[ad_1]
✍️ ও.আই.সি মুসলিম বিশ্বের স্বার্থ সংরক্ষণে কতটুকু সফল হচ্ছে বলে তুমি মনে কর ?
উত্তর। ভূমিকা : বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য ও.আই.সি গঠিত হলেও বিগত ৪০ বছরে ও.আই.সির কার্যক্রমে এর সার্বিক প্রতিফল পাওয়া যায় ।
সফলতা : ও.আই.সি যেসব ক্ষেত্রে সফলতা লাভ করেছে তা হলো :
১. সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক , প্রযুক্তিগত , বাণিজ্যিক এবং সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ।
২. সদস্য দেশগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ।
৩. মুসলিম বিশ্বের একক স্বার্থ নির্ধারণ ও
৪. মুসলিম বিশ্বে মানবিক ও ধর্মীয় সহযোগিতা । যেসব ক্ষেত্রে সফলতা লাভ করে নি তা হলো :
১. মুসলিম বিশ্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ।
২. মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বিভেদ দূরীকরণ ।
৩. ফিলিস্তিন ও ইরাকের জনগণের মুক্তি ও
৪. পাশ্চাত্য শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়া ইত্যাদি ।
উপসংহার : মুসলিম বিশ্বের স্বার্থ সংরক্ষণে OIC পুরাপুরি সফল না হলেও একেবারে ব্যর্থ হয়েছে বলা যায় না ।
✍️ WTO চুক্তি কার্যকর হওয়ায় বাংলাদেশ কী কী বাধার সম্মুখীন ?
উত্তর : WTO চুক্তি কার্যকরের ফলে বাংলাদেশ নিম্নোক্ত সমস্যার সম্মুখীন :
১. তৈরি পোশাক শিল্প কোটামুক্ত বিশ্বে প্রতিযোগিতার সম্মুখীন ।
২. অবাধ বাজারের ফলে সস্তায় সব পণ্য আমদানির ফলে দেশের শিল্প কারখানা হুমকির সম্মুখীন ।
৩. প্যাটেন্ট আইনের প্রয়োগে অনেক পণ্য উৎপাদন বন্ধ ।
৪. আমদানি শুল্কের উচ্চ হার বাধ্যবাধকতায় শুল্ক আয় হ্রাস ।
৫. আমদানি বৃদ্ধির কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ যথেষ্ট কম ।
✍️ ২০০৫ সালে WTO চুক্তিটি কার্যকর হওয়ায় বাংলাদেশের শিল্প কী হুমকির সম্মুখীন ?
উত্তর : ১ জানুয়ারি , ২০০৫ থেকে WTO চুক্তি কার্যকর হয়েছে এবং বাজার উন্মুক্ত হওয়ার সাথে সাথেই বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হয়েছে । আমাদের পোশাক শিল্প ও বাণিজ্য উদারীকরণ হওয়ার সাথে সাথে কোটার সুবিধা বঞ্চিত হয়েছে । এছাড়া চুক্তির শর্ত মোতাবেক ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ এর পর্যাপ্ত সুবিধাবঞ্চিত বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় এ খাতটির অনেক শিল্পই হুমকির সম্মুখীন হয়েছে । তবে আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ সস্তা শ্রমের উপর ভিত্তি করে আরো পশ্চাৎমুখী শিল্প গড়ে তোলার মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা সম্ভব হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ।
✍️ বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যের সমস্যাসমূহ কী কী ?
উত্তর : বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যের প্রধান সমস্যা হচ্ছে সীমিত রপ্তানি পণ্য এবং বাজার । বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক এর সিংহভাগই রপ্তানি করা হয় ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে । বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা , আমদানিকারক দেশসমূহ কর্তৃক আরোপিত অযাচিত শর্তারোপ ও পোশাক রপ্তানিতে কিছু কিছু দেশ বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠায় তৈরি পোশাক রপ্তানি হ্রাস পাচ্ছে । বিদেশের বাজারে বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যের প্রবেশ বিভিন্ন অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় , যেমন- গণ ট্যারিফ , প্যারা ট্যারিফ প্রতিবন্ধকতা , স্ট্রিনজিট কোয়ালিটি স্ট্যান্ডার্ড রিকোয়ারম্যান্ট , স্ট্রিনজিট রুলস অব অরিজিন এবং কঠোর শ্রম ও পরিবেশ মানদণ্ড । যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্য প্রবেশ । কোটা , শ্রম মানদণ্ড , হিমায়িত খাদ্যের জন্য এইচএসিসিপি এর মতো কোয়ালিটি রিকোয়ারম্যান্ট তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রে ইকো লিবেলিং এর মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় । ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে রুলস অব অরিজিন । কোয়ালিটি স্ট্যান্ডার্ড রিকোয়ারম্যান্ট হলো লেবেলিং এর মতো সমস্যায় পড়তে হয় জাপান , কানাডা , অস্ট্রেলিয়ার বাজারেও বাংলাদেশের পণ্য প্রবেশে অনুরূপ সমস্যায় পড়তে হয় ।
✍️ সাফটা চালুর পরে বাংলাদেশে কী কী প্রভাব পড়েছে ?
