
উত্তর : তা অনিত্য।
১২১. এ বিষয়ে কারা একমত?
উত্তর : ব্রাহ্মণ ও শ্রমণ, নগ্নক্ষপণক ও নাগরিক সকলেই একমত।
১২২. যৌবন ক্ষণস্থায়ী, এ আক্ষেপ কোথায় দেখতে পাওয়া যায়?
উত্তর : এদেশের কাব্য ও সংগীতে।
১২৩. কোন গান আজও হিন্দুস্থানের পথে ঘাটে করুণ সুরে গাওয়া হয়?
উত্তর : ফাগুন গয়ী হয়, বহরা কিরি অয়ী হয়, গায়ে রে যৌবন, কিরি আওত নাহি
১২৪. ভারতবর্ষে কোন আপসোস রাখার জায়গা নেই?
উত্তর : যৌবন যে চিরদিন থাকে না।
১২৫. কোন জিনিসের স্থায়িত্ব বাড়াবার চেষ্টা মানুষের পক্ষে স্বাভাবিক?
উত্তর : যা অতি প্রিয় এবং অতি ক্ষণস্থায়ী।
১২৬. এ দেশে যৌবন শৈশবের উপর আক্রমণ করেছিল কেন?
উত্তর : সম্ভবত নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যেই।
১২৭. বাল্যবিবাহের মূলে কী আছে?
উত্তর : যৌবনের মেয়াদ বাড়াবার ইচ্ছাটাই বর্তমান ।
১২৮জীবনের গতিটি উল্টো দিকে ফেরাবার ভিতর কী আছে?
উত্তর : একটা মহা আর্ট আছে ।
১২৯পৃথিবীর অপর সব দেশের লোকেরা গাছ সম্পর্কে কী জানে?
উত্তর : গাছকে কিভাবে বড় করতে হয়।
১৩০. গাছকে কিভাবে ছোট করতে হয় এ কৌশল কারা জানে?
উত্তর : জাপানিরাই ।
১৩১. একটা বটগাছকে জাপানিরা চিরজীবন কিসের ভিতর পুরে রেখে দিতে পারে?
উত্তর : একটা টবের ভিতর।
১৩২. বামন বট কোন ধরনের বট?
উত্তর : অক্ষয়বট।
১৩৩. গাছ সম্পর্কে জাপানিরা কী বিশ্বাস করে?
উত্তর : গাছকে হ্রস্ব করলে তা আর বৃদ্ধ হয় না।
১৩৪. মনুষ্যত্বের চর্চা সম্বন্ধে আমাদের কী জানা আছে?
উত্তর : জাপানি আর্ট।
১৩৫. এ যুগে যখন কেউ যৌবনকে রাজটিকা দেবার প্রস্তাব করেন তখন তিনি কার কথা ভাবেন?
উত্তর : সমাজের কথা।
১৩৬. মানব জীবনের পূর্ণ অভিব্যক্তি কী?
উত্তর : যৌবন।
১৩৭. যৌবনে মানুষের বাহ্যেন্দ্রিয় কর্মেন্দ্রিয় ও অন্তরিন্দ্রিয় কী হয়?
উত্তর : সব সজাগ হয়ে উঠে
১৩৮. সৃষ্টির মূলে যে প্রেরণা আছে মানুষ সেই প্রেরণা কোথায় অনুভব করে?
উত্তর : সকল অঙ্গে সকল মনে।
১৩৯. আমাদের চিন্তার রাজ্য প্রতিষ্ঠিত কিসের উপর?
উত্তর : দেহ মনের পার্থক্যের উপরেই।
১৪০. যৌবনের সাথে কোন যৌবনের একটা যোগাযোগ আছে?
উত্তর : মনের যৌবনের।
১৪১. দৈহিক যৌবন ও মানসিক যৌবন কেমন?
উত্তর : স্বতন্ত্র।
১৪২. এই মানসিক যৌবন লাভ করতে পারলেই আমরা কী করব?
উত্তর : আমরা তা সমাজে প্রতিষ্ঠা করতে পারবো।
১৪৩. দেহ কেমন?
উত্তর : সংকীর্ণ ও পরিচ্ছন্ন।
১৪৪. মন কেমন?
উত্তর : উদার ও ব্যাপক।
১৪৫. একের দেহের যৌবন অপরের দেহে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া যায় কি না?
উত্তর : যায় না।
১৪৬. একের মনের যৌবন লক্ষ লোকের মনে কী করে দেওয়া যেতে পারে?
উত্তর : সংক্রমণ করে দেওয়া যেতে পারে।
১৪৭. দেহ ও মনের সম্বন্ধ কেমন?
উত্তর : অবিচ্ছেদ্য।
১৪৮. জড় ও চৈতন্যের যোগসাধন করে কী?
উত্তর : একমাত্র প্রাণশক্তি ।
১৪৯. যেখানে প্রাণ নেই সেখানে কী দেখা যায় না?
