অথবা, কিংকেড চাহিদা রেখা কি?
উত্তর: অলিগোপলি বাজারে প্রচলিত বাজার দামের সাথে সংশ্লিষ্ট একটি নির্দিষ্ট বিন্দুতে ফার্মের চাহিদায় কোন সৃষ্টি উত্তর হয়। তাই এরূপ রেখাকে কোন যুক্ত চাহিদা রেখা বলে।
অন্যভাবে বলা যায় যে, চাহিদা রেখার উপরের অংশের ঢাল অপেক্ষাকৃত কম এবং নীচের অংশের ঢাল তুলনামূলকভাবে বেশি তাকে কোনযুক্ত চাহিদা রেখা বলা হয়। বিন্দুর উপরের অংশের দাম স্থিতিস্থাপকতা নিচের অংশের তুলনায় বেশি।
অলিগোপলি বাজারে প্রতিটি ফার্ম স্বাধীনভাবে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত থাকলে তাদের মধ্যে এক ধরনের দাম যুদ্ধের সূত্রপাত হয়।
ব্যাপারটি এ রকম- একটি ফার্ম তার পণ্যের দাম হ্রাস করলে অপরাপর দাম স্থির রাখে। এ অবস্থায় একটি ফার্ম তার পণ্যের দাম কমালে চাহিদার পরিমাণ আশানুরূপ বৃদ্ধি পাবে না।
আবার দাম বাড়লে পণ্যের চাহিদার পরিমাণ তুলনামূলকভাবে (আশাতীতভাবে) অধিক হ্রাস পাবে। তাই দাম কমানোর ক্ষেত্রে চাহিদা রেখা অস্থিতিস্থাপক হয় এবং দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে চাহিদা রেখা স্থিতিস্থাপক হয়। এজন্য কোন ফার্ম পণ্যের দাম বাড়ানোর ঝুঁকি গ্রহণ করে না। আবার, দাম হ্রাসের চিন্তা ও করে না।
অর্থাৎ, নির্ধারিত দাম বাড়ার বা কমার কোনো প্রবণতা থাকে না। এ অবস্থাটিকে দামের অনমনীয়তা বলা হয়। এ সামেই চাদ্যি রেখা Kinked হয়ে যায়।
রেখা চিত্রের সাহায্যে প্রকাশঃ নিম্নে চিত্রের সাহায্যে কোনযুক্ত চাহিদা রেখা দেখানো হলো- চিত্রে OX অক্ষে চাহিদার পরিমাণ ও OY অক্ষে দাম নির্দেশ করা হয়েছে।
চিত্রে AHC একটি চাহিদা রেখা বা গড় ব্যয় রেখা। এ রেখার AE অংশের তুলনায় EC অংশের ঢাল বেশি।
অন্যভাবে বলা যায়, AE অংশের তুলনায় EC অংশের স্থিতিস্থাপকতা কম। ফলে E বিন্দুতে চাহিদা রেখাটি কোনযুক্ত হয়ে পড়ে। তাই ABC রেখাকে কোনযুক্ত চাহিদা রেখা বা Kinked Demand curve বলা হয়।