অথবা, কর্মমুখী শিক্ষা কী?
অথবা, কর্মমুকী শিক্ষা কাকে বলে?
অথবা, কর্মমুখী শিক্ষার সংজ্ঞা দাও।
উত্তর৷ ভূমিকা : শিক্ষা সমাজের মৌলিক কার্যাবলির মধ্যে অন্যতম। এ শিক্ষা সুস্থ সমাজজীবনের চালিকাশক্তি। মানুষ শিক্ষার সংস্পর্শে এসে ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটায়। শিক্ষা মানুষকে কর্মজীবনের জন্য উপযোগী করে
গড়ে তোলে। একইভাবে শিক্ষা ব্যক্তির সার্বিক উন্নয়ন ঘটায়। সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কর্মমুখী শিক্ষা ব্যক্তি ও সমাজের উন্নয়ন ঘটাতে পারে। সার্বিক উন্নয়নের প্রশ্নে বর্তমানে কর্মমুখী শিক্ষাকে গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে।
কর্মমুখী শিক্ষা : কর্মমুখী শিক্ষা সাধারণ শিক্ষারই অংশ। এ শিক্ষা শিক্ষার্থীকে ব্যবহারিক জ্ঞান প্রদান করে, যা তার কর্মজীবনের জন্য উপযোগী করে গড়ে তোলে। সাধারণ শিক্ষায় তত্ত্বীয় ও পুঁজিগত শিক্ষা প্রদান করা হয়। ফলে শিক্ষার্থী কর্মজীবনে প্রবেশ করে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়। কর্মমুখী শিক্ষা শিক্ষার্থীকে ব্যবহারিক জীবনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য প্রস্তুত করে তোলে। দেলওয়ার হোসেন শেখ এ শিক্ষা সম্পর্কে বলেছেন, “আনুষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত যে শিক্ষা কর্মসূচি শিক্ষার্থীর প্রাত্যাহিক জীবনের সাথে সংশ্লিষ্ট ছোটখাট কাজ সম্পাদনে সচেষ্ট হতে বিদ্যালয়ে, গৃহে, ক্ষেতখামারে, কলকারখানায় ইত্যাদিতে বিনা সংকোচে কায়িক শ্রমের দ্বারা উৎপাদনশীল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করাতে সহায়তা দিতে পারে তাকে কর্মমুখী শিক্ষা বলে।” তিনি আরও বলেছেন, “যে জ্ঞান ও শিক্ষা শিক্ষার্থীর দেহ, মন ও বাস্তব কর্মের মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে পারে তাকে কর্মমুখী শিক্ষা বলে।” কর্মমুখী শিক্ষায় শারীরিক ও মানসিক উভয় দিক থেকে শিক্ষার্থীকে শিক্ষা প্রদান করা হয়। এ শিক্ষা শিক্ষার্থীর দেহ, মন ও বাস্তব কর্মের মধ্যে সমন্বয় ঘটায়।
উপসংহার : আলোচনার পরিসমাপ্তিতে বলা যায় যে, শিক্ষার্থীকে ব্যবহারিক জ্ঞানদানের মাধ্যমে হাতেকলমে শিক্ষা দেয়াকে বলা হয় কর্মমুখী শিক্ষা। এ শিক্ষা শিক্ষার্থীকে ব্যবহারিক জীবনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য প্রস্তুত করে তোলে।