ক-বিভাগ / অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
১. বাংলা সাহিত্যে মানুষের সুখ-দুঃখ এবং প্রকৃতির রঙ-রূপ চিত্রণে বিশেষত্ব কবি কে?
উত্তর : বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ।
২. বিভূতিভূষণ কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : চব্বিশ পরগনা জেলার ব্যারাকপুরে।
৩. বিভূতিভূষণ কখন জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : ১৮৯৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর।
৪. মৃত্যুবরণ করেন কত সালে?
উত্তর : ১৯৫০ সালের ১ সেপ্টেম্বর।
৫. বিভূতিভূষণের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস কোনটি?
উত্তর : ‘পথের পাঁচালী’ ।
৬. ‘পুঁই মাচা’ গল্পের প্রধান প্রধান চরিত্রের নাম লেখ।
উত্তর : সহায়হরি, অন্নপূর্ণা, ক্ষেন্তি, লক্ষ্মী, পুঁটি, রাধী।
৭. সহায়হরি উঠানে পা দিয়েই তার স্ত্রীকে কী দিতে বলে?
উত্তর : একটা বড় বাটি কি ঘটি।
৮. অন্নপূর্ণা শীতকালে সকালবেলা রান্নাঘরের দাওয়ায় বসে কী করছিলেন?
উত্তর : নারকেল তেলের বোতল হতে ঝাঁটার কাটি দিয়ে তেল বের করছিলেন।
৯. অন্নপূর্ণা শান্ত সুরে কার মনে ভীতির সঞ্চার করে?
উত্তর : সহায়হরি।
১০. চৌধুরী বাড়িতে সহায়হরিদের সম্পর্কে কী সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়?
উত্তর : তাদের একঘরে করা হবে।
১১. কোথায় ঘুরলেই ভদ্দরলোকের গাঁয়ে বাস করা যায় না?
উত্তর : বাগ্দী দুলে পাড়ায় ।
১২. ক্ষেন্তির বয়স কত বলে তার মা উল্লেখ করে?
উত্তর : পনেরো বছর।
১৩. ক্ষেন্তি বাইরে থেকে ছোটবোনদের সাথে নিয়ে কী নিয়ে আসে?
উত্তর : পুঁই শাক ।
১৪. ক্ষেন্তির কাচের চুড়িতে ব্যবহৃত সেপটিপিনগুলোর দাম কত?
উত্তর : দু’ডজন পয়সা।
১৫. ক্ষেন্তি গয়া বুড়ীর নিকট থেকে কী নিয়ে আসে?
উত্তর : চিংড়ী মাছ।
১৬. ক্ষেন্তি পুঁই শাকগুলো কার নিকট থেকে নিয়ে আসে?
উত্তর : রায় কাকার নিকট থেকে।
১৭. পুঁই শাকের ডাটা কে ফেলে দিয়ে আসতে বলে ক্ষেভিকে?
উত্তর : তার মা অন্নপূর্ণা ।
১৮. পুঁই শাকের চুপি চুপি আবার কে নিয়ে আসেন?
উত্তর : অন্নপূর্ণা ।
১৯. ক্ষেন্তি দুপুরবেলা কী দেখে আশ্চর্য হলো?
উত্তর : তার পাতে পুঁই শাকের চচ্চড়ি দেখে।
২০. বৈকালবেলা সহায়হরির কোথায় ডাক পড়ে?
উত্তর : কালীময়ের চণ্ডীমণ্ডপে।
২১. কালীময় কার সাথে ক্ষেন্তির বিয়ে ঠিক করেছিলো?
উত্তর : শ্রীমন্ত মজুমদারের ছেলের সাথে।
২২. শ্রীমন্ত মজুমদারের ছেলের সাথে ক্ষেন্তির বাবা-মা কেন বিয়ে ভেঙে দেয়?
উত্তর : পাত্রটি গ্রামে কী একটা করতে গিয়ে বেদম-প্রহার খেয়ে শয্যাগত হওয়ার কারণে।
২৩. অন্নপূর্ণার ভাষ্যানুসারে পুঁই ডাটার চারা কখন পুততে হয়?
উত্তর : বর্ষাকালে।
২৪. কলার পাতার উপর নারকেল কোরে কে?
উত্তর : ক্ষেন্তি।
২৫. সহায়হরি/অন্নপূর্ণা ছোট মেয়ের নাম কী?
উত্তর : লক্ষ্মী।
২৬. সহায়হরি/অন্নপূর্ণা মেজো মেয়ের নাম কী?
উত্তর : পুঁটি।
২৭ সহায়হরি/অন্নপূর্ণা সেজো মেয়ের নাম কী?
উত্তর : রাধী।
২৮. সহায়হরি/অন্নপূর্ণা বড় মেয়ের নাম কী?
উত্তর : ক্ষেত্তি।
২৯. ‘পুঁই মাচা’ গল্পে কোন কোন ব্রাহ্মণের নাম আছে?
উত্তর : সুরেশ কাকা এবং তিনুর বাবা।
৩০. ক্ষেস্তি কম করে হলেও কতটি পিঠা খায়?
উত্তর : আঠারো ঊনিশখানা।
৩১. ক্ষেত্তির কোন সময়ে বিয়ে হয়েছিলো?
উত্তর : বৈশাখ মাসের প্রথমে।
৩২. কার ঘটকালিতে ক্ষেস্তির বিয়ে হয়েছিলো?