উত্তর : সাফটা চালুর পরে বাংলাদেশ সার্ক অঞ্চলের নিম্নলিখিত প্রভাবসমূহ বর্তমান ।
১. ভারতের সাথে বাণিজ্যিক লেনদেনের ভারসাম্যের অসমতা হ্রাস ।
২. ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সেভেন সিস্টারের সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধি ।
৩. পাকিস্তানের সাথে রপ্তানি বৃদ্ধি ও বাজার সম্প্রসারণ ।
৪. অপ্রচলিত পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি ।
৫. ক্ষুদ্র , মাঝারি ও কৃষিভিত্তিক পণ্যের রপ্তানি বাজার প্রসার ।
✍️ বাংলাদেশে অবাধ বাণিজ্যের সুফল পেতে তোমার সুপারিশ কী ?
উত্তর ভুমিকা : অবাধ বাণিজ্যের ফলে বাংলাদেশে , কৃষি , মৎস্য , সার ও ওষুধ শিল্পসহ বেশকিছু শিল্পের আঞ্চলিক প্রসারিত বাজার প্রাপ্তির একটা ব্যাপক সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে । তবে বাণিজ্য চুক্তিতে লাভবান হতে হলে বিশেষজ্ঞ অভিমতের মাধ্যমে বিচারবিশ্লেষণ করে বাংলাদেশের স্বার্থরক্ষা হয় এমন চুক্তিই করতে হবে । পাশাপাশি রাজনীতি নিরপেক্ষ অর্থনৈতিকও কূটনীতির পরিধিকেও বাড়াতে হবে ।
অবাধ বাণিজ্যের সুফল : অবাধ বাণিজ্য চুক্তির সুফল ভোগ করতে হলে বাংলাদেশের জন্য কতকগুলো পদক্ষেপ ও উদ্যোগ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি । এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যগুলো হলো :
১. শুল্ক ও শুল্ক বহির্ভূত বাধাগুলো দূর করতে হলে তা সহজ করতে হবে ।
২. সবল অর্থনীতির পাশাপাশি নিজ অর্থনীতিকে সমান্তরাল ও প্রতিযোগিতা পর্যায়ে আনার সার্বিক সুযোগ পেতে হবে । এজন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বানাতে হবে ।
৩. যোগাযোগ ও পরিবহনের নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে ।
৪. দেশের ভিতরে প্রতিযোগিতামূলক উৎপাদণের সফল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে । বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ সংরক্ষণ করতে হবে । তবে সবার আগে দরকার জোটভুক্ত দেশগুলোর ভিতরে একের প্রতি অপরের আস্থা ।
উপসংহার : বাংলাদেশের অবাধ বাণিজ্যের সুফল পেতে হলে উপযুক্ত সুপারিশগুলো খুবই যুক্তিযুক্ত বলে আমি মনে করি ।
✍️ বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যের একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও ।
উত্তর : কোন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ( সাধারণত এক বছর ) একটি দেশের দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান আমদানি ও রপ্তানি এবং অন্যান্য সকল প্রকার অর্থনৈতিক লেনদেন সম্বলিত মোট দেনা ও পাওনার একত্রিত হিসাবকে সে দেশের লেনদেনের ভারসাম্য বলা হয় । চলতি অর্থবছরের জুলাই – ফেব্রুয়ারি ২০১১ সময়ে দেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৪,৮৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার । এ সময়ে পণ্য রপ্তানি ও আমদানি প্রবৃদ্ধি হলেও আমদানির ভিত্তি বড় হওয়ায় বাণিজ্য ঘাটতি বৃদ্ধি পেয়েছে । আলোচ্য সময়ে চলতি হিসাবে উদ্বৃত্তের পরিমাণ দাঁড়ায় ৬০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার , যেখানে পূর্ববর্তী অর্থবছরের একই সময়ে এ হিসেবে উদ্বৃত্তের পরিমাণ ছিল ২.৫৫৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার উল্লিখিত সময়ে চলতি হস্তান্তর প্রবাহ ১.০২ শতাংশ বৃদ্ধি পেলেও সেবা , বাণিজ্য ও আয় হিসাবখাতে ঘাটতি যথাক্রমে ৪২.৯২ শতাংশ ও ১৬.৩২ শতাংশ বৃদ্ধি পায় । ফলে চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পায় । আলোচ্য সময়ে সার্বিক লেনদেন ভারসাম্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৯০ মিলিয়ন ডলার যেখানে পূর্ববর্তী অর্থবছরের একই সময়ে সার্বিক লেনদেন ভারসাম্য ২৩৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার উদ্বৃত্ত পরিলক্ষিত হয়েছিল ।
