উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ কৃষিনির্ভর ও গ্রামপ্রধান বাংলাদেশে সমষ্টিকেন্দ্রিক সমাজসেবা কার্যক্রম হিসেবে গ্রামীণ সমাজসেবার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশে দ্রুত জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার সৃষ্টি করছে, খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষাসহ নানা কিছুর সমস্যা। দারিদ্র্যের কষাঘাতে দীন মানুষের বেঁচে থাকার ন্যূনতম আশাটুকু হারিয়ে ফেলছে। মৌল মানবিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক সমস্যার সুষ্ঠু মোকাবেলার জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমুখী কর্মকাণ্ডে সাধারণ জনগণকে সম্পৃক্তকরণ একান্ত জরুরি। এরূপ পরিস্থিতিতে গ্রামীণ সমাজসেবা কর্মসূচি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ ও প্রচেষ্টা। সমগ্র বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের মানুষের সার্বিক কল্যাণ ও উন্নয়নের প্রত্যাশায় গ্রামীণ সমাজসেবা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে।
→ গ্রামীণ সমাজসেবার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব ৪ গ্রামীণ সমাজসেবার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব গ্রাম্য জনগণের জীবনে অত্যধিক । নিম্নে গ্রামীণ সমাজ সেবার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব তুলে ধরা হলো :
১. আর্থিক অগ্রগতিসাধন ঃ গ্রামবাসীর আর্থিক অগ্রগতিসাধনে গ্রামীণ সমাজসেবার গুরুত্ব তাৎপর্যময়। এটি নিঃস্ব, সহায় সম্বলহীন দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ছোট ছোট দলে বিভক্ত করে প্রশিক্ষণ ও ঋণসুবিধা দিয়ে আত্মকর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছে। ফলে এসব মানুষের আর্থিক সফলতা ফিরে এসেছে। ফলশ্রুতিতে ৯৫% নিয়মিত ঋণ শোধ করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখছে।
২. শিক্ষার বিস্তার ৪ গ্রামীণ সমাজসেবা বাংলাদেশের গ্রামগুলোতে শিক্ষার বিস্তারে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। এটি আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা সম্প্রসারণে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে থাকে।
৩. দারিদ্র্যের সংখ্যা হ্রাস : বাংলাদেশে শতকরা ৯০% ভাগ গ্রামবাসী দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। তারা প্রতিনিয়ত জীবনধারণে হিমশিম খাচ্ছে। এদের সংখ্যা হ্রাস না করা গেলে কোনো উন্নয়ন প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হবে না । গ্রামীণ সমাজসেবা নানামুখী কর্মসূচির মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবন মানোন্নয়নে কার্যকরী ভূমিকা রাখছে।
৪. সামাজিক বনায়ন ৪ বাংলাদেশে মোট ভূমির শতকরা ১৭ ভাগ বনভূমি রয়েছে। অথচ যে-কোনো দেশের জন্য অনন্তপক্ষে যে দেশে মোটভূমির ২৫ ভাগ বনভূমির থাকা জরুরি। গ্রামীণ সমাজসেবা তার বিভিন্ন কর্মসূচিতে গ্রামের দরিদ্র সদস্যদের মাঝে চারা বিতরণ করে। দেশের সামাজিক বনায়ন উদ্যোগকে করেছে আরো বেগবান ।
৫. ফলপ্রসূ জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ঃ জনসংখ্যা বৃদ্ধি দেশে নানা সমস্যার সৃষ্টি করছে, বেকারত্ব বৃদ্ধি, খাদ্য ঘাটতি, আবাসনসহ সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ইত্যাদি। ফলে উন্নয়নের পরিবর্তে অবনতি ঘটছে সর্বত্র। এহেন পরিস্থিতিতে গ্রামের মানুষকে পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে প্রায় ৮৫% পরিবারে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে ফলপ্রসূ করছে গ্রামীণ সমাজসেবা।
৬. উন্নয়নের সুফল পৌঁছানো ঃ সকল বিভাগের সকল সুফল ও সেবা গ্রামীণ এলাকার সব জায়গায় সব সময় পৌঁছানো সম্ভব হয় না। এসব ক্ষেত্রে সমাজকল্যাণ বিভাগ ও সমাজকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে গ্রামীণ সমাজসেবার মাধ্যমে
