গণতন্ত্র কী?

রকেট সাজেশন
রকেট সাজেশন

অথবা, বণতন্ত্র বলতে কী বুঝ?
অথবা, গণতন্ত্র কাকে বলে?
অথবা, গণতন্ত্রের সংজ্ঞা দাও ।

উত্তর:ভূমিকা:গণতন্ত্র হলো এমন একটি শাষ্যবিদ্যা, যেখানে শক্তি এবং সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জনগণ দ্বারা নির্ধারণ করা হয়। এটি সাধারণভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া , ন্যায়বিচার, মুক্ত মিডিয়া, এবং নাগরিকের মূলাধিকার সম্পর্কিত মৌলিক বৈশিষ্ট্যসমূহে ভিত্তি করে। গণতন্ত্রে শাসন শক্তি নাগরিকদের হাতে থাকে এবং সরকার জনগণের হিসেবে কর্মরত করে। এটি বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের রাজনীতির আধার হিসেবে ব্যবহৃত প্রক্রিয়া।

গণতন্ত্র : গণতন্ত্রের ইংরেজি প্রতিশব্দ Democracy। শব্দটি এসেছে Demos এবং Kratos থেকে Demos শব্দের অর্থ জনগণ এবং Kratos শব্দের অর্থ শাসন যা কর্তৃত্ব। সুতরাং বুৎপত্তিগত অর্থে গণতন্ত্র হলো জনগণের শাসন। সাধারণত যে শাসনব্যবস্থায় শাসনক্ষমতা এক বা মুষ্টিমেয় লোকের হাতে ন্যস্ত না থেকে সময় জনসাধারণের হাতে

নাস্ত থাকে এবং অধিকাংশ জনগণকে মতামত প্রকাশ করার সুযোগ দেওয়া হয় তাকে গণতন্ত্র বলে। প্রামাণ্য সংজ্ঞা : বিভিন্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বিভিন্নভাবে গণতন্ত্রের সংজ্ঞা দিয়েছেন। নিয়ে কতিপয় সংজ্ঞা উপস্থাপন করা হলো:

অধ্যাপক লিন্ডসে (Prof Lindsay) এর ভাষায় “Democracy is a theory of society as well as a theory o of government.” প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকम (Abraham Lincoln) এর মতে, “Democracy is government of the লর্ড ব্রাইস (Lord Bryce) তাঁর ‘Modern Demoracies’ গ্রন্থে বলেছেন, “যেখানে শাসনব্যবস্থা কোন শ্রেণির উপর ন্যস্ত না থেকে সমগ্র সমাজের সদস্যদের উপর নাও থাকে তাই গণতন্ত্র। জে. এস. মিলের মতে, “রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতায় সকলের প্রবেশাধিকার হচ্ছে গণতন্ত্র।”
অধ্যাপক সিলির (Prof. Selley) মতে, গণতন্ত্র হলো এমন এক শাসনব্যবস্থা যেখানে প্রত্যেকেরই অংশগ্রহণ রয়েছে।

উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে বলা যায়, গণতন্ত্র হচ্ছে সেই শাসনব্যবস্থা যেখানে সরকার গঠন পরিচালনায় জনগণের অংশগ্রহণ থাকে এবং এখানে সরকার তার কাজের জন্য জনগণের নিকট দায়ী থাকে।