উত্তর : সহায়হরির এক দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের ঘটকালিতে।
৩৩. ক্ষেভির যার সাথে বিয়ে হয়েছিলো তার বয়স কত হবে?
চল্লিশের কাছাকাছি।
৩৪. ক্ষেন্তির সাথে যার বিয়ে হয়েছিলো, সে চুন ও ইটের ব্যবসা করতো কোথায়?
উত্তর : সিলেটে।
৩৫. বিয়ের সময় বেহারারা সুবিধা করার জন্য পালকি কোথায় নামিয়েছিলো?
উত্তর : আমলকিতলায়।
৩৬. কোন সময় উঠানের মাচায় রৌদ্রে আমসত্ত্ব তুলতে গিয়ে অন্নপূর্ণার মন হু হু করতো?
উত্তর : ফাল্গুন-চৈত্র মাসে।
৩৭. বেড়ার ধারে কোন ফুল ফুটেছিলো?
উত্তর : মেঁদিফুল।
৩৮. সহায়হরির প্রতিবেশী কে?
উত্তর : বিষ্ণু সরকার।
৩৯. সহায়হরি বিষ্ণু সরকারের সাথে কোন সময়ে কথা বলছিলেন?
উত্তর : বর্ষাকালে আষাঢ় মাসে।
৪০. ক্ষেস্তির বিয়েতে যৌতুকের কত টাকা বাকি ছিল?
উত্তর : আন্দাজ আড়াইশো টাকা ।
৪১. সহায়হরি পূজোর তত্ত্ব হিসেবে কত টাকা খরচ করেছিলো?
উত্তর : ত্রিশ টাকার কম হবে না।
৪২. ক্ষেন্তি কোন রোগে মারা যায়?
উত্তর : বসন্ত রোগে।
৪৩. সহায়হরির কোন পূর্ব পুরুষের নামে নীলকুঠি আমলে বাঘ-মহিষে এক ঘাটে জল খেতো?
উত্তর : পুরমেশ্বর চাটুয্যের নামে।
৪৪. কোন মাসে ক্ষেন্তির বসন্ত হয়েছিলো?
উত্তর : ফাল্গুন মাসে।
৪৫. ক্ষেস্তির গায়ে বসন্ত বের হলে তার স্বামী তাকে কোথায় ফেলে রেখে গিয়েছিলো?
উত্তর : টালায় সহায়হরির এক দূর সম্পর্কের আত্মীয়র কাছে।
৪৬. ক্ষেম্তির গয়নাগুলো কী হয়েছিল?
উত্তর : অসুখ অবস্থাতেই তার গা থেকে তার স্বামীর বাড়ির লোকজন খুলে নিয়েছিলো।
৪৭. অত্যন্ত বৃদ্ধ লোকেরা কী কথা বলাবলি করছিলো?
উত্তর : এমন শীত তারা আর কখনও দেখিনি।
৪৮. রান্নাগরে বসে সন্ধার সময় অন্নপূর্ণা কোন পিটা তৈরি করছিলো?
উত্তর : চাকলি পিঠা।
৪৯. তৈরি করা চাকলি পিঠার প্রথমটা অন্নপূর্ণা কী করে?
উত্তর : কাঁনাচে ষাঁড়া-ষষ্ঠীকে ফেলে দেবার জন্য তার মেয়েদের হাতে দেয়।
৫০. উনুনের পাশে আগুন পোহাইছিলে কে কে?
উত্তর : পুঁটি এবং রাধী।
৫১. কোথায় জ্যোৎস্না আটকিয়ে ছিলো?
উত্তর : তেলাকুচা লতার থলো থলো সাদা ফুলের মধ্যে।
৫২. পুঁটি-রাধী পিঠাটি কোথায় ফেলে দিয়ে আসে?
উত্তর : গত বছর অন্নপূর্ণা যেখান থেকে নেবুর চারা তুলে এনেছিলো।
৫৩. কোন বস্তুকে কেন্দ্র করে অন্নপূর্ণা, পুঁটি এবং রাধীকার মনে ক্ষেম্ভির স্মৃতি আবার তীব্রভাবে জেগে উঠো
উত্তর : ক্ষেন্তির লাগানো পুঁই শাকের গাছটিকে কেন্দ্র করে।
৫৪. অন্নপূর্ণার কোন মেয়েটি বেশি ভোজনপটু ছিলো?
উত্তর : ক্ষেন্তি।
৫৫. ঘন ঝোপের মধ্য দিয়ে কী ছুটে চলে যায়?
উত্তর : শিয়াল।
৫৬. বাড়ির পিছনে জ্যোৎস্নার আলোয় কোন পাখি ঠক ঠক শব্দ করে?
কাঠঠোকরা।
উত্তর :
৫৭. “সুপুষ্ট নধর প্রবর্ধমান জীবনের লাবণ্যে ভরপুর।”- কোন গল্পের উদ্ধৃতি।
উত্তর : বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পুঁই মাচা’ গল্পের।
৫৮. একঘরে কী?
উত্তর : সমাজ থেকে বহিষ্কার করা।
৫৯. গয়া বুড়ী
উত্তর : গয়া নাম্নী এক বৃদ্ধ বান্ধী যার পেশা মাছ বিক্রি করা।
৬০. শ্ৰোত্ৰিয় কী?
উত্তর : হিন্দুদের একটি গোত্রের নাম।
৬১. কুরুনী কী?
উত্তর : নারকেল কোরাতে যে যন্ত্র ব্যবহৃত হয়।