৭. স্বাস্থ্যমানের উন্নয়ন ঃ গ্রামীণ জনগণের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে মূলত স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা এবং বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার না করার ফলে । সমাজসেবা কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে গ্রামের মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার করছে এবং বিশুদ্ধ খাবার পানি গ্রহণ করছে। ফলে এসব মানুষের স্বাস্থ্যমানের উত্তরোত্তর উন্নয়ন ঘটছে।
৮. নারী সমাজের অংশগ্রহণ : বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় ৫০% হলো নারী। নারীদের পিছনে ফেলে কোনো জাতি উন্নতির শিখরে আরোহণ করতে পারে না। গ্রামীণ সমাজসেবার আওতায় এই নারীরা বিভিন্ন অর্থনৈ
তিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
৯. নেতৃত্বের বিকাশ ঃ গ্রামীণ সমাজসেবা নেতৃত্বের বিকাশ সাধনে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন নেতা যেমন— ইমাম, মুয়াজ্জিন, ব্রাহ্মণ, ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্য, গ্রাম্য মোড়ল মাতবর প্রভৃতিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সমষ্টি উন্নয়নে কর্মকাণ্ডে ফলপ্রসূভাবে নিয়োগ সম্ভব।
১০. সচেতনতা ছড়ানো ঃ গ্রামের অধিকাংশ লোক অশিক্ষিত, গোঁড়ামি অজ্ঞ ও কুসংস্কারে আচ্ছন্ন থাকে। গ্রামীণ সমাজসেবা কর্মীদের প্রতিনিধিত্বে নিরক্ষরতা, গোঁড়ামি, অজ্ঞতা দূর করে ঐসব গ্রাম্য লোকদের মাঝে সচেতনতা জাগ্রত করা হয়।
১১. কর্মসংস্থানের সুযোগ : গ্রামীণ সমাজসেবা গ্রামের বেকার যুবক, যুবতী ও অন্যান্য লোকদের কর্মের সুযোগদানের সহায়ক। বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ ও আর্থিক ঋণ প্রদানের মাধ্যমে এদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে থাকে ।
১২. সংগঠিতকরণ ৪ গ্রামের শত শত যুবক, মহিলোাা, পুরুষ, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও শিশুকে-কিশোর, কৃষক-শ্রমিক ও অন্যান্য শ্রেণিকে সুসংগঠিতকরণে বেশ সহায়ক ভূমিকা রাখে গ্রামীণ সমাজসেবা। গ্রামীণ সমাজসেবার আওতায় এসব গ্রাম্য জনগোষ্ঠীকে নিয়ে দল-উপদল, সংগঠন উপসংগঠন গঠনের ব্যবস্থা করা হয়। ফলশ্রুতিতে গ্রামীণ জনগণের স্বনির্ভরতা
বৃদ্ধি পেতে থাকে। তাই গ্রামীণ সমাজসেবা অধিদপ্তর গুরুত্বের সাথে বিবেচিত হয়ে থাকে।
১৩. সমাজ কার্যক্রম ঃ পারস্পরিক সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা, ঐক্য ও সংহতি, বিরোধ-দ্বন্দ্ব-সংঘাত-নিরসন বয়স্ক ও
সামাজিক শিক্ষা, চিত্তবিনোদন, কমিউনিটি সেন্টার ইত্যাদি সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনায় গ্রামীণ সমাজসেবা কাজ করে
যাচ্ছে। আবহমান গ্রামগুলোর দারিদ্র্যকবলিত জনগোষ্ঠীর জনজীবনে উন্নয়নের ছোঁয়া ছড়িয়ে দিতেই গ্রামীণ সমাজসেবা কর্মীরা বদ্ধপরিকর। ফলশ্রুতিতে দ্রুত গ্রামউন্নয়নের সম্ভাবনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাই বাংলাদেশের গ্রামগুলোর সাধারণ জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে গ্রামীণ সমাজসেবার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব অত্যধিক
উপসংহার. পরিশেষে বলা যায় যে, গ্রামীণ সমাজসেবা বাংলাদেশের হাজার হাজার গ্রামীণ মানুষের জীবনে আশীর্বাদস্বরূপ। এর বদৌলতে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, আর্থিক ঋণ ও কারিগরি সহায়তা পেয়ে লাখ লাখ যুবক-যুবতী তাদের কর্মের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারছে। এবং জীবন ও জীবিকা নির্বাহে সফল হচ্ছে। গ্রামভিত্তিক উন্নয়নের মাধ্যমেই
দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা সম্ভব। সারাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে বসবাসরতদের কল্যাণের নিমিত্তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে গ্রামীণ সমাজসেবা। সুতরাং, এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অত্যধিক।
