বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজনীতির কবি বলা হয়। তিনি বাঙালি জাতির পিতা এবং বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। তিনি তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, বক্তৃতা-কৌশল, এবং আবেগপ্রবণ ভাষণের জন্য পরিচিত। তার ভাষণে তিনি প্রায়শই কবিতার ভাষা ব্যবহার করতেন। তিনি তার ভাষণে বাঙালি জাতির ইতিহাস, সংস্কৃতি, এবং স্বপ্নকে তুলে ধরতেন। তার ভাষণে তিনি বাঙালি জাতির মুক্তি, স্বাধীনতা, এবং সমৃদ্ধি সম্পর্কে আশাবাদী উচ্চারণ করতেন।
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ছিল মুক্তি, সাম্য, এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের। তিনি বিশ্বাস করতেন যে সকল মানুষ সমান এবং তাদের অধিকার রয়েছে। তিনি বাঙালি জাতির জন্য একটি গণতান্ত্রিক, সমাজতান্ত্রিক, এবং ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতেন।
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ভাষণের কিছু উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হল:
- ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে দেওয়া ভাষণ, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ডাক দেয়।
- ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি ঢাকায় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণ, যাতে তিনি বাংলাদেশকে একটি সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
- ১৯৭৪ সালের ৩রা নভেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণ, যাতে তিনি বাঙালি জাতির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে জোরালো বক্তব্য রাখেন।
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ভাষণ বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তার ভাষণ বাঙালি জাতির মুক্তি, স্বাধীনতা, এবং সমৃদ্ধির পথপ্রদর্শক। এজন্য তাকে রাজনীতির কবি বলা হয়।