অথবা, গল্পকথক স্কুলে সেকেন্ড মাস্টার হিসেবে যোগদান করে কী স্বপ্ন দেখেছিলেন?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘একরাত্রি’ গল্পে গল্পকথক দেশসেবার জন্য সে তার ছোটবেলার খেলার সাথী সুরবালার সাথে বিয়েতেও অস্বীকৃতি জানায়। তার ধারণা ছিল বিয়ে করলে দেশসেবা করা যাবে না। এ সময় সুরবালার অন্যত্র বিয়ে হয়। গল্পকথকের বাবার আকস্মিক মৃত্যুতে সংসারের ভার এসে পড়ে গল্পকথকের উপর । এন্ট্রান্স এবং এফ.এ পাস করার পর অকস্মাৎ তাকে আবিষ্কার করতে হলো- দেশৌদ্ধারের চেয়ে আরো বড় সমস্যা জীবনে আছে। অগত্যা দেশজননীকে ছেড়ে কাজের সন্ধানে বের হতে হয়। সে অনেক চেষ্টার পর নওয়াখালি অঞ্চলে একটি হাইস্কুলে সেকেন্ড মাস্টারের চাকরি নেন। প্রথমে ভেবেছিলেন তিনি যথার্থই চাকরি পেয়েছেন। তিনি তার ছাত্রদেরকে পড়াশোনার পাশাপাশি দেশসেবার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে ভাবীকালের ভারতবর্ষের জন্য একজন করে আদর্শ মানুষ করে তুলবেন। কিন্তু দেখা গেলো শুরুতেই সেকেন্ড হোঁচট খেলেন- কারণ ছাত্রদেরকে গ্রামার অ্যালজেব্রার বহির্ভূত কোন কথা বললেই হেডমাস্টার রাগ করতেন। ফলে দুমাসের মধ্যেই তার স্বপ্নভঙ্গ হয় এবং তিনি নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েন। মূলত গল্পকথক সেকেন্ড মাস্টার হিসেবে যোগদান করে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা বাস্তবতার সাথে মিল ছিল না আর একারণে প্রথমেই তিনি হোচট খেয়েছিলেন।