✍️ এম . এফ . এন শুল্ক হারের বর্ণনা দাও ।
উত্তর : শুল্ক আইনের সিডিউলে বর্ণিত এম . এফ . এন . শুল্ক হারের পাশাপাশি বিভিন্ন সময় বাজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে পৃথকভাবে শুল্ক আইনের ২০ ধারা অনুসারে প্রয়োগকৃত এম . এফ . এন হারের উপর শুল্ক সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে । বর্তমানে এম . এফ . এন . ট্যারিক হারের উপর ৩ প্রকার রেয়াতি শুল্ক হার কার্যকর রয়েছে । যথা : ১. বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক / আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তির আওতায় আমদানি , ২. রপ্তানিমুখী শিল্পসহ নিবন্ধনকৃত শিল্পের জন্য মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি এবং নির্দিষ্ট কাজের জন্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ; যেমন- গবাদি পশু ও হাঁসমুরগি ওষুধ , চামড়া ও বস্ত্রশিল্প প্রতিষ্ঠান কর্তৃক কাঁচামাল আমদানি বর্তমানে এম . এফ . এন শুল্ক হারের পাশাপাশি নিম্নলিখিত পণ্যসমূহের ক্ষেত্রে শুল্ক রেয়াত সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে :
ক . রপ্তানিকারক শিল্প প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আমদানীকৃত মূলধনি যন্ত্রপাতি এবং যন্ত্রাংশ ।
খ . নিবন্ধিত শিল্প প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আমদানীকৃত মূলধনি যন্ত্রপাতি এবং যন্ত্রাংশ ।
গ . ঔষধ শিল্প কর্তৃক আমদানীকৃত কাঁচামাল ।
ঘ . টেক্সটাইল শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামাল ।
ঙ . কৃষিখাতে ব্যবহৃত উপকরণ ।
চ . কম্পিউটার এবং কম্পিউটারের আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি ।
✍️ বাংলাদেশে সরকারের বৈদেশিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে ট্যারিফ হ্রাসকরণের চিত্র তুলে ধর ।
উত্তর : দেশীয় শিল্পে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং বিশ্বব্যাপী আমদানি শুল্ক হ্রাসের প্রক্রিয়ার সাথে সামজস্য রেখে বাংলাদেশের আমদানি শুল্ক হার হ্রাস করার যে প্রক্রিয়া ১৯৯১-৯২ অর্থবছরের শুরু করা হয়েছিল তা ২০১০-১১ সালে অব্যাহত রাখা হয়েছে । আমদানি শুল্কের অবারিত গড় ১৯৯১ – ৯২ অর্থবছরে ৫৭.২২ শতাংশ হতে ২০১০-১ অর্থবছরে ১৪.৮৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে । বর্তমান ৯৯.৫০ শতাংশ ট্যারিক লাইনের উপরে মূল্যভিত্তিক শুল্ক আরোপ করা হয় । ২৪ টি ট্যারিক লাইনের বিপরীতে কিছুসংখ্যক পণ্য যেমন- চিনি , সিমেন্ট , ক্লিংকার , বিটুমিন , সোনা , স্টিল প্রডাক্ট এক পরাতন জাহাজের উপরে বিভিন্ন হারে স্পেসিফিক শুল্ক বলবৎ রয়েছে ।
✍️ OIC দেশসমূহের মধ্যে TPS বাংলাদেশে বাণিজ্য সম্প্রসারণে TPS – OIC কার্যক্রম আলোচনা কর ।
