অথবা , বিপ্লব কী ? এরিস্টটলের বিপ্লবতত্ত্ব পর্যালোচনা কর ।
অথবা , বিপ্লব বলতে কী বুঝ ? এরিস্টটলের বিপ্লবতত্ত্ব বর্ণনা কর ।
ভূমিকা : এরিস্টটল তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘ The Politics ‘ এর পঞ্চম অধ্যায়ে বিপ্লব সম্পর্কিত মতবাদের ব্যাখ্যা এবং ষষ্ঠ অধ্যায়ে বিপ্লব নিবারণের উপায়সমূহ নির্দেশ করেছেন । সরকারের দ্রুত পরিবর্তন গ্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল । এ ধরনের পরিবর্তন গ্রিক রাজনৈতিক জীবনে চরম হতাশার সৃষ্টি করেছিল । এরপ হতাশাব্যঞ্জক অবস্থা অবলোকন করে এরিস্টটল ব্যাপক অনুসন্ধান কার্যে নিয়োজিত হন । এ অনুসন্ধানের ফলই তাঁর বিপ্লব সম্পর্কিত মতবাদ । আর এ আলোচনায় বিপ্লব ও তার প্রকৃতি , এরিস্টটলের বিপ্লব তত্ত্বের বিস্তারিত বিবরণ এবং আধুনিক রাষ্ট্রীয় জীবনে তাঁর বিপ্লবের কারণসমূহ প্রযোজ্য কি না তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে ।
বিপ্লব ও তার প্রকৃতি : সমাজতন্ত্রীরা বিপ্লবকে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার বলে মনে করে । কিন্তু এরিস্টটল মনে করতেন , যেহেতু বিপ্লব দেশের সংবিধান , স্থিতিশীলতা , শান্তি ও ঐক্য বিনষ্ট করে , সেহেতু বিপ্লব সর্বদাই পরিত্যাজ্য । এরিস্টটল বিপ্লব সম্পর্কে বলেছেন যে , বিপ্লব বিভিন্ন ধরনের হতে পারে । তাঁর মতে , রাষ্ট্রে বিপ্লব হলো সব ধরনের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং এর দ্বারা সৃষ্ট অচলাবস্থার বিদ্রোহমূলক অস্বাভাবিক সমাধান ।
এরিস্টটলের বিপ্লব তত্ত্ব : বিপ্লব সম্পর্কিত আলোচনা এরিস্টটলের ‘ The Politics ‘ গ্রন্থের উল্লেখযোগ্য অংশ দখল করে আছে । ‘ Politics ‘ এর পঞ্চম অধ্যায়ে তিনি বিপ্লবের বিভিন্ন কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার পর ষষ্ঠ অধ্যায়ে তা কিভাবে এড়ানো যায় তার সঠিক পন্থা নির্দেশের চেষ্টা করেছেন । বিপ্লবের কারণ ও তা নিবারণের পন্থা সম্পর্কে আলোচনা করার পূর্বে একটি বিষয়ে আমাদের ধারণা পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন । তিনি যে বিপ্লব সম্পর্কে আলোচনা করেছেন তা বর্তমান যুগের ফরাসি বিপ্লব বা রুশ বিপ্লবের ন্যায় কোন রক্তাক্ত বা সশস্ত্র রাজনৈতিক বিপ্লব নয় । বিপ্লব শব্দটি তিনি ব্যাপক অর্থে ব্যবহার করেছেন । তার ফলে যে কোন রকমের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ( Political Instability ) বিপ্লবের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ।
গণতন্ত্র , ধনিকতন্ত্র , অভিজাত তন্ত্র বা স্বৈরতন্ত্রের যে কোন পরিবর্তন , সংবিধানের যে কোন সংশোধন , কিংবা এক শ্রেণীর শাসক কর্তৃক আরেক শ্রেণীর শাসককে উচ্ছেদ করে ক্ষমতা গ্রহণ । এককথায় , সরকার বা সংবিধানের যে কোন পরিবর্তনকেই তিনি বিপ্লবের আওতাভুক্ত করেছেন । বস্তুত বিপ্লব সম্পর্কে এরিস্টটল উল্লেখ করেছেন যে , বিপ্লব সংঘটিত হয় বিভিন্ন উপায়ে । যেমন- সাংবিধানিক পরিবর্তনের ফলে বিপ্লব সংঘটিত হতে পারে , অথবা বিপ্লবীরা সংঘটিত হতে পারে , অথবা বিপ্লবীরা সংবিধানের কোন রকম পরিবর্তন ছাড়াই রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করতে পারে । আবার সমস্ত সরকার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিপ্লব না ঘটিয়ে রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে কোন নির্দিষ্ট সংস্থা কিংবা ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে বিপ্লব ঘটাতে পারে । তাছাড়া বিপ্লব সম্পূর্ণ , আংশিক এবং সশস্ত্র কিংবা শান্তিপূর্ণ হতে পারে ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে , সরকারি কর্তৃত্ব ও ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণেও বিপ্লব ঘটতে পারে । শাসন কর্তৃপক্ষ যদি সরকারি ক্ষমতাকে জনগণের অকল্যাণকর কাজে ব্যবহার করে , তাহলে অসন্তোষ সৃষ্টি হতে পারে যা বিপ্লবের পথকে প্রশস্ত করে । এরিস্টটলের বিপ্লব তত্ত্ব থেকেই অতীত ও বর্তমানের বিপ্লব তত্ত্ব সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় । তার মতে , বিপ্লব সাংবিধানিক পরিবর্তনের ফলেও হতে পারে আবার বিদ্রোহের ফলেও হতে পারে ।
