অথবা, সংশোধনমূলক সমাধান প্রত্রিয়া গ্রহণের অবস্থা আলোচনা কর।
অথবা, সমস্যা সমাধানে সংশোধনমূলক প্রত্রিয়া গ্রহণের অবস্থা বর্ণনা কর।
অথবা, কোন কোন অবস্থায় সমস্যা সমাধানে সংশোধনমূলক প্রত্রিয়া গ্রহণ করা হয়ে থাকে?আলোচনা কর।
অথবা, সমস্যা সমাধানে সংশোধনমূলক প্রত্রিয়া গ্রহণের অবস্থা সম্পর্কে লেখ।
উত্তরা।। ভূমিকা : সংশোধনমূলক সমাধান পদ্ধতি বলতে এমন কতকগুলো কৌশলের প্রয়োগকে বুঝায়,যেগুলোর মাধ্যমে সেবাগ্রহীতার আত্মরক্ষার্থে গৃহীত বিভিন্ন ব্যবস্থা বা প্রতিক্রিয়ার মধ্যে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনয়নের প্রচেষ্টা চালানো হয়। এ পদ্ধতির মাধ্যমে সেবাগ্রহীতার আচরণের বাহ্যিক ধরন এবং অভ্যন্তরীণ নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্যে সংশোধন আনয়নের প্রচেষ্টা চালানো হয়।
সংশোধনমূলক সমাধান প্রত্রিমা গ্রহণের অবস্থা : সংশোধনমূলক সমাধান প্রক্রিয়া ব্যক্তি সমাজকর্মের সমস্যা সমাধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া ও কৌশল। ব্যক্তি সমাজকর্মে যে পদ্ধতি বা কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে ব্যক্তির আত্মরক্ষার্থে গৃহীত নানা ব্যবস্থা বা ভঙ্গির মধ্যে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনয়ন সম্ভবপর হয় তাকে সংশোধনমূলক প্রক্রিয়া বলে। যেসব অবস্থায় সাধারণত সংশোধনমূলক প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয় তাকে দু’ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
১. সামাজিক ভূমিকা পালনে সমস্যাগ্রস্ততা ও
২. আত্মপূর্ণতার ক্ষমতা বা অক্ষমতা।
১. সামাজিক ভূমিকা পালনে সমস্যাগ্রস্ততা : সামাজিক ভূমিকা পালনে সমস্যাগ্রস্ততাকে নিম্নরূপভাবে বিন্যস্ত করা যায়। যথা :
ক. ব্যক্তির আপন ভূমিকা পালনে বর্তমান অবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এরূপ এক বা একাধিক আচরণ প্রদর্শন;
খ. ব্যক্তির আত্মরক্ষামূলক অবস্থা থেকে উৎসারিত গতানুগতিক এমন ধরনের আচরণ যা সমস্যা নিরূপণের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে;
গ. ব্যক্তিকে সক্ষম করে তোলার মতো আচরণ যা সংশোধনের প্রয়োজন আছে বলে মনে করা হয়;
ঘ. এমন কিছু অক্ষম আচরণ বা অবাঞ্ছিত অবস্থা যা সংশোধন করা প্রয়োজন। এ ধরনের আচরণ সংশোধন না করলে ব্যক্তির কোন প্রকার উন্নতি করা সম্ভব নয়।
২. আত্মপূর্ণতার ক্ষমতা বা অক্ষমতা : এক্ষেত্রে যেসব বিষয় বিবেচ্য তা হলো :
ক. আবেগ উৎকণ্ঠা থাকলেও ব্যক্তি আত্মনিরীক্ষা ও সহনশীলতায় পর্যাপ্ত ক্ষমতা বজায় রাখার ব্যাপারে সক্ষম;
খ. সাহায্যার্থী ব্যক্তি বাহ্যিক প্রতিক্রিয়ার সীমা, সহনশীলতার সীমা ও সহ্যসীমা অতিক্রম করেনি;
গ. সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে ব্যবহার উপযোগী সামর্থ্য চিহ্নিতকরণে ব্যক্তির ক্ষমতা এবং
ঘ. সমস্যা সমাধানে সম্পর্ক চিহ্নিতকরণে ব্যক্তির বোধগম্যতা।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে দু’ধরনের পদ্ধতির আশ্রয় নেওয়া হয়। একটি সমর্থনমূলক সমাধান পদ্ধতি এবং অন্যটি সংশোধনমূলক সমাধান প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে ব্যক্তি সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জন করতে পারে। এ পদ্ধতির বা প্রক্রিয়ার প্রধান দিক বা কৌশল হচ্ছে ব্যক্তির আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গির সংশোধন এবং তার মধ্যে পর্যাপ্ত সচেতনতা সৃষ্টি করা।