উত্তর : Trade Preferential System among OIC Countries ( TPS – OIC ) ও . আই . সিভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে অগ্রাধিকারভিত্তিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে গঠিত PTS – OIC ইতোমধ্যে প্রথম দফা বাণিজ্য আলোচনা সম্পন্ন করেছে । প্রথম দফা আলোচনায় সদস্যসমূহ , ” Protocol on the preferential Tariff Scheme for the TPS – OIC ( PRETAS ) চূড়ান্ত করেছে । এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ১১ টি দেশ Protocol এ স্বাক্ষর রয়েছে । Prolocol অনুযায়ী শুল্ক হ্রাস বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিম্নরূপ : চুক্তিভুক্ত প্রতিটি দেশ মোট ট্যারিফ লাইনের ৭ শতাংশ পণ্য শুল্ক হ্রাস প্রক্রিয়ার আওতায় আনবে । তবে কোন দেশের মোট ট্যারিফ লাইনের ৯০ শতাংশ অথবা তদূর্ধ্ব পণ্যের বেস রেট যদি ০ শতাংশ এবং ১০ শতাংশ এর মধ্যে থাকে তাহলে তারা মোট ট্যারিফ লাইনের ১ শতাংশ পণ্য শুল্ক হ্রাস প্রক্রিয়ার আওতায় আসবে ।
সদস্যের দেশসমূহের মিড়বরূপ প্রক্রিয়ায় শুল্ক কমিয়ে আনা হ্রাস করা হবে :
১. যেসব পণ্যের শুল্ক হার ২৫ শতাংশের ঊর্ধ্বে সে সব পণ্যের শুল্ক হার ২৫ শতাংশ ।
২. যেসব পণ্যের শুল্ক হার ১৫ শতাংশের ঊর্ধ্বে থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত সে সব পণ্যের শুল্ক ১৫ শতাংশ ।
৩. যেসব পণ্যের শুল্ক হার ১০ শতাংশ এর ঊর্ধ্বে থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত সে সব শুল্ক হার ১০ শতাংশ ।
৪. স্বল্প উন্নত দেশসমূহ ৬ বছরের মধ্যে এবং অস্বল্পোন্নত দেশসমূহ চার বছরের মধ্যে এ শুল্ক হ্রাস প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে । ৫. এখানে স্বেচ্ছায় ফার্স্ট ট্রাক প্রক্রিয়ার শুল্ক কমানোর ব্যবস্থাও রয়েছে ।
৬. শুল্ক হ্রাসের আওতাভুক্ত পণ্যের ক্ষেত্রে কোন নতুন শিল্প আরোপ শুল্ক বৃদ্ধি করা যাবে না ।
৭. প্যারা ট্যারিফ ও নন ট্যারিফ বাধ্যসমূহ দূরীকরণ ব্যবস্থা আছে ।
উপসংহার : উল্লেখ্য ১ জানুয়ারি , ২০০৯ থেকে শুষ্ক হ্রাস কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আলোচনা সমাপ্ত ন হওয়ার কারণে এ যাবৎ তা কার্যকর হয় নি ।
✍️ বাংলাদেশের লেনদেন ভারসাম্য প্রতিকূলতা দূরীকরণের উপায়গুলো কী কী ?
উত্তর : বাংলাদেশের লেনদেন ভারসাম্য প্রতিকূলতা দূরীকরণের উপায় :
১. বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ।
৩. উৎপাদন ব্যয় হ্রাস ।
২. জনশক্তি রপ্তানি ।
৪. খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ।
৬. রপ্তানি শুল্ক হ্রাস ।
৫. শিল্প ও বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণ ।
৭. ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পের মানোন্নয়ন ।
৯. মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ।
১১. বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন ।
৮. সুদের হারের পরিমিত হ্রাস ।
১০. রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি ।
১২. চোরাচালান প্রতিরোধ ।
১৩. বিলাসজাত দ্রব্যের আমদানি নিষিদ্ধ ।
১৪. দ্রব্যের উৎপাদন বৃদ্ধি ।
✍️ বাংলাদেশের লেনদেন ভারসাম্যের প্রতিকূলকার কারণসমূহ কী কী ?
উত্তর : বাংলাদেশের লেনদেনে ভারসাম্যের প্রতিকূলতার কারণ :
১. যুদ্ধ বিধ্বস্ত অর্থনীতির পুনর্গঠন ।
২. মূলধনী দ্রব্য আমদানি ।
৩. প্রাকৃতিক দুর্যোগ ।
৪. নতুন দ্রব্যের চাহিদা ।
৫. বাণিজ্য শর্তের প্রতিকূলতা ।
৬. অদৃশ্য খাতে অধিক ব্যয় ।
৭. বৈদেশিক দেনা পরিশোধ ।
৮. রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ।
৯. শর্তযুক্ত ঋণ ব্যবস্থা ।
১০. খাদ্য ঘাটতি ।
১১. মুদ্রাস্ফীতিজনিত কারণ ।
১২. রপ্তানি পণ্যের নিম্নমূল্য ।
১৩. আমদানিজনিত মূল্য বৃদ্ধি ।
১৪. দেশীয় সংরক্ষণ নীতি ।
[ad_2]