গ্রামীণ সমাজসেবার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব তুলে ধর।
উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ কৃষিনির্ভর ও গ্রামপ্রধান বাংলাদেশে সমষ্টিকেন্দ্রিক সমাজসেবা কার্যক্রম হিসেবে গ্রামীণ সমাজসেবার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশে দ্রুত জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার সৃষ্টি করছে, খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষাসহ নানা কিছুর সমস্যা। দারিদ্র্যের কষাঘাতে দীন মানুষের বেঁচে থাকার ন্যূনতম আশাটুকু হারিয়ে ফেলছে। মৌল মানবিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক সমস্যার সুষ্ঠু মোকাবেলার জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমুখী কর্মকাণ্ডে সাধারণ জনগণকে সম্পৃক্তকরণ একান্ত জরুরি। এরূপ পরিস্থিতিতে গ্রামীণ সমাজসেবা কর্মসূচি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ ও প্রচেষ্টা। সমগ্র বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের মানুষের সার্বিক কল্যাণ ও উন্নয়নের প্রত্যাশায় গ্রামীণ সমাজসেবা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে।
→ গ্রামীণ সমাজসেবার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব ৪ গ্রামীণ সমাজসেবার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব গ্রাম্য জনগণের জীবনে অত্যধিক । নিম্নে গ্রামীণ সমাজ সেবার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব তুলে ধরা হলো :
১. আর্থিক অগ্রগতিসাধন ঃ গ্রামবাসীর আর্থিক অগ্রগতিসাধনে গ্রামীণ সমাজসেবার গুরুত্ব তাৎপর্যময়। এটি নিঃস্ব, সহায় সম্বলহীন দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ছোট ছোট দলে বিভক্ত করে প্রশিক্ষণ ও ঋণসুবিধা দিয়ে আত্মকর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছে। ফলে এসব মানুষের আর্থিক সফলতা ফিরে এসেছে। ফলশ্রুতিতে ৯৫% নিয়মিত ঋণ শোধ করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখছে।
২. শিক্ষার বিস্তার ৪ গ্রামীণ সমাজসেবা বাংলাদেশের গ্রামগুলোতে শিক্ষার বিস্তারে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। এটি আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা সম্প্রসারণে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে থাকে।
৩. দারিদ্র্যের সংখ্যা হ্রাস : বাংলাদেশে শতকরা ৯০% ভাগ গ্রামবাসী দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। তারা প্রতিনিয়ত জীবনধারণে হিমশিম খাচ্ছে। এদের সংখ্যা হ্রাস না করা গেলে কোনো উন্নয়ন প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হবে না । গ্রামীণ সমাজসেবা নানামুখী কর্মসূচির মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবন মানোন্নয়নে কার্যকরী ভূমিকা রাখছে।
৪. সামাজিক বনায়ন ৪ বাংলাদেশে মোট ভূমির শতকরা ১৭ ভাগ বনভূমি রয়েছে। অথচ যে-কোনো দেশের জন্য অনন্তপক্ষে যে দেশে মোটভূমির ২৫ ভাগ বনভূমির থাকা জরুরি। গ্রামীণ সমাজসেবা তার বিভিন্ন কর্মসূচিতে গ্রামের দরিদ্র সদস্যদের মাঝে চারা বিতরণ করে। দেশের সামাজিক বনায়ন উদ্যোগকে করেছে আরো বেগবান ।
৫. ফলপ্রসূ জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ঃ জনসংখ্যা বৃদ্ধি দেশে নানা সমস্যার সৃষ্টি করছে, বেকারত্ব বৃদ্ধি, খাদ্য ঘাটতি, আবাসনসহ সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ইত্যাদি। ফলে উন্নয়নের পরিবর্তে অবনতি ঘটছে সর্বত্র। এহেন পরিস্থিতিতে গ্রামের মানুষকে পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে প্রায় ৮৫% পরিবারে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে ফলপ্রসূ করছে গ্রামীণ সমাজসেবা।
৬. উন্নয়নের সুফল পৌঁছানো ঃ সকল বিভাগের সকল সুফল ও সেবা গ্রামীণ এলাকার সব জায়গায় সব সময় পৌঁছানো সম্ভব হয় না। এসব ক্ষেত্রে সমাজকল্যাণ বিভাগ ও সমাজকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে গ্রামীণ সমাজসেবার মাধ্যমে