প্রশ্ন : এরিস্টটলের বিপ্লবের কারণসমূহ আলোচনা কর ।
অথবা , বিপ্লব কী ? এরিস্টটলের বিপ্লবের কারণসমূহ ব্যাখ্যা কর । অথবা , বিপ্লব বলতে কী বুঝ ? বিপ্লবের কারণসমূহ বর্ণনা কর ।
উত্তর ৷ ভূমিকা : এরিস্টটল তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘ The Politics ‘ এর পঞ্চম অধ্যায়ে বিপ্লব সম্পর্কিত মতবাদে ব্যাখ্যা এবং ষষ্ঠ অধ্যায়ে বিপ্লব নিবারণের উপায়সমূহ নির্দেশ করেছেন । সরকারের দ্রুত পরিবর্তন গ্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল । এ ধরনের পরিবর্তন গ্রিক রাজনৈতিক জীবনে চরম হতাশার সৃষ্টি করেছিল । এবং হতাশাব্যঞ্জক অবস্থা অবলোকন করে এরিস্টটল ব্যাপক অনুসন্ধান কার্যে নিয়োজিত হন । এ অনুসন্ধানের ফলই তার কি সম্পর্কিত মতবাদ । আর এ আলোচনায় বিপ্লব ও তার প্রকৃতি , এরিস্টটলের বিপ্লব তত্ত্বের বিস্তারিত বিবরণ এবং আধুনি রাষ্ট্রীয় জীবনে তাঁর বিপ্লবের কারণসমূহ প্রযোজ্য কি না তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে ।
বিপ্লবের কারণসমূহ : এরিস্টটল বিপ্লবের কারণসমূহকে দু’ভাগে বিভক্ত করেছেন । যথা : ক . সাধারণ কর
General Causes ) এবং খ . বিশেষ কারণ ( Particular Causes ) ।
সাধারণ কারণ এটি প্রথমে বিপুরে গুলে নিন । হলো নিম্নরূপ age সংগঠিত হতে পারে । আর কর্তৃপক্ষ যদি সহকারি অতভাকে কলাকের অ্যাপের তাকে বাহার দৃষ্টি হার পারে যা উর্দুকের স্থিতির মেরি আর এটি হলে কি সানিকে শ্রেনীর অনুপস্থিতির জন্যও বিস্তার হতে পারে । মাসিক শ্রেণীর চন্দ্র শ্রেণী এবং নিম্ন শ্রেণীর থাকে আখতাগুলিতে পারে । সুযোগ সুবিধার অসম কটন সমযোগ্যতার ভিত্তিতে সুযোগ সুবিধা হও
বিপ্লবের বিশেষ কারণ : বিপ্লবের সাধারণ কারণগুলো নির্ধারণের পর করেছেন । বিপ্লবের এমষ্টিগুলো খান । অসন্তোষ যখন চরম আকার ধারণ করে তখনই দুধের সূত্রপাত ঘটে ।
১. অন্যায়ভাবে সম্মান প্রাপ্তির ইচ্ছা অন্যায়ভাবে সম্মান প্রাপ্তির ইন্জ বিদুনের আরেকরি খোলা বাতি যখন উপযুক্ত সম্মান লাভ থেকে বরি এমন অবস্থা বিে
২. দুর্নীতিমূলক কাজ ও ভয়ভীতি : ভয়ভীতি থেকেও অনেক সময় বিপ্লবের সূত্রপাত । দুর্নী দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা শান্তি ভোগের ভয় থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রে বিপ্লব আনয়ন করতে পারে ।
৩. রাষ্ট্রের কোন অঞ্চলের অস্বাভাবিক প্রসার ও সমৃদ্ধি : রাষ্ট্রের কোন অঞ্চলের অস্বাভাবিক প্রসার বিপুন টীতে সহায়তা করে । এরিস্টটলের মতে , মানব দেহের বিভিন্ন অংশ অসামঞ্জস্যপূর্ণ হলে যেমন এর সঠিক কার্যকারিতা নষ্ট ঠিক তেমনি রাষ্ট্রের কোন একটি অঞ্চল অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় বেশি সমৃদ্ধশালী হলেও বা বিদ্যুৰ বোসের
৪. রাজনৈতিক কলহ ও নির্বাচনে কারচুপি ষড়যন্ত্র : রাজনৈতিক কলহ ও নির্বাচনে যন্ত্রের জন্য সংক্ষতের সৃষ্টি হয় এবং এ অবস্থা বিপ্লবের পথকে সুগম করে । এরিস্টটল বলেছেন যে , নির্বাচনে দুর্নীতি বারণের
৫. স্যায় ও অসাম্য সম্পর্কিত বিভিন্ন ধারণ : বিপ্লবের কারণ হচ্ছে শ্রেণীতে নাম্বারে তা মানুষের সহজার মায়া ও তার লোভ মানুষের চিরন্তন প্রকৃতি । যা ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু থেকে সূর্তে তর সময় বঞ্চিত শ্রেণী চাষ বিদ্যুরেশাসকের সমপর্যায়ে উন্নীত হতে যার শাসক ১৪ জ থেকে সেটাকে নিক্ষেপের জাহাতে রাখতে হয় ।
উপসংহার : উপবৃত আলোচনা শেষে বলা যায় কিনা সরে ছবি এবং বিন্দুর সাপের বর্তমান কালের বাবাকে বিচার আগের হ কে বিশেষ আর কিছু আধুনিক হয় সুন্তি নির্দেশসমূহ পালন করা হলে বিপু বহু আধুনিক ই রাষ্ট্রের পরিলোক্ষরে বিপুরের কারণ সিদ্ধ করলেও তার বাবা বর্তমান সর করার পর সেই নিবি সম্পর্কে জানার কারন জাতিষেধকের ব্যবস্থা নিয়েছেন ।