অথবা, গল্পকথক এর সাথে সুরবালার কেন বিয়ে হলো না- এর মূল কারণসমূহ কী কী?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘একরাত্রি’ গল্পে গল্পকার কলকাতায় পালিয়ে আসে। তার লক্ষ্য ছিল তার পাড়ার নীলরতনের মতো পড়ালেখা শেষ করে কালেক্টার সাহেবের নাজির অথবা জজ আদালতের হেডক্লার্ক হবেন। প্রথম সে তার এক পরিচিতের বাসায় কলকাতায় থাকতে শুরু করে। গল্পকারের পিতা টাকা পাঠাতে থাকলে গল্পকার যথানিয়মে পড়ালেখা চালিয়ে যায়। এরই ফাঁকে গল্পকার আবার দেশের জন্য কিছু একটা করতে হবে বলে কলকাতার সভাসমিতিতে যোগদান করতে থাকে। এদিকে গল্পকারের পিতা মনে করে তার ছেলের বিয়ের বয়স অতিক্রম হয়ে যাচ্ছে। তাই গল্পকারের পিতা আর সুরবালার পিতা একমত হয়ে সুরবালার সাথে গল্পকারের বিয়ের ব্যাপারে সম্মত হয়। গল্পকারের পিতা থাসময়ে গল্পকারকে বিয়ের কথা জানায়। কিন্তু গল্পকার তার পিতাকে জানায় যে, পড়ালেখা শেষ না করে সে বিয়ে করবে না। প্রকৃত অর্থে তার লক্ষ্য ছিল দেশের জন্য কিছু একটা করা এবং বিয়ে করলে হয়তো সে লক্ষচ্যুত হবে- এ ভয়ে সে বিয়েতে সম্মতি দেয়নি। এক কথায় তার কাছে তখন মনে হয়েছিল দেশসেবা-সংসারসেবা থেকে অনেক বড়। তাই গল্পকথক বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। মূলত সুরবালার প্রতি তার উদাসীনতা এবং দেশসেবা তাকে সুরবালার সাথে বিয়ে হওয়া থেকে দূরে রেখেছিল।