গল্পকার হিসেবে বিভূতিভূষণের পরিচয় দাও।

উত্তর : স্বনামধন্য কথাসাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈত্রিক নিবাস ছিল পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার ব্যারাকপুর গ্রামে। তিনি ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে একই জেলার মুরারিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ‘পথের পাঁচালীর’ লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের এক অসাধারণ শিল্পী। সহানুভূতিশীল অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে তিনি যেমন তাঁর উপন্যাসে মানুষকে দেখেছেন, তেমনি গ্রামবাংলার নিসর্গের ছবি এঁকেছেন অপূর্ব দক্ষতায়। শহরের কর্মকোলাহলময় পরিবেশ থেকে দূরে, গ্রামে শিক্ষকতার ব্রত নিয়ে তিনি জীবন কাটিয়েছেন এবং এর পাশাপাশি সাহিত্য সাধনা করে রেখে গেছেন ব্যতিক্রমধর্মী সব সাহিত্য ফসল। তাঁর লেখা বেশকিছু উপন্যাসের মধ্যে ‘পথের পাঁচালী’, ‘অপরাজিত’, ‘আরণ্যক’, ‘ইছামতি’ প্রভৃতিকে বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ বলে বিবেচনা করা হয়। ‘ইছামতি’ গ্রন্থের জন্য তিনি মরণোত্তর রবীন্দ্রপুরস্কারে ভূষিত হন। তাঁর ‘পথের পাঁচালী’ চলচ্চিত্রায়িত ও বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। উপন্যাস ছাড়া তিনি ছোটগল্প, নাটক, দিনলিপি প্রভৃতি লিখেছেন। ব ভূতিভূষণের প্রকাশিত গ্রন্থাবলির মধ্যে পথের পাঁচালী (১৯২৯), অপরাজিত (১৯৩১), দৃষ্টি প্রদীপ (১৯৩৫), আরণ্যক (১৯৩৮), আদর্শ হিন্দু হোটেল (১৯৪০), দেবযান (১৯৪৪), ইছামতি (১৯৪৯) প্রভৃতি উপন্যাস; মেঘমল্লার (১৯৩১), মৌরীফুল (১৯৩২), যাত্রা বদল (১৯৩৪), কিন্নর দল (১৯৩৮) প্রভৃতি গল্পগ্রন্থ এবং তৃণাঙ্কুর (১৯৪৩) দিনলিপি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

https://topsuggestionbd.com/%e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%81%e0%a6%87%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%9a%e0%a6%be-%e0%a6%97%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%aa-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%ad%e0%a7%82%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%ad%e0%a7%82%e0%a6%b7/