খিলাফত (আরবি: خلافة khilāfa, প্রতিনিধিত্ব, প্রতিনিধিতন্ত্র) হল ইসলামী সরকার ব্যবস্থা, যা মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্ব এবং রাজনৈতিক একতার প্রতিনিধিত্ব করে। এই ধরনের শাসন ব্যবস্থার সরকার প্রধানকে “খলিফা” বলা হয়।
খিলাফতের আভিধানিক অর্থ হল প্রতিনিধিত্ব। ইসলামী পরিভাষায় খলিফা হলেন এমন ব্যক্তি যিনি যাবতীয় বিষয়ে শরীআত অনুযায়ী সমস্ত উম্মাতকে পরিচালিত করেন। ইসলামী রাষ্ট্রে খলিফা সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অধিকারী। তিনি রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে গভর্নর, শাসক, নেতা, কাযী নিযুক্ত করেন।
খিলাফতের মূল উদ্দেশ্য হল ইসলামী শরীয়তের আলোকে মুসলিম বিশ্বের শাসন ও নেতৃত্ব প্রদান করা। খলিফার দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে:
- ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী শাসন পরিচালনা করা
- মুসলিম বিশ্বের ঐক্য ও সংহতি রক্ষা করা
- মুসলিমদের স্বাধীনতা ও অধিকার রক্ষা করা
- মুসলিমদের মধ্যে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা
- মুসলিমদের মধ্যে দারিদ্র্য ও বৈষম্য দূর করা
খিলাফতের ইতিহাস দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ। ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর মৃত্যুর পর তাঁর চারজন সাহাবা (রা.) খলিফা নির্বাচিত হন। এই চারজন খলিফাকে “খুলাফায়ে রাশেদিন” বা ন্যায়নিষ্ঠ খলিফা বলা হয়। খিলাফতের প্রথম চার শতাব্দীতে ইসলামী রাষ্ট্র বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়।
খিলাফতের অবসান ঘটে ১৯২৪ সালে। তুরস্কের রাষ্ট্রপতি কামাল আতাতুর্ক খিলাফত ব্যবস্থা বিলুপ্ত করেন।
খিলাফতের পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি আজও মুসলিম বিশ্বের অনেক দেশে রয়েছে।