উত্তর : জড় ও চৈতন্যের মিলন দেখা যায় না।
১৫০. আমাদের দেহ ও মনের মধ্যস্থতা করছে কে?
উত্তর : প্রাণ।
১৫১. প্রাণে পায়ের নিচে কী আছে?
উত্তর : জড়জগত।
১৫২. প্রাণের মাথার উপরে কী আছে?
উত্তর : মনোজগত ।
১৫৩. প্রাণের ধর্ম কী?
উত্তর : জীবন প্রবাহ রক্ষা করা, নব নব সৃষ্টির দ্বারা সৃষ্টি রক্ষা করা।
১৫৪. প্রাণের আর একটা ধর্ম আছে সেটা কী?
উত্তর : প্রাণ প্রতিমুহূর্তে রূপান্তরিত হয়।
১৫৫. প্রাণের গতি কেমন?
উত্তর : উভয়মুখী।
১৫৬. প্রাণের পক্ষে মনোময় কোষে উঠা এবং অনুময় কোষে উঠা কেমন?
উত্তর : দুই-ই সম্ভব।
১৫৭. প্ৰাণ অধোগতি প্রাপ্ত হয়ে কোথায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়?
উত্তর : জড়জগতের।
১৫৮. প্রাণ উন্নত হয়ে কোথায় অন্তর্ভুক্ত হয়?
উত্তর : মনোজগতের।
১৫৯. মনকে প্রাণের পরিণতি এবং জড়কে প্রাণের বিকৃতি বললেও কী হয় না?
উত্তর : অত্যুক্তি হয় না।
১৬০. প্রাণের স্বাভাবিক গতি কোন দিকে?
উত্তর : মনোজগতের দিকে।
১৬১. প্রাণের স্বাভাবিক স্ফুর্তিতে বাধা দিলে তা কী হয়?
উত্তর : জড়তা প্রাপ্ত হয়।
১৬২. কে নিজের অভিব্যক্তির নিয়ম নিজে গড়ে নেয়?
উত্তর : প্রাণ ।
১৬৩. বাইরের নিয়ম প্রাণকে বদ্ধ রাতেই সে কিসের অধীন হয়ে পড়ে?
উত্তর : জড়জগতের।
১৬৪. পুরাতনকে আঁকড়ে থাকাই কী?
উত্তর : বার্ধক্য।
১৬৫. মানসিক যৌবন লাভের প্রথম আবশ্যক কোনটি?
উত্তর : প্রাণশক্তি যে দৈবশক্তি এই বিশ্বাস।
১৬৬. “মানসিক যৌবনই সমাজে প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে আমাদের উদ্দেশ্য”-কার উক্তি?
উত্তর : প্রমথ চৌধুরী।
১৬৭. আমরা সমগ্র সমাজকে একটি ব্যক্তি হিসাবে দেখলেও আসলে মানব সমাজ হচ্ছে-
উত্তর : বহুব্যক্তির সমষ্টি।
১৬৮. কোন সমাজের যৌবন আছে?
উত্তর : যে সমাজে বহু ব্যক্তির মানসিক যৌবন আছে।
১৬৯. দেহের যৌবনের সঙ্গে সঙ্গে কোন যৌবনের আবির্ভাব হয়?
উত্তর : মনের যৌবনের।
১৭০. মানসিক যৌবনকে স্থায়ী করতে হলে কী করতে হবে?
উত্তর : শৈশব নয় বার্ধক্যের দেশ আক্রমণ এবং অধিকার করতে হয়।
১৭১. ব্যক্তিগত জীবনে একবার ফাল্গুন চলে গেলে কী হয়?
উত্তর : আবার ফিরে আসে না।
১৭২. কোথায় ফাল্গুন চিরদিন বিরাজ করছে?
উত্তর : সমগ্র সমাজে।
১৭৩. নতুন প্রাণ, নতুন মণ ।নত্য জন্মলাভ করছে কোথায়?
উত্তর : সমাজে।
১৭৪. নিত্য কী উদয় হচ্ছে?
উত্তর : নতুন সুখ-দুঃখ, নতুন আশা, নতুন ভালোবাসা, নতুন কর্তব্য,নতুন চিন্তা।
১৭৫. কার মনের যৌবন আর ক্ষয়ের আশঙ্কা নেই?
উত্তর : সমগ্র সমাজের এই জীবন প্রবাহ যিনি নিজের অন্তরে টেনে নিতে পারবেন।
১৭৬. তিনিই আবার কথায় ও কাজে সেই যৌবনকে কোথায় ফিরিয়ে দিতে পারবেন?
উত্তর : সমাজে।
১৭৭. যৌবনের কপালে রাজটিকা দিতে আপত্তি করবেন কারা?
উত্তর : এক জড়বাদী আর এক মায়াবাদী।
১৭৮. কারা উভয়েই এক মন?
উত্তর : এক জড়বাদী আর এক মায়াবাদী।
১৭৯. ফাঁড়া কী?
উত্তর : ফাঁড়া হলো বিপদসঙ্কুল ।