গবেষণা সমস্যার ক্ষেত্র নির্বাচন প্রক্রিয়াটি লিখ।

অথবা, সমস্যার ক্ষেত্র নির্বাচন প্রক্রিয়াটি লিখ।
অথবা, সমস্যার ক্ষেত্র নির্বাচন প্রক্রিয়া সংক্ষেপে লিখ।
অথবা, সমস্যা ক্ষেত্র নির্বাচন প্রক্রিয়া কী?
অথবা, সমস্যার ক্ষেত্র নির্বাচন প্রক্রিয়া বলতে কী বুঝ?
উত্তর।। ভূমিকা : কোন না কোন সমস্যাকে কেন্দ্র করেই বিজ্ঞানের গবেষণা বা আবিষ্কারের কাজ শুরু হয়। কোন সমস্যাকে ঘিরেই তার সমাধানের চেষ্টা করা হয়। আবার প্রাকৃতিক ঘটনাবলিকে যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করতে ব্যর্থ হলে তা
বৈজ্ঞানিক সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়। আর এই সমস্যা সমাধানের জন্য বিশেষ ধরনের চেষ্টার পদ্ধতিকে বলা হয় বিজ্ঞান।সমস্যা ছাড়া সমাধানের যেমন কোন অর্থ হয় না, তেমনি সমস্যা ব্যতীত বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানেরও কোন অর্থ হয় না। তাই বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে জানতে বা বুঝতে হলে প্রথমে যে বিষয়টি জানা দরকার তা হলো সমস্যা।
গবেষণা সমস্যার ক্ষেত্র নির্বাচন : গবেষণার জন্য সমস্যাটির ক্ষেত্র নির্বাচন করতে হবে। গবেষণার জন্য সর্বপ্রথম চিন্তাভাবনা করতে হবে। জ্ঞানবিজ্ঞানের বিষয়বস্তুর কোন ক্ষেত্রের জন্য গবেষণামূলক সমস্যা নির্বাচন ও গ্রহণ করা হবে তা চারটি ধাপে করতে হবে। যেমন-
১. গবেষণার ব্যবহৃত সমস্যাটি প্রচলিত গবেষণাগুলোর সাথে একই ধারাবাহিকতায় আবদ্ধ হলে ভালো হয়।
২. গবেষণার সমস্যাটি এমন হতে হবে যেন তা গবেষকের আগ্রহের ক্ষেত্রের সাথে সংগতিপূর্ণ হয়।
৩. গবেষণার সমস্যা সবসময় সুনির্দিষ্ট ও স্বল্প পরিসর হবে। বেশি বা অধিক মাত্রা সম্পর্কযুক্ত সমস্যাকে কখনো গ্রহণ করা উচিত নয়।
৪. বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্র এমন হতে হবে যাতে স্বার্থকভাবে গবেষণা পরিচালনা করা সম্ভব হয়। কারণ গবেষণা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা করা সম্ভব না হলে সমস্যার সমাধান পাওয়া যায় না। গবেষণা সুষ্ঠুভাবে সমাধান করার জন্য,গবেষককে দক্ষ ও অভিজ্ঞ হতে হবে। তাই আর্থিক সংগতি, যন্ত্রপাতির সহজ প্রাপ্যতা ও উপাদানগুলোর সহজলভ্যতা বিবেচনা করেই সমস্যা নির্বাচন করা উচিত।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, গবেষণার সমস্যায় গবেষণাটিকে সার্থক করে তুলতে হলে সমস্যা নির্বাচন করা অত্যন্ত জরুরি। সমস্যা নির্বাচন প্রক্রিয়া ছিল অত্যন্ত কঠিন। উপর্যুক্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করে সমস্যা নির্ধারণ করে
গবেষণা পরিচালনা করলে গবেষণা সার্থক হবে। সুতরাং মনোবিজ্ঞানে সমস্যা নির্বাচন প্রক্রিয়াটি যদিও অত্যন্ত জটিল তারপরও এদের গুরুত্বকে অস্বীকার করা যায় না।