৭. স্বাস্থ্যমানের উন্নয়ন ঃ গ্রামীণ জনগণের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে মূলত স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা এবং বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার না করার ফলে । সমাজসেবা কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে গ্রামের মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার করছে এবং বিশুদ্ধ খাবার পানি গ্রহণ করছে। ফলে এসব মানুষের স্বাস্থ্যমানের উত্তরোত্তর উন্নয়ন ঘটছে।
৮. নারী সমাজের অংশগ্রহণ : বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় ৫০% হলো নারী। নারীদের পিছনে ফেলে কোনো জাতি উন্নতির শিখরে আরোহণ করতে পারে না। গ্রামীণ সমাজসেবার আওতায় এই নারীরা বিভিন্ন অর্থনৈ
তিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
৯. নেতৃত্বের বিকাশ ঃ গ্রামীণ সমাজসেবা নেতৃত্বের বিকাশ সাধনে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন নেতা যেমন— ইমাম, মুয়াজ্জিন, ব্রাহ্মণ, ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্য, গ্রাম্য মোড়ল মাতবর প্রভৃতিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সমষ্টি উন্নয়নে কর্মকাণ্ডে ফলপ্রসূভাবে নিয়োগ সম্ভব।
১০. সচেতনতা ছড়ানো ঃ গ্রামের অধিকাংশ লোক অশিক্ষিত, গোঁড়ামি অজ্ঞ ও কুসংস্কারে আচ্ছন্ন থাকে। গ্রামীণ সমাজসেবা কর্মীদের প্রতিনিধিত্বে নিরক্ষরতা, গোঁড়ামি, অজ্ঞতা দূর করে ঐসব গ্রাম্য লোকদের মাঝে সচেতনতা জাগ্রত করা হয়।
১১. কর্মসংস্থানের সুযোগ : গ্রামীণ সমাজসেবা গ্রামের বেকার যুবক, যুবতী ও অন্যান্য লোকদের কর্মের সুযোগদানের সহায়ক। বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ ও আর্থিক ঋণ প্রদানের মাধ্যমে এদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে থাকে ।
১২. সংগঠিতকরণ ৪ গ্রামের শত শত যুবক, মহিলোাা, পুরুষ, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও শিশুকে-কিশোর, কৃষক-শ্রমিক ও অন্যান্য শ্রেণিকে সুসংগঠিতকরণে বেশ সহায়ক ভূমিকা রাখে গ্রামীণ সমাজসেবা। গ্রামীণ সমাজসেবার আওতায় এসব গ্রাম্য জনগোষ্ঠীকে নিয়ে দল-উপদল, সংগঠন উপসংগঠন গঠনের ব্যবস্থা করা হয়। ফলশ্রুতিতে গ্রামীণ জনগণের স্বনির্ভরতা
বৃদ্ধি পেতে থাকে। তাই গ্রামীণ সমাজসেবা অধিদপ্তর গুরুত্বের সাথে বিবেচিত হয়ে থাকে।
১৩. সমাজ কার্যক্রম ঃ পারস্পরিক সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা, ঐক্য ও সংহতি, বিরোধ-দ্বন্দ্ব-সংঘাত-নিরসন বয়স্ক ও
সামাজিক শিক্ষা, চিত্তবিনোদন, কমিউনিটি সেন্টার ইত্যাদি সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনায় গ্রামীণ সমাজসেবা কাজ করে
যাচ্ছে। আবহমান গ্রামগুলোর দারিদ্র্যকবলিত জনগোষ্ঠীর জনজীবনে উন্নয়নের ছোঁয়া ছড়িয়ে দিতেই গ্রামীণ সমাজসেবা কর্মীরা বদ্ধপরিকর। ফলশ্রুতিতে দ্রুত গ্রামউন্নয়নের সম্ভাবনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাই বাংলাদেশের গ্রামগুলোর সাধারণ জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে গ্রামীণ সমাজসেবার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব অত্যধিক
উপসংহার. পরিশেষে বলা যায় যে, গ্রামীণ সমাজসেবা বাংলাদেশের হাজার হাজার গ্রামীণ মানুষের জীবনে আশীর্বাদস্বরূপ। এর বদৌলতে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, আর্থিক ঋণ ও কারিগরি সহায়তা পেয়ে লাখ লাখ যুবক-যুবতী তাদের কর্মের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারছে। এবং জীবন ও জীবিকা নির্বাহে সফল হচ্ছে। গ্রামভিত্তিক উন্নয়নের মাধ্যমেই
দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা সম্ভব। সারাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে বসবাসরতদের কল্যাণের নিমিত্তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে গ্রামীণ সমাজসেবা। সুতরাং, এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অত্যধিক।