গ্রামীণ সমাজতত্ত্ব বা গ্রামীণ সমাজবাদ হলো এমন একটি ধারণা যেখানে সমাজের মৌলিক ইকোসিস্টেম হলো গ্রাম বা ছোট সহস্র বা শত বাসিন্দা থাকা প্রণালী। এটি মূলত গ্রামের জীবনধারা, সংরক্ষণ এবং সমবায় নীতির উপর ভিত্তি করে থাকে। গ্রামীণ সমাজতত্ত্বের অন্যতম সুচনা হলো সামাজিক সমানতা এবং সামাজিক ন্যায়ের প্রবৃদ্ধি।
গ্রামীণ সমাজতত্ত্ব পাঠের প্রাসঙ্গিকতা বা গুরুত্ব:
গ্রামীণ সমাজতত্ত্ব হল সমাজবিজ্ঞানের একটি শাখা যা গ্রামীণ সমাজের বিভিন্ন দিক, যেমন:
- সামাজিক গঠন
- সংস্কৃতি
- অর্থনীতি
- রাজনীতি
- পরিবেশ
- পরিবর্তন
ইত্যাদি বিষয়ের উপর গবেষণা ও বিশ্লেষণ করে।
গ্রামীণ সমাজতত্ত্ব পাঠের প্রাসঙ্গিকতা বা গুরুত্ব নিম্নরূপ:
১) জ্ঞান বৃদ্ধি:
- গ্রামীণ সমাজের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন
- গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সম্পর্কে ধারণা লাভ
- গ্রামীণ সমাজের সমস্যা ও সমাধান সম্পর্কে অবগত
২) গবেষণা ও নীতি নির্ধারণ:
- গ্রামীণ সমাজের উন্নয়নের জন্য গবেষণা ও নীতি নির্ধারণে সহায়তা
- গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য কার্যকর নীতিমালা তৈরি
- গ্রামীণ সমাজের সমস্যা সমাধানে গবেষণা ভিত্তিক পদক্ষেপ গ্রহণ
৩) সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি:
- গ্রামীণ সমাজের প্রতি সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি
- গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর প্রতি সহানুভূতি ও সহমর্মিতা বৃদ্ধি
- গ্রামীণ-শহুরে বিভাজন দূরীকরণে সহায়তা
৪) কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি:
- গ্রামীণ সমাজের উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি
- গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য আয়ের উৎস বৃদ্ধি
- দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়তা
৫) টেকসই উন্নয়ন:
- গ্রামীণ সমাজের টেকসই উন্নয়নে সহায়তা
- পরিবেশ রক্ষা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
- গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন
এই সমাজতত্ত্বে গ্রামীণ অংশীদারবাদ, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, পর্যাবলম্বন, সামাজিক সদয়তা এবং ভাষা, সাংস্কৃতিক পরিস্থিতি, পরিবার এবং গাঁওবাসীদের জীবনধারা প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে উপস্থিত থাকে। এটি সমাজের বিভিন্ন বিভাগে সমবায় এবং সামাজিক অধিকার বিতরণের উপর ভিত্তি করে থাকে, এমনকি গ্রামের বাড়ি এবং কৃষি তথা অথবা কৃষি সংক্রান্ত সমৃদ্ধি এবং সম্মানবদ্ধ জীবনযাত্রার উপর এও ভিত্তি করে থাকে।
গ্রামীণ সমাজতত্ত্বের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো:
- সমাজিক সমানতা: গ্রামীণ সমাজতত্ত্বে সমাজিক সমানতা একটি মৌলিক মূলক, যেখানে সকল সদস্যের মধ্যে সমানতা এবং বিনম্রতা বজায় রাখা হয়।
- সম্মানবদ্ধ কৃষি জীবন: গ্রামীণ সমাজতত্ত্বে কৃষি অনেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, এবং এটি সম্মানবদ্ধভাবে প্রচুর উৎপাদন করার লক্ষ্যে থাকে।
- সামাজিক অধিকার এবং বিকাশ: গ্রামীণ সমাজতত্ত্বে সামাজিক অধিকার এবং ব্যক্তিগত উন্নতি উভয়েই গুরুত্বপূর্ণ।
- পর্যাবলম্বন এবং সহযোগিতা: গ্রামীণ সমাজতত্ত্বে একে অপরকে পর্যাবলম্বন এবং সহযোগিতা করার প্রবৃদ্ধি থাকে, যার মাধ্যমে সমবায় এবং উন্নতি হতে পারে।
এই রকম গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক ইকোসিস্টেম এবং মৌলিক মূলকে ভিত্তি করে, গ্রামীণ সমাজতত্ত্ব সমাজে সহায়ক এবং সম্মানবদ্ধ জীবনযাত্রার সৃষ্টি করতে সক্ষম।